পড়াশোনা

পঞ্চম অধ্যায় : খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক, নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

1 min read

প্রশ্ন-১। ATP এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ ATP এর পূর্ণরূপ হলো— Adenosine triphosphate।

প্রশ্ন-২। BMI কি?
উত্তরঃ BMI হলো মানবদেহের গড়ন ও চর্বির ভারসাম্যবোধক একটি সূচক নির্দেশক।

প্রশ্ন-৩। কোথায় পিত্তরস তৈরি হয়?
উত্তরঃ যকৃতে পিত্তরস তৈরি হয়।

প্রশ্ন-৪। কোন ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা রোগ হয়?
উত্তর : ভিটামিন-বি১২।

প্রশ্ন-৫। গলগণ্ড রোগ কয় প্রকার?
উত্তর : ২ প্রকার

প্রশ্ন-৬। অতিমাত্রায় থাইরক্সিন হরমোন নিঃসরণের ফলে কী হয়?
উত্তর : টক্সিক গলগণ্ড

প্রশ্ন-৭। মৌলবিপাক শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : বিশ্রামরত অবস্থায় যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে মৌলবিপাক শক্তি বলে।

প্রশ্ন-৮। খাদ্য গ্রহণে আমাদের শরীর কত শতাংশ শক্তি পায়?
উত্তর : ১০-২০ শতাংশ।

প্রশ্ন-৯। আমাদের শরীরের কতভাগ শক্তির উৎপাদন বিএমআর নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর : ৬০-৭৫ ভাগ

প্রশ্ন-১০। বিএমআর-এর পূর্ণনাম কী?
উত্তর : বেসাল মেটাবলিক রেট।

প্রশ্ন-১১। শিম-এ কত কিলোক্যালরি শক্তি আছে?
উত্তর : ৯৬।

প্রশ্ন-১২। মোটা হওয়ার প্রথম স্তরে বিএমআই-এর মান কত?
উত্তর : ৩০ – ৩৪.৯।

প্রশ্ন-১৩। বিএমআই-এর মান কত হলে সুস্বাস্থ্য নির্দেশ করে?
উত্তর : ১৮.৫ – ২৪.৯।

প্রশ্ন-১৪। বাণিজ্যিক রং কোন অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট করে?
উত্তর : যকৃৎ।

প্রশ্ন-১৫। মানুষের ছেদন দাঁত কয়টি?
উত্তর : ৪টি।

প্রশ্ন-১৬। মানুষের স্থায়ী দাঁত কয় ধরনের?
উত্তর : ৪।

প্রশ্ন-১৭। দাঁতের ডেন্টিনকে আবৃতকারী পাতলা আবরণের নাম কী?
উত্তর : এনামেল।

প্রশ্ন-১৮। অন্ত্রের প্রধান অংশ কয়টি?
উত্তর : ২টি।

প্রশ্ন-১৯। ভিলাস কাকে বলে?
উত্তর : ক্ষুদ্রান্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরে অবস্থিত আঙুলের মতো প্রক্ষেপিত অংশকে ভিলাস বলে।

প্রশ্ন-২০। মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থির নাম কী?
উত্তর : যকৃৎ।

প্রশ্ন-২১। ইউরিক এসিড কোথায় তৈরি হয়?
উত্তর : যকৃতে।

প্রশ্ন-২২। মানুষের কয় জোড়া লালাগ্রন্থি রয়েছে?
উত্তর : ৩ জোড়া।

প্রশ্ন-২৩। যকৃৎ কয়টি অসম্পূর্ণ খণ্ড নিয়ে গঠিত?

উত্তর : ৪টি।

প্রশ্ন-২৪। যকৃতের উদ্বৃত্ত গ্লুকোজ কিরূপে সঞ্চয় করে রাখে?

উত্তর : গ্লাইকোজেন রূপে।

প্রশ্ন-২৫। কোন এনজাইম শ্বেতসার পরিপাকে অংশ নেয়?

উত্তর : টায়ালিন।

প্রশ্ন-২৬। যকৃতে অ্যামাইনো এসিড কী জাতীয় পদার্থ শোষণে সাহায্য করে?

উত্তর : স্নেহ।

প্রশ্ন-২৭। ইউরিয়া কোথায় তৈরি হয়?

উত্তর : যকৃতে।

প্রশ্ন-২৮। অগ্ন্যাশয় রসে কোন এনজাইম থাকে?

উত্তর : লাইপেজ।

প্রশ্ন-২৯। সিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কোন রোগ হয়?

উত্তর : আমাশয়।

প্রশ্ন-৩০। বেরিয়াম এক্সরে-এর মাধ্যমে কোন রোগ নির্ণয় করা যায়?

উত্তর : গ্যাস্ট্রিক আলসার।

প্রশ্ন-৩১। ক্ষুদ্রান্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরে অবস্থিত আঙ্গুলের মতো অংশটি কী?

উত্তর : ভিলাই।

প্রশ্ন-৩২। কোন জাতীয় খাদ্য দেহে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে?

উত্তরঃ আমিষ জাতীয় খাদ্য দেহে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে।

দ্রবণীয়তার গুণ অনুসারে ভিটামিনকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তরঃ দ্রবণীয়তার গুণ অনুসারে ভিটামিন কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।যথা:- ১) স্নেহ জাতীয় পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন। যেমন- এ, ডি, ই এবং কে এবং ২) পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। যেমন – ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং সি।

খাদ্য বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ খাদ্য বলতে সেই সমস্ত জৈব উপাদানকে বোঝায় যেগুলো জীবের দেহ গঠন, ক্ষয় পূরণ এবং শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন যৌগের সমন্বয়ে গঠিত খাদ্য মূলত নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। খাদ্য জীবদেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তাপ ও কর্মশক্তি যোগাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

উদ্ভিদ পুষ্টি কী?

