৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ সেশন ৮ উত্তর (PDF)
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ সেশন ৮ : কনটেন্ট বানাতে চাই। যদি আমরা ক্যমেরায় ছবি তুলে গল্প বলতে চাই, কমিকস এঁকে গল্প বলতে চাই বা মোবাইল ফোনের ক্যমেরায় একটি নাটিকা বানাতে চাই, তাহলে কিছু ব্যপার আমাদের জানা থাকলে মন্দ হবেনা।
আমি যে গল্প বলতে চাই তা যদি আমরা এঁকে কিংবা ছবিতে প্রকাশ করতে পারি তাহলে সেটি আরও অনেক বেশি মজার হতে পারে। তাই তোমাদের ভাবনার সুবিধার জন্য কিছু কৌশল নিচে দেওয়া হলো-
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ সেশন ৮
আমরা আমাদের গল্পটিকে যেভাবে দেখছি তা আমাদের ছবিতে কীভাবে ফুটিয়ে তুলব তা একটু বুঝে নেওয়া যাক। এগুলো আমাদের মুখস্থ করতে হবে না, একটু বুঝে নিয়ে আমরা যখন ছবি তুলব কিংবা আকব তখন এগুলো কাজে লাগালেই হবে। *শট বলতে বোঝায় আমি আমার চিত্রের কতটুকু অংশে কীভাবে আমার বিষয়টিকে রাখব।
১. দুইজন বন্ধু কথা বলছে, একজন বন্ধু হাসছে, আমি যদি হাসিটা দেখাতে চাই তাহলে তখন হয়ে যাবে “ক্লোজ শট’।
২, দুজন বন্ধু নদীর পুকুরের পাশ থেকে কথা বলছে, তারা যে অনেক দূর থেকে কথা বলছে, তা বোঝানোর জন্য আমার দূরে থেকে ছবি নিতে হবে, আর এটি হলো ‘লং শট” ।
৩. দুজন বন্ধু কথা বলা শেষে বাড়ি চলে যাচ্ছে, দুজন দুদিকে চলে যাচ্ছে দেখানোর জন্য আমাদের আরেকটু দূরে থেকে দেখতে হবে, এটি হলো “মিড শট?
৪. দুজন বন্ধুর কথা শেষে একজন দাঁড়িয়ে আছে আরেকজন চলে যাচ্ছে। একজন যে চলে যাচ্ছে তা বোঝানোর জন্য অন্যজনের কাঁধের পেছন থেকে এমনভাবে ছবি তোলা হয় যেন একজন বন্ধুর একটি কাঁধ দেখা যায়, আর অন্য বন্ধুর চলে যাওয়া দেখা যায়, এই ধরনের শট কে বলে “ওভার দ্য শোলভার’।
৫. বন্ধু চলে যাওয়ার পর অন্য বন্ধুটি দেখতে পেল, তার বন্ধু একটি ডায়েরি ফেলে রেখে গেছে, তখন সে দাঁড়িয়ে থেকে ঘাসে পড়ে থাকা ভায়েরিটি দেখছে, অর্থাৎ উপর থেকে নিচে একটি জিনিস দেখছে, একে বলে ‘বার্ডন আই ভিউ’ বা “পাখির চোখে দেখা” ।
৬। ধরি, ডায়রিটির নীচে একটি পিপড়া চাপা পড়ে গেছে, সে নীচের থেকে উপরের ওই বন্ধুটির দিকে তাকিয়ে আছে, কখন সে ডায়রিটা তুলবে আর পিপড়াটি প্রাণে বাঁচবে। নিচের থেকে উপরের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখাকে ক্যামেরা বা ছবির ভাষায় বলে ‘ফ্রগ আই ভিউ” বা ব্যাঙের চোখে দেখা”
দলীয় আলোচনা ও নিজেদের কনটেন্ট তৈরির পরিকল্পনা
১. আমরা আমাদের কনটেন্ট তৈরির পরিকল্পনা শিক্ষককে জানাব। যদি আমাদের কনটেন্ট তৈরিতে প্রযুক্তির কোনো সহায়তা প্রয়োজন না হয়, তবে আগামী ক্লাসের আগেই একটু একটু করে আমরা প্রতিদিন কনটেন্টটি তৈরি করে ফেলব।
২. যদি কোনো প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় যেমন কপিউটার বা মোবাইল ফোন ইত্যাদি। তাহলে আমরা
ফেলব।
৩. কনটেন্ট তৈরি করার জন্য যদি মোবাইল ফোনের প্রয়োজন হয়, আমাদের শিক্ষকের সহায়তায় আগামী ক্লাসের আগেই শিক্ষকের ফোন ব্যবহার করে নিজেদের কনটেন্ট তৈরি করে ফেলতে পারি।
৪. শিক্ষকের ছবি তোলার ফোন না থাকলে কিংবা ব্যবহার করা সম্ভব না হলে, প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিভাবকের ফোন এক দিনের জন্য নিয়ে আসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করব। আবেদনপত্রটি অভিভাবককে দেখিয়ে তার ফোনটি অভিভাবকের তত্ত্ববধানে এক দিনের জন্য নিয়ে আসব (দলের একজন ফোন আনলেই হবে)
৫. অভিভাবকের ফোন বিদ্যালয়ে আনা সম্ভব না হলে অভিভাবকের সহায়তায় আমরা দলের যেকোনো একজনের বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবকের ফোন ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করব।
৬. শিক্ষক বা অভিভাবক কারও ফোন ব্যবহার করা সম্ভব না হলে আমরা ক্যামেরার শট অনুযায়ী ছবি এঁকে গল্প বানাব। এই ক্ষেত্রে ছবি যে খুব সুন্দর হতে হবে এমন নয়, শুধু বিষয়(সাবজেক্ট) বা চরিত্র বোঝা গেলে হবে। কারও যদি স্মার্ট ফোন/ট্যাব/ কম্পিউটার ব্যবহার করে কোনো এ্যাপের মাধ্যমে ছবি আঁকা সম্ভব হয়, তাহলে আমরা সেটিও করতে পারি।
সেমিনারে কনটেন্ট উপস্থাপন
আজকে আমাদের সেমিনার আয়োজন। আমরা প্রতিটি দল সময় ভাগ করে নিয়ে নিজেদের কাজটি সবার সামনে উপস্থাপন করব। আজ আমাদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বাইরে থেকেও অতিথি এসেছেন। আমরা তাদের সুন্দর করে অভ্যর্থনা জানাব এবং আমাদের কাজগুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করব।
উপস্থাপন শেষে বিস্তারিত লিখবে। (নমুনা উত্তর)
দলের নাম: সবুজ সংঘ
উপস্থাপনার বিষয়: বাল্যবিয়ে, কারণ, কুফল এবং প্রতিকার
কনটেন্ট টার্গেট, গ্রুপ বা লক্ষ্য দল: শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
অতিথিদের অভিমত: ‘চমৎকার একটি কনটেন্ট উপভোগ করেছি। আমরা এখন বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছি। এখন থেকে আমরাও বাল্যবিয়ে বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করব।’