উকুন দূর করার উপায় মাত্র ৭ দিনে | সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়
আজকে আলোচনা করব উকুন দূর করার উপায় সমূহ।কিছু কিছু লোক রয়েছেন যাদের মাথায় প্রচুর পরিমাণে উকুনের বাসা বেঁধে রয়েছে । তাদের জন্য আজকে আমাদের এই আলোচনা। কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে উকুন দূর করবেন সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করুন। অনেকে উকুন দূর করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ।
চলুন তাহলে দেখে নেই উকুন দূর করার উপায় সমূহ।
উকুন কে ইংরেজিতে পেডিকুলোসিস বলা হয়। ও কোন হচ্ছে এক ধরনের পরজীবী পোকা।
মাথায় যখন উকুন হয় তখন 7 থেকে 10 দিনের মধ্যে ডিম পাড়া শুরু করে দেয় উকুন। আর পরের দিনগুলোতে যেমন 10 দিনে মাথার উকুন গুলো দিন দিন বড় হতে থাকে। তাই এভাবে উকুন ডিম সৃষ্টি করে যার ফলে দিনদিন ওজন বেড়ে যায় সম্পূর্ণ মাথায় উকুন ছড়িয়ে পড়ে।
মাথায় উকুন প্রদানেও কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো জেনে নিন।
মাথায় উকুন হওয়ার কারণ হল মাথা পরিষ্কার রাখা ধুলাবালি ময়লা থাকলে ভিজা চুল থাকলে তেল না দেওয়া থাকলে ইত্যাদি এসব যদি সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনার মাথার চুলে উকুন হতে পারে।
তাই অবশ্যই এবং উকুন দূর করার জন্য আপনাকে মাথা পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিষ্কার রেখে ব্যবহার করার যে তেল আপনি ব্যবহার করে থাকেন সে তেল ব্যবহার করে ফেলুন। এইসব করার পর আপনার চুলে উকুন থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।
উকুন কেন হয় জেনে নিনঃ
উকুন কেনহয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । আপনি যখন আপনার মাথা ও পরিষ্কার রাখবেন তখনই উকুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উকুন দূর করার উপায়ের জন্য অবশ্যই আপনাদের মাথা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং তেল দিয়ে রাখতে হবে। এসব করা পর আপনার চুলে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমে যেতে সাহায্য করে।
উকুন হওয়ার কারণ গুলো জেনে নিনঃ
- আপনার চুলকে আপনি যদি নিয়মিত পরিষ্কার না রাখতে পারেন
- মাথায় যদি প্রচুর পরিমাণে খুশি হয়ে থাকে
- মাথা যদি অপরিষ্কার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- আপনি যদি কখনো ভিজা চুল বেঁধে রাখেন সে ক্ষেত্রে উকুন হবেই।
- আপনি যদি ভুলেও কখনো অন্যের চিরুনি বা টাওয়েল ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে যদি কারো মাথায় উকুন থাকে সেক্ষেত্রে আপনি তাকে এড়িয়ে চলুন
উকুন দূর করার উপায় সমূহ জেনে নিনঃ
উপমহাদেশে মাথার উকুন দূর করার উপায় কার্যকর করার জন্য সাধারণ উকুন নাশক বিভিন্ন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে দেখা যায়। পাশ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছেএই শ্যাম্পুতে শ্যাম্পু গুলো আপনার মাথার স্কিন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।চুল অতীত তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। কোন কৃত্রিমঔষধ ব্যবহার না করে আপনি প্রাকৃতিক প্রতিবেদক ব্যবহার করা দরকার।
উকুন দূর করার বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে নিচে উল্লেখ করা হলো সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। এখানে যেই উপকরণগুলোর কথা বলা হয়েছে সে উপকরণগুলো আপনার মাথার উকুন খুব দ্রুত তাড়াতে সাহায্য করবে।
খুব সহজেই আপনি আপনার হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন উকুন। এর পাশাপাশি উপকরণগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় হবে । এতে কোন ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
নিম তেল ব্যবহার করুনঃ
উকুন দূর করার উপায় কার্যকর করার জন্য আপনি নিম তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। লিন্টেল মাথার চুলকানি এবং উকুন দূর করতে সাহায্য করে। আপনি কি উকুন থেকে মুক্তি পেতে চান। আপনি যদি উকুন থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিম তেল ব্যবহার করতে পারবেন।
গোসলের সময় শ্যাম্পুতে একটু পরিমাণে নিমের তেল মিশিয়ে নিন। আপনার হাতের তালুতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু এর সঙ্গে পরিমাণমত তেল মিশিয়ে নিন তারপর মাথায় ব্যবহার করুন।ভ এই মিশ্রণটি আপনার মাথার উকুন দূর করতে সাহায্য করবে। এমএসডি ব্যবহার করার পর আপনার মাথায় উকুনের ডিম দূর হতে সাহায্য করবে।
নারকেল তেল ব্যবহার করার নিয়মঃ
নারিকেল তেল আমাদের প্রাচীনকাল থেকেই ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি তেল। নারিকেল তেলের প্রাকৃতিক গুনাগুন জেনে নিন। 2010 সালে ব্রাজিলে হওয়া একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে নারকেল তেল প্রাকৃতিক ভাবে উকুন দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে রাখেন।
আপনার মাথার উকুন দূর করার জন্য আপনি নারিকেল তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লবঙ্গ তেল মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করে দেখুন ।এরপর আপনার মাথার উকুন দূর হতে সাহায্য করবে।
তাই আপনি এই দুটি উপকরণ মিশিয়ে আপনার চুলে বা মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। এই উপকরণ ব্যবহার করার পর আপনার মাথায় উকুন খুব দ্রুত দূর হতে সাহায্য করবে। প্রায় 80% উকুন মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লেবুর রস এর ব্যবহারঃ
লেবু বা লেবুর রস খুবই উপকারী একটি উপাদান। আমরা সকলেই জানি লেবু প্রাকৃতিক জীবনী হিসেবে কাজ করে থাকেন। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার মাথার উকুন দূর করতে পারবেন লেবুর রস দিয়ে।
লেবুর রস উকুন দূর করার জন্য খুবই খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। গোসলের অন্তত এক ঘন্টা পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে লেবুর রস নিয়ে তারপর চুলে লাগিয়ে রাখুন। এরপর লেবুর রস 1 ঘন্টা মাথায় লাগিয়ে রেখে দিন। এক ঘন্টা পর গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রসের ব্যবহার সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারবেন। লেবুর রস আপনার মাথার উকুন দূর করতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান তাই আপনি লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
রসুনের পেস্টঃ
রসুন আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু আমরা হয়তো জানি না যে রসুন দিয়ে মাথার উকুন দূর করা যায়। তাই আজকে আলোচনা করবো রসুন দিয়ে কিভাবে আপনি মাথার উকুন দূর করবেন।চলুন তাহলে জেনে নেই রসুনের পেস্ট দিয়ে কিভাবে আপনি মাথার উকুন দূর করবেন।
প্রথমে পরিমাণ মতো কয়েক টুকরো রসুন নিয়ে নিন। তারপর রসুন গুলো ভালো করে ধুয়ে নিন এবং খোসা ছাড়িয়ে রসুন পেস্ট তৈরি করে নিন। রসুনের পেস্ট এর সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তারপর রসুনের পেস্ট আপনার মাথায় ব্যবহার করুন।
খুব ভালোভাবে ঘষে ঘষে ব্যবহার করতে হবে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে রসুনের পেস্ট লাগিয়ে দিতে হবে । ভালো করে ঘষে ঘষে 20 থেকে 30 মিনিট এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে রাখুন।
তারপর হাল্কা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহারের নিয়ম সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন। রসুনের পেস্ট যদি আপনি চুলে ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার মাথার উকুন অল্পদিনে দূর হতে সাহায্য করবে।
চিকন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুনঃ
চিকন দাঁতের চিরুনি আপনি অল্প সময়ের মধ্যে মাথার উকুন দূর করতে পারবেন। বাজারে মাথার চুল আঁচড়ানোর সাধারণ চিরুনির পাশাপাশি চিকন দাঁতের চিরুনি রয়েছে সেটি দিয়ে আপনি খুব দ্রুত পরিষ্কার করতে পারবেন।
বেশি ঘন চিরুনি দিয়ে যদি আপনি চান সে ক্ষেত্রে উকুন খুব দ্রুত আনতে পারবেন। তাই চিরুনির ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চিকন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। চিকন দাঁতের চিরুনি আপনার চুলের গভীর থেকে উকুন আনতে সাহায্য করবে।
মাথার উকুন দূর করার জন্য ইতিহাসে জানা যায় যে কাঠের তৈরি খুবই চিকন দাঁতের চিরুনি পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করে থাকেন।
প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করে তারপর চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন যার ফলে আপনার চুলের উকুন খুব দ্রুত পড়ে যেতে সাহায্য করবে। আপনি যখন এই চিরুনি দিয়ে মাথা চিরুনি করবেন আপনি নিজেই প্রমাণ পাবেন এবং দেখতে পাবেন উকুন গুলোর সাথে কিভাবে চলে আসছে।
ভিনেগারঃ
অতিরিক্ত উকুন দূর করার জন্য আপনি সর্বশেষ একটি উপায় বের করতে পারেন সেটা হচ্ছে ভিনেগারের কাজ। ভিনেগার দিয়ে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উকুন মারতে পারবেন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ভিনেগার কেবল উকুন দূর করে না ডিমগুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
ভিনেগার কিভাবে ব্যবহার করবেন উকুন দূর করার জন্য জেনে নিন। সাধারণ তেলের মতো একটি মিশ্রণ তৈরী করে তারপর ঘুমানোর আগে তার চুলে লাগিয়ে রাখুন।
ভিনেগার ব্যবহার করার নিয়ম আমরা যে সাধারণ তেল ব্যবহার করি ঠিক সে রকম ভাবে ব্যবহার করুন। রাত্রে ঘুমানোর আগে ভিনেগার ব্যবহার করে তারপর সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহারের নিয়ম সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন। যার ফলে আপনার মাথার উকুন খুব দ্রুত মরে যেতে সাহায্য করবে।
সবথেকে কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে লবণ ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনি আপনার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন অল্প দিনের মধ্যে বা অল্প সময়ের মধ্যে আপনার মাথার উকুন দূর হতে সাহায্য করবে। লবণ আপনার উকুন কে একেবারে দুর্বল করে ফেলে।
লবণ এবং ভিনেগার এই মিশ্রণটি যদি আপনি উকুন মারার জন্য ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে বড় কোনগুলো মরেনা তবে বড় কোনগুলো কখনো মাথায় থাকবে না। বড় কোনগুলো এমনিতে ঝরে পড়ে যাবে।
হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা জেনে নিনঃ
গরম বাতাস এর মধ্যে হেয়ার ড্রায়ার এর ব্যবহার আপনি খুব দ্রুত উকুন মেরে ফেলতে পারবেন। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করার পর আপনার মাথার যে পরিমাণ উকুন থাকবে সেই উকুনগুলো দূর হতে সাহায্য করবে খুবই কার্যকরী এই হেয়ার ড্রায়ার প্যাক।এই উপকরণটি আপনার মাথার উকুন কে খুবই দ্রুত ধ্বংস করতে সাহায্য করবে।
উকুন দূর করার জন্য আরও কিছু টিপস জেনে নিনঃ
- মাখন ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তারপর মাথায় লাগিয়ে রাখুন। 10 থেকে 15 মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একদিন পরপর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
- দুই থেকে তিন দিন পর পর ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনার মাথার উকুন দূর হতে সাহায্য করবে
- বাচ্চাদের মাথায় যদিও উকুন হয় সে ক্ষেত্রে অ্যান্টি লাইস শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন।
- মাথা চামড়ায় ও পুরো চুলে মেওনিস লাগিয়ে তারপর ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মেওনিস লাগানোর পর এক ঘন্টা পরে চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে আছে ফেলুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার মাথার উকুন দূর হতে সাহায্য করবে।
- রসুন বাটা, অলিভ অয়েল, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে তারপর মাথায় লাগিয়ে রাখুন 2 ঘন্টার জন্য। দুই ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর সাদা ভিনেগার মাথায় দিয়ে রাখুন। এরপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন।
উকুনের সংক্রমণ এড়াতে করণীয় কিঃ
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে বলা হয়েছে যে যদি কারো মাথায় উকুন থাকে সে ক্ষেত্রে সেই লোকগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ আপনি যদি উপরের যেই বিষয়গুলো মেনে চলবেন উকুন দূর করার জন্য সে ক্ষেত্রে আপনার উকুন কখনো দূর হবে না।
তাই এইসব লোক থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শ্যাম্পু করুন নিয়মিত মাথা পরিষ্কার রাখুন ভিজা চুল কখনো বেঁধে রাখবেন না ইত্যাদি এসবের কারণে চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে ওনার সমস্যাটা অতিরিক্ত দেখা দেয় তাই চুলের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস করুন। মাথায় খুশকি থাকে সেক্ষেত্রে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করুন এবং মাথা সবসময় চিরুনি করে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার মাথা ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনে আলাদা চিরুনি ব্যবহার করুন এবং আলাদা গামছা বা টাওয়ার ব্যবহার করুন ইত্যাদি। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো যে নিয়ম গুলো বলা হয়েছে সেই নিয়ম অনুসারে আপনি যদি আপনার চুলের যত্ন নিতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার চুলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে না বিশেষ করে আপনার মাথার উকুনের সমস্যা দেখা দেবে না।
শর্টকাট কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নিনঃ
- উকুন ও নেটের মাধ্যমে পার্থক্য কি?
- উত্তর একদিকে উকুনের ডিম কে বলা হয় অন্যদিকে উকুন এক ধরনের পরজীবী।
- উকুন ও নীট কি আমার মাথায় অনেক চুল থেকে আসতে পারে জেনে নিন?
- উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই উকুন খুব সহজেই একজন এর মাথা থেকে আরেকজনের মাথায় চলে আসতেই পারে। এবং এই সমস্যাটা হয়ে থাকে তাই আপনাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া খুবই দরকার।
- উকুন মারার জন্য বাজারে যে ওষুধগুলো পাওয়া যায় সেগুলো কি ক্ষতিকর জেনে নিন?
- উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই ক্ষতিকারক এ ধরনের ঔষধ আপনি কখনো আপনার উকুন মারার জন্য ব্যবহার করবেন না। উকুন দূর করার উপায়ের জন্য আপনি যদি বাজারের এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার উপর দূর হবে কিন্তু আপনার চুল একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে।
- লবণ ও পানি উকুন মারতে সাহায্য করে
- উত্তর লবণ ও পানি দিয়ে উকুন মরে যাবে কিন্তু এর সঙ্গে যদি আপনি একটু ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার উকুন খুব দ্রুত দূর হতে সাহায্য করবে এবং উকুনের ডিম গুলো রয়েছে সেগুলো মরে যেতে সাহায্য করবে।
- কেমন ধরনের ছেলে উকুন এর প্রভাব ফেলতে পারে জেনে নিন?
- উত্তর কমবেশি অনেকের চুলে উকুনের বাসা বেঁধে থাকে। কারো বেশী কারো কম ও কোন থাকবেই এসবের মূল কারণ হচ্ছেযদি আপনি আপনার মাথা অপরিষ্কার রাখেন এবং ভিজা চুল বেঁধে রাখেন এবং তেল ছাড়া রাখেন ইত্যাদি এসবের কারণে আপনার চুলের উকুন হওয়ার প্রভাব ফেলতে পারে।
- মাথায় যদি প্রচুর পরিমাণে ময়লা থাকে এবং খুশি থাকে সে ক্ষেত্রেও কোন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই যতটা সম্ভব পরিষ্কার হওয়ার বা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সর্বশেষ কথাঃ
ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি উকুন সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। অনেকেই উকুন নিয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বিরক্ত হয়ে আছেন। মাথায় উকুন হওয়া এটা আসলেই ভালো জিনিস না এটা অবশ্য একটি খারাপ দিক ।তাই মাথায় উকুন হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এবং অস্থির অস্থির লাগে ।
ঘুমের সমস্যা হয় ইত্যাদি এ জন্যযারা উকুন নিয়ে একদম বিরক্ত হয়ে আছে আজকে তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে আপনি জেনে নিন কিভাবে আপনার মাথার উকুন দূর করবেন খুব সহজ উপায়।
অনেকেই অনেক চেষ্টার ফলে ব্যর্থ হয়ে যায়। পরিশেষে কোন উপায় থাকে না উকুন দূর করার জন্য কিভাবে উকুন দূর করবে কি করলে উকুন দূর হবে ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে থাকে। আজকের এই আলোচনা আপনাদের জন্য আপনারা আমাদের এই পোস্টের সঙ্গীত থেকে জেনে নিন কিভাবে আপনার মাথার অতিরিক্ত উকুন দূর করতে পারবেন ।বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে পোষ্টের মাধ্যমে।
এজন্য বলছি যে আর দেরি না করে আমাদের এই পোষ্টের যে এই নিয়মগুলো দেওয়া হয়েছে সেই নিয়ম গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার মাথার জন্য একটি শান্তি নিয়ে আসুন কিভাবে আপনি উকুন দূর করবেন সকল বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এই বিস্তারিত আলোচনা গুলো আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।