উত্তরঃ উদ্ভিদ মাটি ও পরিবেশ থেকে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরবৃত্তীয় কাজ এবং প্রজননের জন্য যেসব পুষ্টি উপাদানগুলো গ্রহণ করে তাই উদ্ভিদ পুষ্টি।

খনিজ পুষ্টি কী?

উত্তরঃ উদ্ভিদ তার বৃদ্ধি ও পরিপুষ্টির জন্য মাটি থেকে যে সকল পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে থাকে, সেগুলোই হলো খনিজ পুষ্টি।

সবাত শ্বসন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে CO2, H2O সহ বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে সবাত শ্বসন বলে।

উদ্ভিদের মাইক্রোউপাদান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যেসব উপাদান অত্যন্ত সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয় তাদেরকে মাইক্রোউপাদান বলে। মাইক্রোউপাদান ৬টি, যথা- জিংক (Zn), ম্যাংগানিজ (Mn), মোলিবডেনাম (Mo), বোরন (B), কপার (Cu) এবং ক্লোরিন (Cl)।

বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বেসাল মেটাবলিক রেট (BMR) হলো পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাপ। বেসাল মেটাবলিক রেট- এর মান হতে একজন সুস্থ ব্যক্তির কতটুকু ক্যালরি প্রয়োজন তা নির্ণয় করা যায়। বেসাল মেটাবলিক রেট- এর মান বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের গঠনের উপর নির্ভর করে।

রাফেজ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ রাফেজ হলো ফল, শাক-সবজি, শস্যদানা ইত্যাদিতে উপস্থিত আঁশ বা তন্তুর ন্যায় অপাচ্য অংশ। রাফেজ মূলত সেলুলোজ ও লিগনিন দ্বারা গঠিত জটিল শর্করা যা মানুষ হজম করতে পারে না। কিন্তু রাফেজযুক্ত খাবার মল নিষ্কাশন, স্থূলতা হ্রাস, ক্ষুধা প্রবণতা হ্রাস ও চর্বি জমার প্রবণতা হ্রাস করে এবং খাদ্যনালিকে পরিষ্কার রাখে।

উচ্চমানের আমিষ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের প্রাণিজ আমিষ যেমন– মাছ, মাংস, ডিম, পনির, ছানা, যকৃত ইত্যাদি উচ্চমানের আমিষ জাতীয় খাদ্য। এসব খাদ্যে দেহের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় যার সবকয়টা উদ্ভিজ্জ আমিষে থাকে না। তাই প্রাণিজ আমিষের জৈবমূল্য অনেক বেশি। সেজন্য প্রাণিজ আমিষকে উচ্চমানের আমিষ বলে।

গ্যাস্ট্রাইটিস বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ গ্যাস্ট্রাইটিস পরিপাকতন্ত্রের একটি রোগ। প্রধানত সময়মতো খাদ্য গ্রহণ না করলে এবং দীর্ঘদিন খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম হলে পাকস্থলীতে অম্লের আধিক্যের কারণে এ রোগ হয়। এক্ষেত্রে গলা, পেট জ্বালা করে ও পেটব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।

C4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ যে সকল উদ্ভিদে একই সাথে হ্যাচ ও স্ল্যাক চক্র এবং ক্যালভিন চক্র পরিচালিত হয় তাদের C4 উদ্ভিদ বলা হয়। এসব উদ্ভিদ উচ্চ তাপমাত্রায় খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। C3 উদ্ভিদের তুলনায় C4 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণ হার বেশি এবং উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। সাধারণত ভূট্টা, আখ, ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদিতে C4 চক্র পরিচালিত হয়। এ কারণে এরা C4 উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত।

খাদ্যপ্রাণ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ জীবদেহের স্বাভাবিক পুষ্টি, বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জৈবিক কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতি প্রয়োজনীয়, স্বল্প পরিমাণে খাদ্যে উপস্থিত জৈব-রাসায়নিক পদার্থ হলো খাদ্যপ্রাণ। খাদ্যপ্রাণ একপ্রকার জৈব অনুঘটক। এটি জীবদেহে কোনো শক্তি উৎপন্ন করে না। সাধারণত খাদ্যপ্রাণ উদ্ভিদদেহে সংশ্লেষিত হয়। এটি বিপাক ক্রিয়ায় উৎসেচকের সাথে কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে।

খাদ্যপ্রাণের কাজসমূহ লেখ।

উত্তরঃ খাদ্যের ৬ টি উপাদানের অন্যতম একটি উপাদান হলো ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ। ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ নানান ধরনের কার্য সম্পাদন করে। এগুলো হলো— দেহের রোগ প্রতিরোধ করা, দেহের বিভিন্ন কাজকর্ম সচল রাখা, দেহকে রক্ষা করা ইত্যাদি।

ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘কে’ এর অভাবে কী ঘটে?

উত্তরঃ ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রোগ :

১. রাতকানা রোগ হয়।

২. আবরণী টিস্যুর কোষ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে ত্বক ক্রমশ মসৃণতা হারায় এবং শুষ্ক হয়ে যায়।

৩. দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

৪. সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগ হতে পারে।

ভিটামিন ‘কে’-এর অভাবজনিত রোগ :

১. ক্ষতস্থান হতে ধারাবাহিকভাবে রক্তপাত হয়।

২. পিত্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x