Modal Ad Example
পড়াশোনা

মানচিত্র কাকে বলে? মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন?

1 min read

আয়তকার বা বর্গাকার কাগজে অংকিত পৃথিবী বা তার অংশের ছোট আকারের প্রতিরূপকে মানচিত্র বলে।

মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ
মানচিত্রকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. আকার ও স্কেল অনুসারে; ২. ব্যবহারিক বিশেষত্ব ও বিষয়বস্তু অনুসারে।

আকার ও স্কেল অনুসারে মানচিত্র বিভিন্ন রকম হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে–
১. মৌজা মানচিত্র;
২. ভুসংস্থানিক মানচিত্র;
৩. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র এবং
৪. দেয়াল মানচিত্র।

ব্যবহারিক বিশেষত্ব ও বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যেমন–
১. প্রাকৃতিক মানচিত্র;
২. জলবায়ু মানচিত্র;
৩. রাজনৈতিক মানচিত্র;
৪. অর্থনৈতিক মানচিত্র;
৫. জনসংখ্যা মানচিত্র এবং
৬. যাতায়াত মানচিত্র।

মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন?
পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের আলাদা আলাদা বিষয়গুলো নির্দেশ করার জন্য মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
মানচিত্রের মাধ্যমে বিচিত্র পৃথিবীর, বিভিন্ন অংশের প্রাকৃতিক অবস্থা, জলবায়ু, কৃষি, জনসংখ্যা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা এক একটি বিষয় নির্দেশ করা হয়। কোনো মানুষ উক্ত সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে অতি সহজেই পৃথিবীর সাগর, মহাসাগর, দেশ, মহাদেশ চিহ্নিত করতে পারে।

মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা
মানচিত্রের সাহায্যে অল্প জায়গার মধ্যে বড় আকারের কোন বিষয়বস্তুকে দেখানো যায়, যার সাহায্যে একটি সুস্পষ্ট ধারণা ও মাপ পাওয়া যায়। একটি মানচিত্র যেমন গোটা বিশ্বকে চিহ্নিত করে, তেমনি একটি মহাদেশ, দেশ, জেলা, ইউনিয়ন, থানা প্রভৃতিকেও নির্দেশ করে। মানচিত্রের সাহায্যে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা, ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু, নদ-নদী, পাহাড়, বনাঞ্চল, শস্য ইত্যাদি সম্পর্কে এক নজরে সমান ধারণা লাভ করা যায়। আর এসব কিছু জানার জন্য মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

কম্পাস ও মানচিত্রের পার্থক্য কি?
কম্পাস ও মানচিত্রের পার্থক্য নিম্নরূপ-

কম্পাস
১। এটি দিক নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র।
২। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে, যেকোনো পরিস্থিতিতে এই যন্ত্রের সাহায্যে দিক নির্ণয় করা যায়।
৩। অচেনা জায়গায় গিয়ে হারিয়ে গেলে এটি সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়।

মানচিত্র
১। এটি সীমানার অবস্থান নির্দেশ করে।
২। যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো স্থানের অবস্থান, সীমানা, আয়তন মানচিত্রের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।
৩। অচেনা ভূখণ্ডের সীমানা নির্ধারণে সঠিক নির্দেশ দেয়

5/5 - (1 vote)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x