Lifestyle

কিভাবে ত্বক ভালো রাখা যায়?

1 min read

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভারতের আয়না স্কিন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা ডা. সিমাল সোইন বলেন, “ত্বক ভালো রাখতে উজ্জ্বল রংয়ের সবজি, টক-জাতীয় খাবার, পরিষ্কার পানীয়, প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্যকর।”

“কোনো কারণে এগুলো পাওয়া না গেলে ভিটামিন সি ট্যাবলেট, মাছের তেলের ক্যাপ্সুল ও কোলাজেন পাউডার গ্রহণ করা যেতে পারে।”

এছাড়াও

হলুদ: প্রাচীনকাল থেকে হলুদ রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষত ঘরোয়া ফেইস প্যাক তৈরিতে। প্রদাহ ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ ত্বকের নানাবিধ সমস্যা ও ‘ব্রেক আউট’ দূর করতে সাহায্য করে।

হলুদ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা বয়সের ছাপ ধীর করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। খালি পেটে হলুদ-পানির মিশ্রণ পান করা হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

বিট: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে চাইলে বিটরুট খাওয়া যেতে পারে। বিট লৌহ সমৃদ্ধ যা, রক্ত পরিশোধনে খুব ভালো কাজ করে- এবং একারণেই ত্বক দেখতে উজ্জ্বল লাগে। এতে আছে ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকে প্রাকৃতিক পুষ্টি যোগায়। দাগ, ছোপ দূর করে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। উপকার পেতে প্রতিদিন বিটের তৈরি জুস বা সিদ্ধ বিট খেতে পারেন।

টমেটো: এতে আছে লাইকোপেন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষয় কমায়, ত্বক টান টান ও তারুণ্যময় রাখতে সহায়তা করে। এতে আছে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের গুণ। সূর্যের প্রতি সংবেদনশীলতা কমাতেও টমেটো সহায়তা করে। টমেটো টক স্বাদের হয় ভিটামিন সি’য়ের জন্য যা ‘সিবাম’ বা ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আর ব্রণ কমায়। ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন টমেটোর সুপ খেতে পারলে, ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

আখরোট: ‘মস্তিষ্কের খাবার’ হিসেবে পরিচিত যা ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। এটা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটের ভালো উৎস যা, বিষাক্ত পদার্থের কারণে হওয়া কোষের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। খাবারে বাদাম যোগ করা হলে তা ত্বক সুন্দর রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। এতে বয়সের ছাপ দূর হয় এবং উজ্জ্বল্পতা বৃদ্ধি পায়। দুবেলার খাবারের মাঝে নাস্তা হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। অথবা নাস্তা করার সময় বাদাম খাবারে যোগ করতে পারেন।

সূর্যমুখীর বীজ: সূর্যমুখির বীজ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, এটা ‘ফ্রি রেডিক্যাল’য়ের কারণে হওয়া কোষের ক্ষয় কমায়। তাই এটা খুব ভালো ‘অ্যান্টি এইজিং’ হিসেবে কাজ করে। এটা খুব ভালো প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা সংক্রমণের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি ও অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে। এর মজাদার স্বাদের জন্য সালাদ, সকালের নাস্তা, সবজি ভাজি ইত্যাদি খাবার পরিবেশনের কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও সূর্যমুখীর বীজ চাইলে ব্লেন্ড করে অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে। এর অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদানের জন্য লালচে–বেগুনি হয়ে থাকে। এটা ত্বকের দাগ ছোপ কমায়। মিষ্টি আলুর ভিটামিন সি ত্বকের কোষকলা উৎপাদন করে। ফলে ত্বক হয় টানটান ও ত্বকের গঠন সুন্দর হয়। এটা ভিটামিন ই’র ভালো উৎস, যা ত্বক তারুণ্যময় ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সালাদে মিষ্টি আলু ব্যবহার করে খাবার তালিকায় তা যোগ করা যায়।

চিয়া বীজ: খাবারের স্বাদ বাড়াতে চিয়া বীজ ব্যবহার করা হয়, এটা ত্বকের পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। চিয়া ওমেগা-থ্রি ফ্যাট, ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। এগুলো ত্বকে বলিরেখা পড়া ধীর করে, সংক্রমণ কমায় এবং স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা দেয়। সারা রাত চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করা যেতে পারে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment