প্রশ্ন-১. মোটরের স্টার্টার কাকে বলে?
উত্তর : মোটরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে কন্ট্রোল যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে মোটরের স্টার্টার বলে। অন্যভাবে বলা যায়, মোটরের আর্মেচার রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি করে কারেন্টের মান নিরাপদ সীমার মধ্যে রাখার জন্য আর্মেচারের সাথে সিরিজে যে পরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করা হয় তাকে স্টার্টার বলে।
প্রশ্ন-২. মোটরকে জেনারেটরের বিপরীত যন্ত্র বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : তড়িৎ মোটর তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। অপরদিকে, জেনারেটর যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। তাই মোটরকে জেনারেটর এর বিপরীত যন্ত্র বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. তড়িৎ মোটর কি?
উত্তর : তড়িৎ মোটর হচ্ছে একটি যন্ত্র, যার সাহায্যে তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
প্রশ্ন-৪. তড়িৎ মোটর কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : তড়িৎ মোটর দুই প্রকার। যথা– ১. এসি মোটর ও ২. ডিসি মোটর।
প্রশ্ন-৫. কম্যুটেটর কাকে বলে? কম্যুটেটরের কাজ কি?
উত্তর : যে ডিভাইসের মাধ্যমে এসিকে ডিসিতে রূপান্তর করা হয় তাকে কম্যুটেটর বলে। কম্যুটেটরের প্রধান কাজ হলো অল্টারনেটিং কারেন্ট (এসি)-কে ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি)-তে রূপান্তরিত করা।
প্রশ্ন-৬. ফ্লেমিংয়ের বামহাতি নিয়ম কি?
উত্তর : মোটরের ঘূর্ণনের দিক নির্ণয়ের জন্য ফ্লেমিং একটি নিয়ম উদ্ভাবন করেন। এই নিয়মকে ফ্লেমিংয়ের বামহাতি নিয়ম বলে।
ফ্লেমিংয়ের বামহাতি নিয়মঃ বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও মধ্যমাগুলো পরস্পরের সাথে সমকোণে প্রসারিত করলে যদি তর্জনী চুম্বক ফ্লাক্সের দিক এবং মধ্যমাগুলো পরিবাহী তারের কারেন্ট প্রবাহের দিক নির্দেশ করে। তবে, বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণন দিক নির্দেশ করবে।
প্রশ্ন-৬. কীভাবে একটি তড়িৎ মোটরকে জেনারেটর হিসাবে ব্যবহার করা যায়?
উত্তর : তড়িৎ মোটর এবং জেনারেটরের মূল গঠন একই রকম। উভয়টিতে কয়েল বা তাড়িতচুম্বক, স্থায়ী চুম্বক এবং ঘূর্ণনক্ষম আর্মেচার রয়েছে। তড়িৎ মোটরের আর্মেচারকে কোনো যান্ত্রিক উপায়ে ঘুরানো সম্ভব হলে এর সাথে সংযুক্ত তড়িৎ সরবরাহ লাইনের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলবে। কম্যুটেটরের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে এই তড়িৎ সম প্রবাহ বা পর্যাবৃত্ত প্রবাহ হতে পারে। এভাবে তড়িৎ মোটরকে জেনারেটর হিসাবে ব্যবহার করা যায়।