পড়াশোনা
1 min read

রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৬)

প্রশ্ন-১। বাষ্পীয়করণ এনথালপি কাকে বলে?
উত্তরঃ এক মোল তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্কে যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে বাষ্পে পরিণত হয়, তাকে ঐ পদার্থের বাষ্পীয়করণ এনথালপি বলে।

প্রশ্ন-২। ফ্রি-রেডিক্যাল বা মুক্তমূলক কাকে বলে?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধনের সুষম বিভাজনের ফলে সৃষ্ট বিজোড় ইলেকট্রন সংবলিত প্রজাতিকে ফ্রি রেডিক্যাল বা মুক্তমূলক বলে।

প্রশ্ন-৩। প্যারাফিন কি?
উত্তরঃ প্যারাফিন শব্দের অর্থ রাসায়নিকভাবে নিস্ক্রিয়। অ্যালকেনসমূহকে প্যারাফিন বলা হয়।

প্রশ্ন-৪। কাইরাল কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি জৈব যৌগের অণুতে কোনো কার্বন পরমাণুর সাথে চারটি পরস্পর ভিন্ন একযোজী পরমাণু বা মূলক যুক্ত থাকলে ঐ কার্বনকে কাইরাল কার্বন বা কাইরাল কেন্দ্র বলে।

প্রশ্ন-৫। ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্র কী?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পরস্পর বিক্রিয়াবিহীন কোনাে গ্যাস মিশ্রণের মােট চাপ ঐ তাপমাত্রায় উপাদান গ্যাসমূহের আংশিক চাপসমূহের যােগফলের সমান।

প্রশ্ন-৬। অ্যাজোট মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মৌল সাধারণ অবস্থায় নিষ্ক্রিয় থাকে, তাকে অ্যাজোট মৌল বলে। নাইট্রোজেনকে (Azote) অ্যাজোট মৌল বলা হয়।

প্রশ্ন-৭। LPG কী?
উত্তরঃ LPG গ্যাস হলাে Liquefied Petroleum Gas যা মূলত প্রােপেন বা বিউটেন জাতীয় হাইড্রোকার্বন।

প্রশ্ন-৮। আদর্শ গ্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব গ্যাস তাপমাত্রা ও চাপে PV = nRT সমীকরণ মেনে চলে, তাদেরকে আদর্শ গ্যাস বলে।

প্রশ্ন-৯। বহুরূপতা বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ যদি কোন মৌল ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রকৃতিতে থাকতে পারে তার এ ধর্মকে বহুরূপতা বলা হয়। যেমনঃ গ্রাফাইট, হীরক কার্বনের বহুরূপতা।

প্রশ্ন-১০। যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সর্বশেষ প্রধান শক্তিস্তরে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকে তাদেরকে যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে। যেমন: Na(11)=2,8,1 এখানে Na এর যোজ্যতা ইলেকট্রন 1।

প্রশ্ন-১১। পর্যায় কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে আনুভূমিকভাবে যে ৭টি প্রধান সারি বিদ্যমান তাকে পর্যায় বলে।

প্রশ্ন-১২। অধঃক্ষেপ কাকে বলে?
উত্তরঃ একই দ্রাবকে দুটি যৌগ মিশ্রিত করলে তারা পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে যে উৎপাদগুলাে উৎপন্ন করে তাদের মধ্যে কোনােটি যদি ঐ দ্রাবকে অদ্রবণীয় বা খুবই কম পরিমাণে দ্রবণীয় হয় তবে তা বিক্রিয়া পাত্রের তলায় কঠিন অবস্থায় তলানি হিসেবে জমা হয়। এ তলানিকে অধঃক্ষেপ বলে।

প্রশ্ন-১৩। তড়িৎবিশ্লেষণ একটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কেন?
উত্তরঃ যদি কোনো বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে তাকে জারণ বিজারণ বিক্রিয়া বলে। তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ক্যাথোড থেকে ধনাত্মক আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে (বিজারণ) এবং অ্যানোডে ঋনাত্মক আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে (জারণ)। অতএব, তড়িৎ বিশ্লেষণ একটি জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন-১৪। খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর প্রয়োগগুলো কী?
উত্তরঃ খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর প্রয়োগগুলো হলো–
১. মাছ, মাংস ইত্যাদির পচনরোধে এবং ফলমূলের দ্রুত পরিপক্কতা আনায়নে নির্দিষ্ট রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার।
২. খাবার আকর্ষণীয় করতে নিষিদ্ধ ও খাবারের অনুপযোগী রং এর ব্যবহার।
৩. নিষিদ্ধ ও খাবারের অনুপযোগী প্রিজারভেটিভস এর ব্যবহার।

প্রশ্ন-১৫। পেপটাইড বন্ধন কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি অ্যামাইনো এসিডের কার্বলিক্স মূলক ও অপর একটি অ্যামাইনো এসিডের a-অ্যামাইনো মূলকের সাথে বিক্রিয়ায় পানি অণু অপসারণের পর যুক্ত হয়ে যে অ্যামাইড বন্ধন গঠিত হয় তাকে পেপটাইড বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-১৬। অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় তরল বিক্রিয়ক পদার্থ বিক্রিয়া করে কঠিন উৎপাদে পরিণত হয় তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৭। বাফার ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ বাফার দ্রবণে বাইরে থেকে অল্প পরিমাণ দুর্বল এসিড বা দুর্বল ক্ষার যুক্ত করার ফলে দ্রবণে pH এর মানের যে পরিবর্তন হওয়ার কথা সে পরিবর্তনকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতাকে ঐ দ্রবণের বাফার ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৮। 3f অরবিটাল অসম্ভব কেন?
উত্তরঃ 3f অরবিটাল অসম্ভব। কারণ 3f  অরবিটালের ক্ষেত্রে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান n = 3
n = 3 এর জন্য সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান l = 0, 1, 2 হবে। কিন্তু আমরা জানি, সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা 0, 1, 2 এর জন্য s, p ও d অরবিটাল সম্ভব। তাই 3f অসম্ভব।

প্রশ্ন-১৯। আকরিক কি?
উত্তরঃ আকরিক হলো সেই সকল খনিজ যা থেকে লাভজনকভাবে কোন ধাতু নিষ্কাশন করা যায়। যেমন– লোহা বা আয়রনের আকরিক হেমাটাইট।

প্রশ্ন-২০। ড্রাইসেল কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ড্রাইসেল এক ধরনের গ্যালভানিক কোষ। এটি সহজেই বহনযোগ্য এবং ব্যবহার অত্যন্ত সহজ ও বিপদমুক্ত। সাধারণত টর্চলাইট জ্বালাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও রেডিও বাজাতে, টিভির রিমোট চালাতে এবং বাচ্চাদের খেলনা চালাতে প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করা হয়।

5/5 - (17 votes)