“বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব” – বুঝিয়ে লিখ।

বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। উক্ত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশে বিশেষ পোশাক পরিধান করে বাস্তবে নয় ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের পর্দায় গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ফলে কোন প্রকার শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়ায় রাস্তায় গাড়ি চলানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যাচ্ছে।

আইসিটি (ICT) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
১। স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে ব্লুটুথ ব্যবহার করা হয়।

ব্লুটুথ হচ্ছে স্বল্প দূরত্বের ভেতর ডেটা আদান-প্রদানের জন্য বহুল প্রচলিত ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। এটি তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়ার নেটওয়ার্ক প্রটোকল যেখানে উঁচু মানের নিরাপত্তা বজায় থাকে। বর্তমানে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ এবং বাসাবাড়ির বিনোদনের অনেক ডিভাইসে ব্লুটুথ প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

২। হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড– ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোন কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলা হয়।

হ্যাকিং একটি নৈতিকতা রিরোধী কর্মকান্ড কারণ ইন্টারনেটে হ্যাকিং ব্যাপকভাবে হওয়ার কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে, তথ্য গায়েব হয়ে যাচ্ছে, তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইন্টারনেটে পথিমধ্যে তথ্য বিকৃতি ঘটানোর নজির ও রয়েছে যা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও লজ্জাজনক। তাই বিভিন্ন দেশে হ্যাকিং একটি দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *