১৫৪ রানেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা
তাসকিন আহমেদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে সেঞ্চুরিয়ানে সুপার স্পোর্ট পার্কে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ ওভারে ৩৫ রান খরচে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৫৫ রান।
মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেও ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন তাসকিন। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সর্বোচ্চ আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) হাতছানি দিচ্ছিল তাকে। কিন্তু এই পেসার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাকেই বেছে নিলেন। আর দেশের জার্সিতে তার অগ্নিঝরা বোলিংয়ে লন্ডভন্ড হল দক্ষিণ আফ্রিকা। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা।
এদিন সিরিজ জয়ের মিশনে টসে হেরে বোলিংয়ে নেমে দূর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ-সাকিব আল হাসানদের তোপে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তোলার আগেই ৫ উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। এরপর ১০০ রান পার করতে আরও একটি উইকেট হারায় তারা। দলীয় ১০০ পার করলেও তাসকিনের ছোবল থেকে বাঁচতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
আগের ম্যাচে বাড়তি বাউন্সই সর্বনাশ করেছিল বাংলাদেশের। সেঞ্চুরিয়নে সেই বাউন্সারের বিষেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছে বাংলাদেশ। অন্তত প্রথম ম্যাচের দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাসি ফন ডার ডুসেনকে তো অবশ্যই। তৃতীয় ম্যাচে তাকে থিতু হতে দেয়নি বাংলাদেশি বোলিং লাইন আপ। ফিরিয়েছে তার আগেই। ১৯তম ওভার করতে আসা শরীফুল ইসলাম প্রথম বলটাই করেছিলেন শর্ট লেন্থে। হঠাত লাফিয়ে ওঠা বলটা ঠিক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ডুসেন। তার আগেই তার ব্যাটের কোণা ছুঁয়ে গিয়ে জমা পড়ে শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে। ডি কক, ভেরেইনা, মালান, বাভুমার পর ডুসেনও ফিরলেন। তাতে ৮৩ রান্রেই অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এরপর দলীয় ১০৭ রানের মাথায় প্রেটোরিয়াসকেও ফেরান তাসকিন। দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে তখন ক্রিজে ছিলেন কেবল ডেভিড মিলার। সেই মিলারের শিকারও করলেন তাসকিন। একই ওভারে পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে ৫ উইকেটের কোটা পূরণ করেন এই পেসার। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানেই থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস।