পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের তিন দশা নিয়ে বিস্তারিত

আজ আমরা পদার্থ কাকে বলে এবং পদার্থের দশা নিয়ে আলোচনা করব।

পদার্থ কাকে বলে?

যা জায়গা দখল করে, যার ওজন আছে এবং বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে, তাকে পদার্থ বলে। সকল পদার্থই পরমাণু দ্বারা তৈরি, যা অবিভাজ্য অর্থাৎ ভাঙা যায় না।

পদার্থের দশা

পদার্থের তিনটি দশা রয়েছে। যথা: কঠিন, তরল ও বায়বীয়/গ্যাসীয়। নিচে পদার্থের এসব দশার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো:

কঠিন পদার্থ

যে সকল পদার্থের নির্দিষ্ট ভর, নির্দিষ্ট আকার, নির্দিষ্ট আয়তন এবং দৃঢ়তা আছে তাদেরকে  কঠিন পদার্থ বলে

কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  •  কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে।
  •  কঠিন পদার্থের ওজন আছে এবং এটি স্থান দখল করে।
  •  কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে প্রসারিত হয়।
  •  কঠিন পদার্থকে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে।
  • কঠিন পদার্থের কণার মধ্যে আন্ত আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি।
  • কোনো কোনো কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাদের কে উদ্বায়ী পদার্থ বলে, যেমন: ন্যাপথলিন।

তরল পদার্থ

যেসকল পদার্থের নির্দিষ্ট ভর আছে নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকৃতি নেই অর্থাৎ যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারন করে তাদেরকে তরল পদার্থ বলে।

তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  •  তরল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই।
  •  তরল পদার্থের ওজন আছে এবং এটি স্থান দখল করে।
  •  তরল পদার্থ যে পাত্রে রাখা হয়, সে পাত্রের আকার ধারণ করে।
  •  তরল পদার্থ নিচের দিকে গড়িয়ে চলে।
  • তরল পদার্থের কণা সমূহের মধ্যে আন্ত আকর্ষণ বল তুলনামূলক কম

গ্যাসীয় বা বায়বীয়

পদার্থ জিতের যে সকল পদার্থের ভর আছে কিন্তু আকার এবং আয়তন কোনোটিই নেই তাদের  গ্যাসীয় বা বায়বীয় পদার্থ বলে।

গ্যাসীয় বা বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  •  বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আকার বা আয়তন নেই।
  • বায়বীয় পদার্থের ওজন আছে।
  • বায়বীয় পদার্থ স্থান দখল করে।
  • বায়বীয় পদার্থ সময়ের মধ্যে আন্ত আকর্ষণ বল নেই বললেই চলে।
  • বায়বীয় পদার্থকে ঠান্ডা করলে তরল পদার্থে পরিণত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *