কিডনি ভালো রাখার উপায় | কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি ভালো রাখার উপায় / কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে এবং কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার সঙ্গে থাকুন ।মানব শরীরের সব থেকে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মধ্যে সব থেকে মূল্যবান অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। কিডনির মানুষের বেঁচে থাকার সঙ্গী তাই আমাদের অবশ্যই কিডনি ভালো রাখতে হবে। আজকের আলোচনাতে রয়েছে কিডনি ভালো রাখার উপায় ও কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
কিভাবে আপনি আপনার শরীরের যত্ন করে কিডনি ভালো রাখতে পারবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিডনির সমস্যা দেখা দেয় আমরা অনেকেই এ ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দিতে চাইনা যার ফলে কিডনির সমস্যা হয়ে যায়। এরকম অবহেলার কারণে আমাদের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নিতে হয় তাই আপনাকে অবশ্যই কিডনি ভালো রাখতে হবে।
আমরা সকলেই জানি যে জীবন মরণ সবই মহান আল্লাহতালার কাছে তবুও আমাদের সুস্থ থাকার জন্য এবং বেঁচে থাকার জন্য কিডনির প্রয়োজন তাই অবশ্যই কিডনি ভালো রাখার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে কীভাবে আমরা সবকিছু ঠিকঠাক রেখে কিডনি সুস্থ রাখতে পারি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনেকেই রয়েছেন শরীরে কিডনির সমস্যা কিভাবে হয়ে যাচ্ছে এবং কি কারনে হচ্ছে ইত্যাদি অনেক বিষয় জানা থাকে না যার ফলে কিডনির সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গে আলোচনা করবো কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
যদি কারো কিডনিতে বিকল হয়ে পরে সে ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিডনি হচ্ছে বেচন তন্ত্রের প্রধান অংশ প্রধানত কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে থাকেন এবং মূল উপাদান করে।
আমাদের দেহের অভ্যন্তর ভাগে উদর গহ্বরের পশ্চাৎদিকে মেরুদণ্ডের দুই পাশে দুটি বৃক্ক বা কিডনি অবস্থিত যা দেখতে অনেকটা শিমের মত এবং বাদামী রঙের। কিডনি ১৫০ – ১৭০ গ্রাম (পুরুষ) এবং ১৩০ – ১৫০ গ্রাম (মহিলা) ওজনের হয়ে থাকে।
কিডনির ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই সকল বিষয়ে জানা খুবই দরকার। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য যা যা জানার প্রয়োজন সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। কিডনি ভালো রাখার জন্য খাদ্য বা অন্যান্য খুবই গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাই আজকে আলোচনা করবো কিডনি ভালো রাখার উপায় ও কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ
- কিডনি রোগের কারণ সমূহ
- অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন
- কিডনি ভালো আছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন
- কিডনি রোগের লক্ষণ জেনে নিন
- কিডনি ভালো রাখার উপায় সমূহ
- কিডনি ভালো রাখার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- কিডনি ভালো রাখার জন্য মাদক ত্যাগ করার চেষ্টা করুন
- কিডনি ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
- প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত ভিটামিন সি খাওয়া যাবেনা
- কোমল পানীয় পরিহার করুন
- কিডনি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন
- কিডনি ভালো রাখার জন্য ঔষধ খাওয়ার সময় সর্তকতা অবলম্বন করুন
- কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে হবে
- স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
- কিডনি ভালো রাখার উপায় সমূহ সর্বশেষ কথা/ কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ
- কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়/ কিডনি রোগের লক্ষণ
- প্রাথমিক অবস্থায় কিডনির রোগের যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেগুলো জেনে নিনঃ
- মাথা ঘোরানো
- বমি বমি ভাব
- খাবার অরুচি ক্ষুধার্ত
- ক্লান্তি ভাব
- শরীরের ওজন কমে যাওয়া
- ত্বকে চুলকানি হওয়া
- শুষ্ক ত্বক
- কিডনির সমস্যা হলে ঘন ঘন প্রসাবের চাপ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
কিডনিতে কোন রোগ হয়ে যাওয়ার পর যেসব লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেনঃ
- কিডনিতে অন্য কোন রোগ দেখা দিলে আপনার শরীরে পানি জমে যায় এবং পায়ের গোড়ালি হাটুতে পানি জমে যায়
- কিডনি রোগের রক্তের ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম মাত্রায় তার অন্যান্য হওয়ার শরীরের বিভিন্ন ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে
- শরীরের বর্জ্য পদার্থ জমে যাওয়ার ফলে দুর্গন্ধযুক্ত প্রসব হতে পারে
- বমি বমি ভাব হতে পারে
- অতিরিক্ত প্রসাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগতে পারে
- কিছুক্ষণের জন্য ঋতু স্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে
- আপনার শরীরের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- যৌন অক্ষমতা
- মাংসপেশির অস্বাভাবিক সংকোচন।
- মলমূত্রের সাথে রক্তক্ষরণ হয়।
- কিডনি রোগের কারণ সমূহঃ
- কিডনি রোগের সমস্যা পিছনে আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো জেনে নিনঃ
- কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- কিডনির সমস্যা হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- ক্যান্সারের সমস্যা হবে
- টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস
- উচ্চ রক্তচাপ
- পলিসিস্টিক কিডনি রোগ
- গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস
- ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটি
- মূত্রথলির প্রদাহ
- বংশগত কিডনি রোগ
- বয়স জনিত কিডনির সমস্যা
- প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া
- পাইলোনেফ্রাইটিস
- মূত্রথলিতে পাথর
এবার জেনে নিন কিডনি ভালো রাখার উপায় সমূহঃ
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবেঃ
আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে কিডনির সমস্যা তাই অবশ্যই আমাদেরকে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে কারণ আমাদের দেহে কিডনি হচ্ছে মূল্যবান তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে ব্যায়াম করতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি শরীরের বাড়তি ওজন ঠিকঠাকভাবে রাখতে পারি তাহলে আমাদের কিডনির সমস্যা দেখা দেবে না।
কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই শরীরের ওজন কমাতে হবে। আপনার বি এম আই 23 থেকে 24 এর মাঝে শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুনঃ
পরিবারের সকলের কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাই অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকেই রয়েছেন খাবারের খাওয়ার সময় আলাদা লবণ খেয়ে থাকে সেই অভ্যাসটা আপনি পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এই অভ্যাস থেকে আপনাকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
একজন সুস্থ সবল মানুষ দৈনিক 5 থেকে 6 গ্রাম লবণ গ্রহণ করতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবেঃ
আমরা সকলেই জানি যে কিডনি পানির নিরাপত্তা তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা দরকার। কারণ কিডনি বেঁচে থাকে পানির সঙ্গে তাই অবশ্যই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া খুবই দরকার।
কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন , এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। কিডনিতে পাথর না হওয়ার কারণে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবেঃ
কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে সবসময় সিদ্ধ করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এর সঙ্গে ব্যায়াম করা খুবই জরুরি শরীরের বাড়তি ওজন কমানো খুবই দরকার আপনি যদি এই কাজগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার কিডনির সমস্যা দেখা দেবে না তাই অবশ্য এই নিয়মগুলো মেনে চলার অভ্যাস করুন
যতটা সম্ভব বাড়তি তেল চর্বি জাতীয়, ট্রান্সফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিশোধিত (রিফাইনড – Refined) খাবার এড়িয়ে চলুন। গোটা শস্যের (Whole grain) খাদ্যশস্য বেছে নিন। খাবার আস্তে আস্তে উত্তমভাবে চিবিয়ে খান।
পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং মেয়োনিজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাবার খাওয়া উচিত নয় এবং জাতীয় প্রাণীর আমিষ অতিরিক্ত খেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং গরুর মাংস একটু অল্প খাওয়ার চেষ্টা করুন আপনি যদি নিয়মিত এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার কিডনি ভালো রাখার সম্ভাবনা রয়েছে তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনাকে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কিডনি ভালো রাখার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবেঃ
ডায়াবেটিস কিডনি রোগের একটি বড় অংশ তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই জরুরি কারণ ডায়াবেটিস আপনার কিডনির সমস্যা দিন দিন বেড়ে তুলতে সাহায্য করে এজন্য অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে কারণ ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির সমস্যা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি বিকল্প হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ডায়াবেটিসের কারণে আপনার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তারা নিয়মিত রক্তের সুগার লেভেল পরীক্ষা করে নিন। রক্তের সুগার লেভেল পরীক্ষা করে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।
আপনি যদি আপনার শরীরের রক্তে শতকরা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার কিডনির কোন জটিলতা দেখা দিবেনা। ডায়াবেটিস কিডনির সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস কারণে যদি কিডনিতে কোন প্রকার সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনার মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই অবশ্যই কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের অবশ্যই 6 মাস পরপর রক্তের সুগার লেভেল পরীক্ষা করানো দরকার। ডায়াবেটিস হলে কখনো অবহেলা করা উচিত নয় ডায়াবেটিসের কারণে আপনার কিডনির মারাত্মক সমস্যা হতে পারে তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
মাদক ত্যাগ করুনঃ
আমরা সকলেই জানি ধূমপান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই মাদক এবং ধূমপান ইত্যাদি এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপান, মাদক, মদ, ইত্যাদি আপনি যদি এসব খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
মাদক আপনার শরীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে সাহায্য করে। তাই কিডনিতে রক্ত চলাচল কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপান, মদ, পান জর্দা ইত্যাদি এই খাবারগুলো আপনার শরীরের কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্য আপনাকে এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ধূমপান, মদ পান, জর্দা ছবির কারণে আপনার ক্যান্সারের সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই অবশ্যই এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকা খুবই দরকার।
প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ভিটামিন সি খাওয়া যাবে নাঃ
আমাদের শরীরে 500 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর প্রয়োজন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ভিটামিন সি খাবার গুলো কে এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী। যার ফলে আপনার কিডনির কোন রকমের সমস্যা দেখা দিবে না।
কোমল পানীয় পরিহার করুনঃ
কোমল পানীয় পরিহার যতটা কম খাওয়া যায় শরীরের জন্য ততই ভালো তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে কোমল পানীয় পরিহার কম কম করতে হবে।
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখুনঃ
রক্তচাপ স্বাভাবিক এর চেয়েও যদি বেশি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দিন দিন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই অবশ্যই আপনাকে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা দরকার।
অবশ্যই জানা দরকার উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় সমূহ এবং উচ্চ রক্তচাপ ঠিক রাখুন।
ওষুধ সেবনে বিশেষভাবে সর্তক থাকুনঃ
কমবেশি অনেক ঔষধ কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই অবশ্যই যে কোন ঔষধ খাওয়ার আগে বুঝে তারপর ওষুধ খেয়ে নিন। অনেকে হারবাল ভেষজ উপাদান আমরা নিজেদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গুলো খেয়ে থাকি। এসবের কারণে আমাদের প্রতিপক্ষে কিডনির সমস্যার কারণ দিন দিন বেড়ে যায়।
তাই অবশ্যই ঔষধ খাওয়ার আগে বুঝেশুনে তারপর ওষুধ খেতে হবে কারণ সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে এবং কোন ঔষধ খেতে হবে সেদিকে খেয়াল রেখে ঔষধ খাওয়া দরকার। যার ফলে আপনার কিডনির কোন সমস্যা হবে না এবং কিডনি ভালো থাকবে।
কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনি ঔষধ এর ক্ষেত্রে একটু বুঝে শুনে নেবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তারপর ওষুধ খেয়ে নিন।
কিডনি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ
ঘরোয়া উপায়ে কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন যার ফলে আপনার কিডনি খুব ভালো থাকবে। শরীরের বাড়তি ওজন আপনার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ব্যায়াম করে শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর চেষ্টা করুন যার ফলে আপনার কিডনির কোন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারবেনা।
কিডনি ভালো রাখার জন্য এবং লিভার ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনি হাটা দৌড়াদৌড়ি সাইকেল চালানো ইত্যাদি এসব করার চেষ্টা করুন যার ফলে আপনার কিডনির কোন সমস্যা দেখা দিবে না।
কিডনি ভালো রাখার জন্য খাবার তালিকাঃ
আনারসঃ আনারসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উচ্চমাত্রায় আপনার কিডনি রোগ থেকে বিরত রাখবে। কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনি আনারস খেতে পারেন।
রসুনঃ রসুনের রয়েছে সোডিয়াম পটাশিয়াম ফলোয়ার্স ইত্যাদি তাই আপনি কিডনি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন খাওয়ার নিয়ম সমূহ।
ফুলকপিঃ ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফুলকপিতে রয়েছে সোডিয়াম পটাশিয়াম ইত্যাদি। আপনার শরীরের কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে ফুলকপি।
ক্যাপসিকামঃ ক্যাপসিকাম আপনার দেহের কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ক্যাপসিকাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। কিডনি ভালো রাখার জন্য ক্যাপসিকাম খুবই প্রয়োজন একটি খাবার।
লাল আঙ্গুরঃ লাল আঙ্গুরের ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করো। লাল আঙ্গুর দেহের কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে এবং ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য লাল আঙ্গুর খেতে পারে।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশ কিডনি খুব উপকারী তাই কি ভালো রাখার জন্য ডিমের সাদা অংশ দিয়ে দেবেন।
মাছঃ অন্যতম একটি উৎসব রয়েছে মাসের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আপনার কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আপেলঃ বিভিন্ন সমস্যার জন্য আপেল খুবই উপকারী তাই আপনি আপেল খেতে পারেন আপনার দেহের কিডনি ভালো রাখার জন্য। কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পেঁয়াজঃ পেঁয়াজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। পেঁয়াজ শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য পিয়াজ ব্যবহার করতে পারেন।
জামঃ জানেরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ফসফরাস সোডিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার নি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই তিনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই জাম খাওয়ার অবস্থিত। কালোজাম আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
আদাঃ আদা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কিডনির রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে আদা। কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনি আমাকে দেবেন।
লেবুঃ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড । লেবু খুবই উপকারী কারণ লেবু আপনার কিডনি পাথর ভাঙতে সাহায্য করে তাই কিডনিতে পাথর যদি হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে আপনি লেবু খেতে পারেন। লেবু প্রতিদিন পানির সাথে মিশে খেতে পারলে কি দিয়ে পরিষ্কার থাকবে। তাই অবশ্যই লেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন কিডনি ভালো রাখার জন্য।
হলুদঃ হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আন্টি ইনফ্ল্যামেটরিযা আপনার শরীরে কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনির রোগ মুক্তি করতে সাহায্য করে এবং কিডনিতে জমে থাকা পাথর দূর হতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বাঁধাকপিঃ বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আঁশ জাতীয় তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনি বাঁধাকপি খেতে পারেন। কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে বাঁধাকপি খেতে পারেন।
শেষ কথাঃ কিডনি ভালো রাখার উপায়
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। কিডনি যদি কোনো ভাবে একটু দুর্বল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে মৃত্যু আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিডনি আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তাই অবশ্যই আমাদের কিডনি ভালো রাখার উপায় সমূহ জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। কিডনি ভালো রাখার খুবই জরুরী কারণ কিডনি রোগ থেকে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে মৃত উপাদান করে শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করে থাকেন। দেহে পানি ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট (Electrolyte) যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তের pH নিয়ন্ত্রণ করে বা অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
কিডনির যেকোনো সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। কিডনির এমন কিছু সমস্যা এবং কিডনির যেকোনো সমস্যা যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এমন সময় দেয়া ধরা পড়ে সে সময় দেরী হয়ে যায়। কিডনি সমস্যা গুলো দেরিতে ধরা পড়ার কারণে চিকিৎসা করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। কিডনির সমস্যা যদি অল্পতেই হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সেটা ভালো করার জন্য অনেক সময় লেগে যায়। সাধারণ কথা হচ্ছে কিডনির যদি একটু পরিবারের সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা হয়ে থাকে। তাই কিডনি আমাদের জীবন মরনের সাথী আমরা মানুষ কিডনির উপর বেঁচে থাকি। তাই আমাদের উচিত কিভাবে কিডনি ভালো রাখার যায় এবং কিডনিতে কোন রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিডনি ভালো রাখার জন্য আমাদের উচিত নিয়মিত ভালো খাবার খাওয়া এবং নিয়ন্ত্রণে থাকা। তিনি ভাল রয়েছে কিনা আপনি কিভাবে বুঝবেন সেগুলো জেনে নেই নিয়মিত ছয় মাস বা এক বছর পর পর কিডনি পরীক্ষা কবে। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার কি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি কিডনি ভালো রাখার উপায় সমূহ ও কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ওপর উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনারা সকলেই কিডনি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের এই পোস্টে সঙ্গে থেকে জেনে নিন ভালো রাখার উপায় কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আজকের আলোচনায় পর্যন্ত সকলে ভাল থাকবেন। আমাদের এই পোস্ট পড়ে আপনারা নিয়ম মেনে চলে কিডনি ভালো রাখার চেষ্টা করুন।