পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৮)
প্রশ্ন-১। পদার্থবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তরঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।
প্রশ্ন-২। এন্ডোসকোপি কি?
উত্তরঃ এন্ডোসকোপি চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রচলিত এক ধরনের পরীক্ষা যার মাধ্যমে পাকস্থলী বা অন্ত্রের কোনো আলসার নির্ণয় করা যায়। এ পরীক্ষায় রোগীর মুখ দিয়ে ক্যামেরাসহ একটি লম্বা নল পোষ্টিক নালিতে প্রবেশ করিয়ে পাকস্থলী বা অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীর পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন-৩। স্প্রিং ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো স্প্রিং এর দৈর্ঘ্য সাম্যাবস্থা থেকে একক পরিমাণ পরিবর্তনের জন্য এর দৈর্ঘ্য বরাবর যে পরিমাণ বল প্রয়োগের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ স্প্রিং এর স্প্রিং ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন-৪। কোয়াসার (Quasar) বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ Quasi stellar objects সংক্ষেপে Q.S.O বাংলায় অনুবাদ করলে হয় নক্ষত্র প্রায় আপত নাক্ষত্রিক বস্তু। নক্ষত্র নয় অথচ নক্ষত্রের মত দেদীপ্যমান এই বিস্ময়কর মহাজাগতিক বস্তুটিকে সাধারণত কোয়াসার (Quasar) নামে আখ্যায়িত করা হয়। বেশির ভাগ কোয়াসার অত্যন্ত দ্রুতবেগে দূরে সরে যাচ্ছে এবং মহাবিশ্বের সীমান্ত দেশে অবস্থান করছে। এতদূরে থাকা সত্ত্বে কোয়াসার দৃশ্যমান হয় কারণ, কোয়াসার থেকে প্রতিনিয়ত নিঃসৃত হচ্ছে অবিশ্বাস্য পরিমাণের তেজশক্তি যা রেডিও তরঙ্গ দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ এবং এক্স রশ্মির আকারে নির্গত হচ্ছে। কোয়াসার থেকে এই নিঃসৃত তেজশক্তি একটি সাধারণ গ্যালাক্সির থেকে নির্গত তেজশক্তির কয়েক গুণ বেশি।
প্রশ্ন-৫। Renewable resource বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ Renewable resource বলতে সেই সকল resource বা উৎসকে বুঝায় যে resource গুলো পুনঃ পুনঃ ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করা যায়। Renewable resource গুলো ব্যবহার করে অবিরতভাবে শক্তি উৎপাদন করা যায় এবং এ শক্তিগুলো কখনো নিঃশেষ হয় না।
উদাহরণ : Renewable resource এর উদাহরণ হচ্ছে–
ক. সৌরশক্তি
খ. পারমাণবিক শক্তি
গ. বায়ুশক্তি
ঘ. পানির স্রোত থেকে পাওয়া শক্তি ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৬। আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে এবং ঐ তাপমাত্রায় ঐ আয়তনের বায়ুকে সম্পৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্পের প্রয়োজন হয় তাদের অনুপাতকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।
প্রশ্ন-৭। সৃষ্টিতত্ত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের প্রকৃতি, উৎস ও বিবর্তন নিয়ে যে পর্যালোচনা তাকে সৃষ্টিতত্ত্ব বলে।
প্রশ্ন-৮। এক্স রশ্মির একক কি?
উত্তরঃ এক্স রশ্মির এককের নাম রন্টজেন (Roentgen)।
প্রশ্ন-৯। আপেক্ষিক গুরুত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বস্তুর ওজন এবং 4°C তাপমাত্রায় সম আয়তন পানির ওজনের অনুপাতকে বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক গুরুত্ব বলে।
প্রশ্ন-১০। অভিসারী দর্পণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে দর্পণে সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ আপতিত হওয়ার পর প্রতিফলিত হয়ে একটি বিন্দুতে অভিসারী হয় বা একসাথে মিলিত হয়, সেই দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলে। যেমন- অবতল দর্পণ।
প্রশ্ন-১১। বিভবান্তর বা বিভব পার্থক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ একক ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে ঐ দুই বিন্দুর বিভবান্তর বা বিভব পার্থক্য বলে।
প্রশ্ন-১২। সমতল দর্পণ কী?
উত্তরঃ যে মসৃণ সমতলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে, সে পৃষ্ঠকে সমতল দর্পণ বলে।
প্রশ্ন-১৩। তড়িৎ চালক শক্তি (EMF) কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতি একক আধানকে কোষ সমেত কোন বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে কাজ সম্পন্ন হয় অর্থাৎ কোষ যে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করে তাকে ঐ কোষের তড়িৎ চালক শক্তি (EMF) বলে।
প্রশ্ন-১৪। এক রন্টজেন বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ এক রন্টজেন বলতে আমরা সেই পরিমাণ এক্স-রশ্মি বিকিরণ বুঝি যা সাধারণ চাপ এবং তাপমাত্রায় প্রতি কিলোগ্রাম বায়ুতে 2.58×10-4 কুলম্ব চার্জ উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন-১৫। বেতার তরঙ্গ কি?
উত্তরঃ তাড়িতচৌম্বকীয় বিকিরণের মধ্যে যাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পাল্লা 10-2 m থেকে 5 × 104 m তাদের বলা হয় বেতার তরঙ্গ। বেতার তরঙ্গকে আবার কয়েকটি উপবিভাগে ভাগ করা যায়। এরা হলো মাইক্রোওয়েভ বা মাইক্রোতরঙ্গ, রাডার তরঙ্গ ও টেলিভিশন তরঙ্গ।
প্রশ্ন-১৬। কেলাস পানি কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি যৌগের নির্দিষ্ট কেলাস গঠনের জন্য অপরিহার্য পানিকে কেলাস পানি বলে। যেমনঃ CuSO4.5H2O (তুতে)-এর মধ্যে 5H2O হলো কেলাস-পানি।
প্রশ্ন-১৭। মাত্রা কাকে বলে?
উত্তরঃ এক বা একাধিক মৌলিক রাশির সমন্বয়ে ভৌত রাশি গঠিত। এ ভৌত রাশিকে বিভিন্ন সূচকের এক বা একাধিক মৌলিক রাশির গুণফল হিসেবে প্রকাশ করা যায়। কোনাে ভৌত রাশিতে উপস্থিত মৌলিক রাশিগুলাের সূচককে রাশিটির মাত্রা বলে।
প্রশ্ন-১৮। পিচ কি?
উত্তরঃ স্ক্রুগজের বৃত্তাকার স্কেলটি একবার ঘুরালে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যেটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে তাই হলাে পিচ।
প্রশ্ন-১৯। বক্রতার কেন্দ্র ও বক্রতার ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তরঃ বক্রতার কেন্দ্র : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের কেন্দ্রকে দর্পণের বক্রতার কেন্দ্র বলে।
বক্রতার ব্যাসার্ধ : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।
অথবা, দর্পণের মেরু থেকে বক্রতার কেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্বকে বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।
প্রশ্ন-২০। সুপ্ততাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় (কঠিন থেকে তরল বা তরল থেকে বায়বীয়) রূপান্তরিত করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তাকে সুপ্ততাপ বলে।