গোসলের সময় শিশু কান্না করে কারণ ও সমাধান জেনে নিন
গোসলের সময় শিশু কান্না করে/ কারণ ও সমাধান জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব গোসলের সময় শিশুরা কেন কান্না করে এর কারণ কি এবং সমাধান পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন|কিছু কিছু শিশু রয়েছেন যাদেরকে গোসল করানোর সময় অনেক কষ্ট করে বা বিরক্ত হয়ে গোসল করানো হয় এই বিরক্তকর বা কষ্টকর কাজ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজকে আমাদের এই আলোচনাতে জেনে নিন গোসলের সময় শিশুরা কেন কান্না করে কারণ কি সমাধান পাওয়ার জন্য এই পোষ্টের সঙ্গে থাকুন |
কিছুকিছু বাচ্চার রয়েছেন যারা পানিতে গোসল করালে বা পানি দেখলে অনেক খুশি হয়ে থাকে আবার কিছু বাচ্চা রয়েছেন যারা পানি দেখলে অনেক কান্না করে এবং ভয় পায় আবার কিছু বাচ্চা রয়েছে যারা একদমই পানিতে খেতে পছন্দ করেন না এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের এই পোষ্টের সঙ্গে থাকুন| বাচ্চাদের গোসলের সময় কান্না করার কারন ও সমাধান সম্পর্কে
পানির তাপমাত্রাঃ বাচ্চাকে গোসল করার সময় এবং রোদে দাঁড় করানোর সময় অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে বেশি পরিমাণে ঠান্ডা পানিতে এবং বেশি পরিমাণে রোদ্রে যদি বাচ্চাদের রাখতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে বাচ্চারা কান্নাকাটি করতে থাকি। এদিকে খেয়াল রেখে আপনার বাচ্চাকে গোসলের সময় নির্ধারণ করতে হবে।
সব সময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাদেরকে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করানো। যার ফলে বাচ্চার শরীরে জীবাণুমুক্ত হবে এর সঙ্গে বাচ্চারা অনেক আনন্দ নিয়ে গোসল করতে থাকে তাদের কান্না কাটি হতে সাহায্য করে কারণ তারা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় পাচ্ছে না এবং অতিরিক্ত গরম পানি ও পারছে না এ জন্য তারা এই পানিতে গোসল করতে পছন্দ করেন এবং এই পানিতে গোসল করার ফলে তাদের কান্নাকাটি বন্ধ হতে সাহায্য করে।
পানির গতিঃ আপনি আপনার সন্তানের গোসল করানোর সময় অবশ্যই আপনাকে পানি ঢালার সময় অল্প অল্প করে পানি ঢালতে হবে। কারণ আপনি যদি বেশি পরিমাণে পানি ঢালতে চান এতে করে আপনার সন্তানের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এবং কান্নাও করতে পারে গোসলের জন্য অবশ্যই আপনাকে বড় একটি গামছা নিতে হবে। আপনার সন্তানের শরীরে পানি ঢালার সময় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের নাকে কানে পানি না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে আপনার সন্তানকে গোসল করাতে হবে যার ফলে আপনার শিশু গোসল করতে কখনো ভয় বা কান্নাকাটি করবে না।
র্যাশ,জ্বালাপোড়া বা ঘাঃআপনার সন্তানকে গোসল করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যদি আপনার সন্তানের শরীরে ঘা বা কোন কাটা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে সে সমস্যার কারণে আপনাকে গোসলের ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেটা হচ্ছে অল্প পরিমাণে পানি ঢালতে হবে সাবান পানি একটু কম দিতে হবে যার জন্য জ্বালাপোড়া করবে এ জন্য আপনাকে অবশ্যই সাবান পানি কম ব্যবহার করতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে আপনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার সন্তানকে আপনি সাবান পানি দিয়ে গোসল করাতে পারবেন।
ক্ষুধাঃ গোসল করানোর সময় আপনাকে আরও একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে দেখতে হবে আপনার সন্তানের ক্ষুধা লেগেছে কিনা এবং ক্লান্ত অনুভব করছি কিনা যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে আপনি বাচ্চার ক্ষুধা মিটিয়ে এবং ক্লান্তি দূর করে তারপর গোসল করাতে পারবেন। সন্তানকে খাওয়ানোর কমপক্ষে 30 থেকে 45 মিনিট পর গোসল করাতে নিয়ে যেতে হবে।
সময় মেনে চলাঃ আপনার সন্তানকে আপনি যখন গোসল করাবেন প্রতিদিন এক সময়ে আপনার সন্তানকে গোসল করাতে হবে কারণ বাচ্চাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায় জল চলে আসে এজন্য প্রতিদিন এক টাইমে গোসল করানো দরকার। যার ফলে আপনার সন্তান থাকবে সবসময় সুস্থ। আর যদি আপনি নিয়ম ছাড়া অনিয়মে গোসল করান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য ডাক্তাররা বলে থাকেন আপনার সন্তানকে কমপক্ষে এক বছর পর্যন্ত একটি শিশুকে প্রতিদিন একটাই মেয়ে গোসল করানো খুবই জরুরী।
একটি সন্তান যদি নিজে থেকে ঘুম না আসে তবে তাকে ঘুম পাড়ানো খুবই কঠিন হয়ে যায়। ঠিক সেই রকমই একই সময়ে যদি আপনি গোসল না করার সে বাচ্চা গোসল করতে চায় না।
আজকের আলোচনাতে রয়েছিল গোসলের সময় শিশু কান্না করে কেন কারণ ও সমাধান জানিয়ে দিয়েছি আপনারা সকলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনি আপনার শিশুর সুবিধার জন্য খুব সহজেই সহজ পদ্ধতিতে আপনি আপনার শিশুকে গোসলের সময় কান্না থেকে দূরে রাখতে পারবেন এবং কারণ সমস্যাগুলো জেনেছি সেগুলো জেনে আপনার সন্তানকে নিয়মিত গোসল করেন।