তরঙ্গস্থিত স্পন্দিত একটি বস্তুকণা যে সময়ে একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে সে সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ঐ তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (Wave length) বলে।
অথবা, তরঙ্গ প্রবাহের অভিমুখে মাধ্যমের পর পর সমদশা সম্পন্ন দুটি কণার মধ্যবর্তী দূরত্বকে ঐ তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে। তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে λ (ল্যাম্বডা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
কোনো তরঙ্গের বেগ v এবং সে তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল বস্তুর কম্পাঙ্ক f হলে,
একটি তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য তার ফ্রিকোয়েন্সি / কম্পাঙ্ক এবং তার বেগের সাথে সম্পর্কিত। একটি তরঙ্গের বেগ হলো প্রতি একক সময়ে এটি যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেটা। তরঙ্গ বেগের মান হচ্ছে তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং তরঙ্গের কম্পাঙ্কের গুণফল। এই সম্পর্কটি তরঙ্গের সমীকরণ হিসাবে পরিচিত-
তরঙ্গ বেগ = তরঙ্গদৈর্ঘ্য × ফ্রিকোয়েন্সি
এই সমীকরণটি দ্বারা বোঝা যায় যে, যদি একটি তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাস পায় তবে একই বেগ বজায় রাখার জন্য এর কম্পাঙ্ককে অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। বিপরীতভাবে, যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়, তবে একই বেগ বজায় রাখতে ফ্রিকোয়েন্সিকে অবশ্যই কমাতে হবে।
তরঙ্গদৈর্ঘ্য তরঙ্গের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য যা তাদের আচরণ এবং বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। এটি একটি তরঙ্গের দুটি পরপর বিন্দুর মধ্যে দূরত্বকে নির্দেশ করে। এছাড়া এটি তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি এবং বেগের সাথে সম্পর্কিত। পদার্থবিদ্যা, প্রকৌশল এবং টেলিযোগাযোগ সহ অনেক ক্ষেত্রে তরঙ্গদৈর্ঘ্য নিয়ে জানাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দ্বারা অনেক ডিভাইস, সিস্টেমের নকশা এবং অপ্টিমাইজেশানের কাজ করা হয়। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।