Class 6 - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

(১ম অধ্যায়) ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন (PDF)

1 min read

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ১ম অধ্যায় : ১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ও ভারত দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতা লাভের পূর্বে বর্তমান বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তান আমলের পুরো সময়টিতে এদেশের মানুষ নানাভাবে বঞ্চনা আর নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

তাই অনেক আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে তারই ফসল আমাদের এই বাংলাদেশ। বহু মানুষের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। জাতি অর্জন করেছে বিজয়। ইতিহাসে আমরা পরিচিত হয়েছি বীর বাঙালি ও বিজয়ী জাতি হিসাবে।

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ১ম অধ্যায়

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : আধুনিক ইতালির জনক ছিলেন কাউন্ট ক্যাভুর। ইতালির স্বাধীনতা ও ঐক্য অর্জনে তার অবদান ছিল সর্বাধিক। অন্যদিকে, যোসেফ মাৎসিনি ইতালির যুব শক্তিকে সংঘবদ্ধ করেন। যুব সমাজ অত্যাচার, অবিচার, কারাবাস প্রভৃতির ভয়ভীতি না করে দলে দলে তার সংঘে যোগ দেয়। তার নেতৃত্বে ইতালির জনগণের মধ্যে এক ব্যাপক জাগরণের সৃষ্টি হলো।

ক. পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব কতো মাইল?
খ. পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে কোন মহান নেতার প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মাৎসিনির মতো উক্ত নেতার নেতৃত্বের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল— মূল্যায়ন কর।

প্রশ্নের উত্তর

ক. পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বারো’শ মাইল।

খ. পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বাঙালিরা নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়েছিল বলে এ সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। শাসকগোষ্ঠী প্রথম বাঙালি সংস্কৃতি তথা মাতৃভাষা বাংলার ওপর আঘাত হানে। এরপর তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার হরণ করে। মূলত এসব কারণেই বাঙালিরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।

গ. কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সারাজীবনের কর্মকাণ্ড ও আন্দোলন-সংগ্রাম বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে।

তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী, ত্যাগী দূরদর্শী নেতা। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়। ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বঙ্গবন্ধু বাঙালির জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি।

উদ্দীপকে বর্ণিত কাউন্ট ক্যাভুরের ক্ষেত্রেও আমরা দেখতে পাই, ইতালির স্বাধীনতা ও ঐক্য অর্জনে তার দান ছিল সর্বাধিক। সুতরাং বলা যায়, কাউন্ট ক্যাভুর যেন বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই প্রতিচ্ছবি।

ঘ. মাৎসিনির মতো বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। উদ্দীপকের ইতালির যুবসমাজ সকল প্রকার ভয়ভীতি উপেক্ষা করে যোসেফ মাৎসিনির দলে যোগ দেয়। তার নেতৃত্বে ইতালির জনগণের মধ্যে ব্যাপক জাগরণের সৃষ্টি হয়। একইভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণ স্বাধীনতার ডাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরু থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাঙালির ওপর বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনা শুরু করে। তারা তাদেরকে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল প্রকার অধিকার থেকে বঞ্ছিত করে। এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটায় পরিশেষে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।

নিজে অনুশীলন করো

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রসুলপুরের দুইটি অংশ ছিল। দুই গ্রামের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। তারই ফলশ্রুতিতে গভীর রাতে উক্ত গ্রামের উত্তর অংশের ঘুমন্ত মানুষদের ওপর দক্ষিণ অংশের লাঠিয়াল বাহিনী হঠাৎ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে। কোনো কোনো জায়গায় আগুনও লাগিয়ে দেয়। কিন্তু জনগণ তাদের নেতার আপসহীন সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করে প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে লাঠিয়াল বাহিনী পরাস্ত হয় এবং তাদের নেতা ও
গ্রাম শত্রুমুক্ত হয়৷

ক. কত হাজার পাকিস্তানি সৈন্য বিজয় দিবসে আত্মসমর্পণ করেছিল?
খ. “রক্তভেজা স্বাধীনতার লালসূর্য আনন্দের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে শ্যামল সুন্দর দেশের ওপর” – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ, “উক্ত ঘটনার একদিকে রয়েছে অনেক হারানোর বেদনা, অন্যদিকে বিশাল প্রাপ্তির আনন্দ” – উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : ‘ক’ গ্রামের দুই অংশের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। তারই ফলশ্রুতিতে উক্ত গ্রামের পূর্ব অংশের ঘুমন্ত মানুষদের ওপর পশ্চিম অংশের লাঠিয়াল বাহিনী হঠাৎ একরাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এরপর হানাদার লাঠিয়ালরা পূর্ব অংশের জনপ্রতিনিধিকে বন্দী করে তাদের পশ্চিম অংশে নিয়ে যায়।

ক. প্রাচীন বাংলাদেশে হিন্দুদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রতিষ্ঠানকে কী বলা হতো?
খ. পাল রাজত্ব কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকের ন্যায় একটি ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতি হলো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়’— উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : আরমান তার বন্ধু ইমরানকে নিয়ে জাদুঘর পরিদর্শনে গেল। সেখানে তারা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ প্রত্যক্ষ করে। তারা আরও প্রত্যক্ষ করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ, বাড়িঘর, দোকানপাট লুণ্ঠন ও পোড়ানো এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় বাঙালি নির্যাতনের ছবি। জাদুঘরে এসব দৃশ্য দেখে তাদের শরীর শিউরে উঠে। কিন্তু দলিল স্বাক্ষরের একটি দৃশ্যের ছবি দেখে তাদের মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।

ক. কার নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়?
খ. ‘স্বাধীনতার একদিকে রয়েছে অনেক হারানোর বেদনা, অন্যদিকে বিশাল প্রাপ্তির আনন্দ’– ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতি কোন যুদ্ধকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জাদুঘরে রক্ষিত দলিল স্বাক্ষরের দৃশ্যের ছবি দেখে আরমান ও ইমরান কেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : শিক্ষক ক্লাসে বললেন, প্রাচীন বাংলার প্রথম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতার সিংহাসনে আরোহণ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। কারো কারো মতে, প্রজাদের প্রতিনিধি বা কর্মচারীদের প্রতিনিধিরা তাকে নির্বাচন করে। আবার কারো মতে, সামন্তরা তাকে ক্ষমতায় বসায়। তবে তার সিংহাসনে আরোহণ সম্পর্কে মতভেদ থাকলেও তিনি যে যোগ্য শাসক ছিলেন এ বিষয়ে কোনো মতভেদ নেই।

ক. সুলতানি থেকে মোগল পর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে মুসলমানদের শাসনকাল কী নামে পরিচিত?
খ. পাল যুগে আবিষ্কৃত বিহারগুলো ছিল এক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান— ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে কোন রাজবংশের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রাচীন বাংলাদেশকে কি শুধু উক্ত রাজবংশই শাসন করেছিল? এর যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ‘ক’ রাষ্ট্রের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নাচ, গান, নাটক প্রভৃতির আয়োজন করে থাকে। এগুলো তাদের বিনোদন ও ধর্মকর্মের অংশ। এখানকার বৌদ্ধ মন্দিরের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও নাচ-গানে খুব দক্ষ। অন্যদিকে, ‘খ’ রাষ্ট্রের সরকার ৫০টি ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে একটির স্থাপত্যকীর্তি দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটির অনুকরণে পার্শ্ববর্তী ‘গ’ ও ‘ঘ’ রাষ্ট্রেও ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরি করা হয়েছে।

ক. কত খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন বিদ্যমান ছিল?
খ. বাংলায় মধ্যযুগের সূচনা হয় কীভাবে?
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রে প্রাচীন বাংলাদেশের কোন বিষয়ের প্রতিফলন রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘খ’ রাষ্ট্রের স্থাপত্যকীর্তি প্রাচীন বাংলাদেশের নবম শতকে নির্মিত স্থাপত্যকীর্তির অনুরূপ— বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : আইয়ান বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনের ওপর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে একটি স্থান সম্পর্কে জানতে পারল যেখানে পাথরে খোদিত একটি লিপি আবিষ্কৃত হয়েছে যা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে ব্রাহ্মী অক্ষরে লেখা হয়েছিল। এছাড়া সে আরও জানতে পারে অষ্টম শতকে গড়ে ওঠা বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ছাত্রদের ধর্মীয় বইয়ের পাশাপাশি নানা বিষয়ে পাঠদান করা হতো।

ক. বাঙালি জাতির জনক কে?
খ. চতুষ্পাঠী কী? ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকের প্রথমাংশে প্রাচীন বাংলাদেশের কোন বিষয়ের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষাংশে ইঙ্গিতকৃত বিষয়ে প্রাচীন বাংলা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে ছিল— বিশ্লেষণ কর।

ANSWER SHEET

উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x