১৭৪২ সালে সুইডেনের জ্যোতির্বিদ অ্যানডার্স সেলসিয়াস নিম্ন স্থিরাঙ্ককে ০° এবং ঊর্ধ্ব স্থিরাঙ্ককে ১০০° ধরে তাপমাত্রার একটি স্কেল প্রবর্তন করেন। এটি তাপমাত্রার সেলসিয়াস স্কেল নামে পরিচিত।
সংজ্ঞা : যে স্কেলে বরফ বিন্দুকে 0° এবং স্টিম বিন্দুকে 100° ধরে মধ্যবর্তী মৌলিক ব্যবধানকে 100 ভাগে ভাগ করা হয়েছে, সেই স্কেলকে সেলসিয়াস স্কেল বলে। এর এক এক ভাগকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস (1°C) বলা হয়।
তাপধারণ ক্ষমতা ও আপেক্ষিক তাপের মধ্যে সম্পর্ক কী?
কোনো বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে যে তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ বস্তুর তাপ ধারণ ক্ষমতা বলে। আবার যদি বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক তাপ s হয়, তবে একক ভরের বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে s জুল তাপের প্রয়োজন হয়।
∴ 1 kg বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে তাপের প্রয়োজন = s জুল।
∴ m kg বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে তাপের প্রয়োজন = ms জুল
এটাই mkg ভরের বস্তুর তাপধারণ ক্ষমতা
অতএব, তাপধারণ ক্ষমতা, C = ms জুল
বা, তাপধারণ ক্ষমতা = ভর x আপেক্ষিক তাপ
সুতরাং আপেক্ষিক তাপ = তাপধারণ ক্ষমতা/ভর
এটাই তাপধারণ ক্ষমতা ও আপেক্ষিক তাপের সম্পর্ক।