(২য় অধ্যায়) ৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (PDF)
৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় : এই অধ্যায় পাঠ করলে আমরা কম্পিউটার কেমন করে কাজ করে তা বর্ণনা করতে পারব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয় সেগুলো বর্ণনা করতে পারব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে যেসব যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তার কাজ ব্যাখ্যা করতে পারব। হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার কী তা ব্যাখ্যা করতে পারব।
৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২য় অধ্যায়
প্রশ্ন ১ : কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য নেওয়ার দু’টি পদ্ধতি উল্লেখ কর।
উত্তর : হার্ডডিস্কগুলো সাধারণত কম্পিউটারে স্থায়ীভাবে লাগানো থাকে। তাই এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি হলো সিডি। সাধারণ সিডিতে একবার কিছু সংরক্ষণ করা হলে তা আর মোছা যায় না- তবে বার বার সংরক্ষণ করা যায়, মোছা যায় এরকম সিডিও পাওয়া যায়। আর একটি পদ্ধতি হলো পেনড্রাইভ, যা আকারে এত ছোট যে পকেটে নিয়ে ঘোরা যায় এবং এর ধারণ ক্ষমতাও অনেক। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়— ৮ গিগা বাইট একটি পেনড্রাইভে দশ হাজার থেকে বিশ হাজার বই রাখা যায়।
প্রশ্ন ২ : প্রসেসরের বর্ণনা দাও।
উত্তর : কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় বা মূল অংশ হচ্ছে প্রসেসর। এটি আকারে ছোট। এটিকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়। এটি কম্পিউটারের পরিচালক হিসেবে কাজ করে। কখন কী করতে হবে, কোন কাজটি আগে, কোনটি পরে বা কাজটি কীভাবে করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশ প্রসেসর কম্পিউটারকে দিয়ে থাকে। প্রসেসর সকল কাজ করে থাকে।
প্রসেসর মাদারবোর্ডের সাথে লাগানো থাকে। মাদারবোর্ডের সাথে লাগানো অন্যান্য যন্ত্রের তুলনায় প্রসেসর আকারে বড়। প্রসেসরের উপর ফ্যান লাগানো থাকে। যা প্রসেসরকে ঠাণ্ডা রাখে।
প্রশ্ন ৩ : প্রসেসরের উপর ফ্যান লাগানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রসেসর প্রতি মুহূর্তে লক্ষ কোটি হিসাব-নিকাশ করে বলে প্রসেসরের মধ্যে দিয়ে অনেক বিদ্যুৎ প্রাবহিত হয়। ফলে প্রসেসর এত গরম হয়ে ওঠে যে তাকে আলাদাভাবে ফ্যান দিয়ে ঠাণ্ডা না করলে সেটা জ্বলে পুড়ে যেতে পারে। তাই প্রসেসরের উপরে ফ্যান লাগানো থাকে।
প্রশ্ন ৪ : প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কেন?
উত্তর : কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় বা মূল অংশ হলো প্রসেসর। কখন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, কোন কাজটি আগে বা পরে করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশ প্রসেসর কম্পিউটারকে দিয়ে থাকে। কম্পিউটারের প্রসেসর মেমোরি থেকে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করে এবং সেগুলো প্রক্রিয়া করে। এটি প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য হিসাব-নিকাশ করে থাকে। প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কম্পিউটারের পরিচালক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়।
প্রশ্ন ৫ : মাদারবোর্ড সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : আমরা যদি একটা কম্পিউটারকে খুলে ফেলি তাহলে সাধারণত একটা বোর্ডকে দেখতে পাব যেখানে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স খুঁটিনাটি লাগানো আছে। এই বোর্ডটার নাম মাদারবোর্ড এবং এটি কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মা যেভাবে সবাইকে বুকে আগলে রাখে, এই বোর্ডটাও কম্পিউটারের সবকিছু সেভাবে বুকে আগলে রাখে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডের সবগুলো ডিভাইসের মাঝে একটা বেশ বড় ডিভাইস থাকে। সেটি হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর ছাড়াও র্যাম, বিভিন্ন ডিস্ক ড্রাইভ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্ড মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ৬ : বিভিন্ন ধরনের আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : কম্পিউটার তার কার্যপদ্ধতি শেষ করে তার ফলাফল প্রদর্শনের জন্য যে সমস্ত ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে থাকে তাদেরকে আউটপুট ডিভাইস বলে। বিভিন্ন ধরনের আউটপুট ডিভাইস রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মনিটর। মনিটর দেখতে অনেকটা টেলিভিশনের মতো যা কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ মনিটরের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল দেখা যায়, মনিটরে ফলাফল দেখে ডকুমেন্টের সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সাজানো ইত্যাদি সম্পাদনামূলক কাজ সম্পন্ন করে কাজটি চূড়ান্ত করা যায়। আর এ চূড়ান্ত কাজটি যে যন্ত্রের সাহায্যে প্রিন্ট বা মুদ্রণ করা হয় তাকে বলে প্রিন্টার। প্রিন্টার হচ্ছে এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস। আজকাল সকল বিজ্ঞাপন, বড় ধরনের পোস্টার ব্যানার ইত্যাদি বিশেষ প্রিন্টারের সাহায্যে ছাপানো হয়ে থাকে। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বা এলসিডি প্যানেল হচ্ছে আর এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস যা ব্যবহার করে শব্দসহ চলমান চিত্র, ছবিসহ শব্দ ইত্যাদি আউটপুট নেওয়া যায়। এছাড়া স্পিকার নামক আউটপুট ডিভাইস ব্যবহার করে বক্তৃতা, আলোচনা, আবৃত্তি, নাটক, গান ইত্যাদি আউটপুট নেওয়া যায়।
প্রশ্ন ৭ : প্রিন্টার এবং প্লটার বলতে কী বুঝ?
উত্তর : প্রিন্টার : কোনো কিছু যখন কম্পিউটারের মনিটরে দেখা যায়, সেটা মোটেও স্থায়ী কিছু নয়- নতুন কিছু এলেই আগেরটা আর থাকে না। তাই যদি স্থায়ীভাবে কিছু সংরক্ষণ করতে হয়, তাহলে অন্য কিছুর দরকার হয়। আর তার জন্যে সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে প্রিন্টার। এর সাহায্যে লেখালেখির কাজ এবং ছবি মুদ্রণ করা হয়।
প্লটার: বই বা চিঠিপত্র ছাপানোর জন্য সাধারণ মাপের প্রিন্টারই যথেষ্ট। কিন্তু যদি কোনো বড় বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্যানার, বাড়ির নকশা ছাপাতে হয়, তাহলে তা আর সাধারণ প্রিন্টার ব্যবহার করা যায় না তখন বড় ধরনের ছাপানোর যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় এদের প্লটার বলে।
উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।