ইফতারের দোয়া | অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ

মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি পবিত্র মাস হচ্ছে রমজান। এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রোযা রাখা ফরজ। রোযার অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে ইফতার। এটিও রমজানের একটি ইবাদত। শেষ রাতে সাহরি খাওয়া যেমন সুন্নাত তেমনি সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করাও সুন্নাত।

আমাদের নবী (সাঃ) অসংখ্য হাদিসে যথাসময়ে ইফতার করার তাগিদ দিয়েছেন। তেমনি একটি হাদিসে এসেছে

“মানুষ যতদিন ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করবে; ততদিন তারা কল্যাণ লাভ করবে।”

তাই ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথে বিসমিল্লাহ বলে নিম্নের দোয়াটি পড়তে হবে –

আরবি

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইফতার করাকালীন সময়ে বলতেন-

ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’

অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)

ইফতারের সময় করণীয় কাজ

ইফতাদের সময় নিম্নলিখিত কাজ করা উচিত।

  • সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা।
  • এ সময় অন্য কোন কাজে ব্যস্থ না থাকা।
  • বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
  • খেজুর, সাদা পানি বা দুধ দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের সালাত আদায় করা।
  • ভারী খাবার না খাওয়া।
  • ইফতারে বেশি দেরি করে জামাআত তরক না করা।
  • মাগরিবের নামাজ আদায় করে তৃপ্তিসহকারে খাওয়া। ইত্যাদি।

সকল মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তা’আলা ইফতারের সময় দোয়া পড়া এবং তারপর শুকরিয়া আদায় করে দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *