আজকে আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে কফি । কফির উপকারিতা, ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েই আলোচনা করা হবে উক্ত লিখায়৷
কফি কি
কফি হলো একটি জাদুকরী পানীয়৷ শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়ার গরম এক কাপ কফি তে চুমুক কার না ভালো লাগে?
এই গাঢ় রঙের গরম পানীয় স্বাদে কিছুটা তিক্ত ও এসিডিক হলেও এর চাহিদা ব্যাপক।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiIlEUhOwefeiieHUBF_U7Bd8lfLxRiYvWsnnvl28BvVpesZV-dIBCSFPbgIM4KLN7X0cdAQzE5HdSZOjkCNot5Sd6Tq3CD09SvboKbVu5ovwHligAPrwKPPFkw9l1vVbU87NHcHQLHdqqvm5mKLo4p-xiMx2RRaxfjQnYh1-nnZlicxdXQ0tAQlsvm3d0/s16000/coffee%20(1).jpg)
খুবই একটা অবাক করা তথ্য হলো যে আনুমানিক প্রায় ৪০০ বিলিয়ন কফি প্রতিদিন সারাবিশ্বে পান করা হয়ে থাকে।
কফির স্বাদ ও ঘ্রান নির্ভর করে বিন কতোটা সেঁকা হয়েছে তারওপর।
কফির দুটি সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈচিএ্য হলো অ্যারাবিকা এবং রোবাস্টা। অ্যারাবিকা কফি খুবই উচ্চতর গুন মানসম্পন্ন এবং এটি চমৎকার ঘ্রান,সুগন্ধ এবং স্বাদের অধিকারী ।
এটি সাধারনত গরম অবস্থায় পরিবেশন করা হয়ে থাকে তবে বরফ যুক্ত কোল্ড কফি ও ব্যাপক জনপ্রিয়।
বিশ্বে ব্রাজিল হলো কফির বৃহত্তম উৎপাদক।পানীয় হিসেবে কফির প্রধান সাফল্য এর মধ্যে বিদ্যমান ক্যাফিন যা মানবশরীরের কর্মশক্তির প্রভাব গুলো তে খুব বেশি আরোপিত হয়।
তাছাড়াও এর কিছু বিশেষ উপকারিতা রয়েছে যেমনঃ বিষন্নতা কাটাতে, স্তন ক্যান্সার রোধে এবং যকৃৎ সুরক্ষায় সাহায্য করে।
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য জৈবিক যৌগগুলোর একটি সমৃদ্ধ উৎস যা শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
কফির গাছ ইথিওপিয়ার ক্যাফা অঞ্চল থেকে উদ্ভুত হয়েছে বলে মনে করা হয়ে থাকে।
তাছাড়াও হাওয়াই,মেক্সিকো, পোয়ের্টো রিকো, কোস্টারিকা,কলোম্বিয়া,ব্রাজিল,ইথিওপীয়া,কেনিয়া,ভারত, ইয়েমেন ইত্যাদি জায়গায় কফির চাষ করা হয়ে থাকে।
কফির উপকারিতা
১. বিষন্নতার জন্যঃ ডোপামিন হরমোনের উপর এর প্রভাবের কারনে এটি বিষন্নতা রোধ করতে সাহায্য করে।
২. দৃষ্টির জন্যঃ এটি রেটিনার অবক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
৩. মৌখিক স্বাস্হ্যের জন্যঃ দুধ, চিনি ছাড়া কফি দাতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
৪. ডায়াবেটিস এর জন্যঃ টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কফির ব্যবহার রয়েছে।
৫. হৃদপিণ্ডের জন্যঃ প্রতিদিন ৩ কাপ কফি পান স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, করোনারী হার্ট ডিজিজের মতো কিছু কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের বিপদ কমায়।
৬. ক্যান্সারের বিরুদ্ধেঃ রজঃনিবৃত্তির পরবর্তিকালে মহিলাদের ক্ষেত্রে ১০% স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়৷
এটি কোলোরেক্টেরাল ক্যান্সারের বিপদ কমাতেও সাহায্য করে৷
৭. যকৃতের জন্যঃ নিয়মিত কফি পান যকৃতের এনজাইম গুলোর উপর প্রভাব ফেলার মাধ্যমে যকৃত কে সুরক্ষিত রাখে৷
কফির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১. এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে
২. অনিদ্রা ঘটায়।
৩. বদহজম এবং মাথা ধরা সৃষ্টি করে।
৪. এটিগর্ভস্রাবের দিকে চালিত করতে পারে।
৫. ফাইব্রোসিস্টিক স্তনের বিপদ বাড়ায়৷
সুতরাং আমাদের মনে রাখতে হবে যে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ফাইটোক্যামিকেল ও ক্যাফিন দিয়ে ভরা যা বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে আমাদের রক্ষা করে ।
কিন্তু যদি আপনি অনিদ্রার মতো সমস্যায় ভুগেন তবে অত্যধিক কফি পান আপনার জন্য প্রধান ক্ষতির ও কারন হতে পারে। তাই প্রতিদিন কতো কাপ পান করা হয় তার হিসেব রাখা উত্তম।