Modal Ad Example
পড়াশোনা

রোধ কাকে বলে? রোধের কারণ বা উৎপত্তি, একক, সূত্র।

1 min read

রোধ কাকে বলে? (What is called Resistance in Bengali/Bangla?)
পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে রোধ (Resistance) বলে।

রোধের কারণ বা উৎপত্তি
আমরা জানি, তড়িৎ প্রবাহ মানেই ইলেক্ট্রনের প্রবাহ। কোনো পরিবাহকের দুই প্রান্তে বিভবের পার্থক্য হলে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। এই ইলেকট্রন স্রোত পরিবাহকের মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহকের অভ্যন্তরস্থ অণু পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পরিবাহকের এই বাধা দেয়ার ধর্মই হল রোধ।

রোধের একক (Unit of Resistance)
রোধের একক ও’ম (ohm. 2 )

সংজ্ঞা : কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য 1 volt হলে এর মধ্য দিয়ে 1A তড়িৎ প্রবাহিত হলে উক্ত পরিবাহীর পরিবাহার রোধ হবে 12।

রোধের সূত্র (Law of Resistance)
কোন পরিবাহীর রোধ পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, উপাদান ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। রোধের এ নির্ভরশীলতার উপর ভিত্তি করে রোধের তিনটি সূত্র আছে। সূত্রগুলো নিচে বর্ণনা করা হল :

১। দৈর্ঘ্যের সূত্রঃ তাপমাত্রা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, কোন পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্বচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং রোধ R হলে সূত্রানুসারে, R L যখন A ধ্রুবক।

২। প্রস্থচ্ছেদের সূত্রঃ তাপমাত্রা, উপাদান ও দৈর্ঘ্য স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর রোধ পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ, কোন পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং রোধ R হলে সূত্রানুসারে, R 1 / A যখন L ধ্রুবক।

৩। উপাদানের সূত্রঃ তাপমাত্রা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে বিভিন্ন পরিবাহীর রোধ বিভিন্ন হয়।

 

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে?” আর্টিকেলটিপছন্দ হয়ে থাকলে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

2.7/5 - (121 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x