প্লেজারিজম কি বা কাকে বলে? এটি ধরার কৌশল ও প্রকারভেদ
ইন্টারনেটে অগণিত তথ্য রয়েছে। সেখান থেকে হুবহু কোনো কিছু কপি করে নিজের নামে জমা দেওয়াকে প্লেজারিজম বলে। এক কথায় অন্য কারো কাজ বা লেখাকে নিজের নামে ব্যবহার করা বা নিজের নামে প্রকাশ করাকেই Pleasureism বলে।
সহজভাবে বলতে গেলে, আপনি যদি কোন ব্যক্তির গবেষণা, সাহিত্য এবং আইডিয়া হুবহু নকল বা সামান্য পরিবর্তন করে তা নিজের কাজ বলে চালিয়ে তাহলে তা হলো প্লেজারিজম।
বর্তমান বিশ্বে এর মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই অন্যের কাজকে নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে সম্পাদনার আসল মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
প্লেজারিজম ধরার কৌশল
প্লেজারিজম খুব বড় অনৈতিক কাজ। বুঝে হোক বা না বুঝে হোক অনেকে এ কাজটি করছে এবং তাদের অনেকেই এজন্য খুব বড় বিপদে পড়ে যায়। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে যেমন বেড়েছে ঠিক সেরকম এটি ধরার কৌশলও বেড়েছে।
সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডকুমেন্টের কোন অংশ ইন্টারনেটের কোন জায়গা থেকে হুবহু কপি করে এনেছে সেটা সহজে ধরা যায়। এ কারণে বিভিন্ন গবেষণা, প্রজেক্ট পেপার ইত্যাদির ডকুমেন্ট তৈরিতে প্লেজারিজম থেকে দূরে থাকতে হবে।
প্লেজারিজমের প্রকারভেদ
Pleasureism বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। তার কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –
সম্পূর্ণ বা ডিরেক্ট প্লেজারিজম
সম্পূর্ণ বা ডিরেক্ট প্লেজারিজম হলো অন্যের লিখা হুবহু কপি করে নিজের নামে প্রকাশ করা। অর্থাৎ অন্যের লিখা বা লিখার অংশ হুবহু কপি করে কোন রেফারেন্স ছাড়াই নিজের কাজে ব্যবহার করা।
প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম
অন্যের লেখায় কিছুটা পরিবর্তন করে নিজস্ব হিসেবে দাবি করা হলো প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম। অর্থাৎ লেখার শব্দ ও বাক্যের গরমিল করে সামান্য পরিবর্তন করার মাধ্যমে নিজের কাজ বলে দাবি করা।
মোকাইক প্লেজারিজম
মোকাইক প্লেজারিজম হলো অন্যের লেখার বাক্যাংশ বা কিছু শব্দ বা পাঠকে নিজের লেখার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা কোন প্রকার উদ্ধৃতি চিহ্ন বা রেফারেন্স ছাড়াই। এটি প্রায় প্যারাফ্রেজPleasureism এর মতোই।
অ্যাসিডেন্টাল প্লেজারিজম
কোন ব্যক্তি যখন তার সংগৃহীত তথ্যের সঠিক রেফারেন্স দিতে ভুল করে বা অনিচ্ছাকৃত বা অবহেলার জন্য ভুলভাবে দেখায় তাকে অ্যাসিডেন্টাল Pleasureism বলে।
এগুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের Pleasureism রয়েছে। এটি একটি অনৈতিক কর্ম। যেখানে আসল মালিক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এ কাজ করা থেকে আমরা বিরত থাকব।