Modal Ad Example
পড়াশোনা

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৩)

1 min read

প্রশ্ন-১। মন্দন কাকে বলে? মন্দন কি রাশি?
উত্তরঃ সময়ের সাথে কোনো বস্তুর বেগ হ্রাসের হারকে ঋণাত্মক ত্বরণ বা মন্দন বলে। মন্দন ঋণাত্মক রাশি, কারণ গতির বিপরীত দিকে কাজ করে বস্তুটিকে থামিয়ে দেয়।

প্রশ্ন-২। প্রত্যাগমনী গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বস্তু একটি রেখা বরাবর বারবার সামনে-পিছনে (up-down) যাওয়া আসা করলে এ গতিকে প্রত্যাগমনী গতি বলে। যেমন- পিস্টনের গতি।

প্রশ্ন-৩। Vocal Chord বা স্বরতন্ত্রী কি?
উত্তরঃ মানুষের গলার স্বরযন্ত্রে দুটো পর্দা আছে, এদেরকে স্বরতন্ত্রী বা Vocal Chord বলা হয়।

প্রশ্ন-৪। জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জ্যোতির্বিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে মহাকাশ ও মহাজাগতিক বস্তু সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়। এখানে মহাবিশ্ব ও এর বস্তু উপাদানসমূহের গঠন ও অন্যান্য ধর্মাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেমন– গ্রহ, নক্ষত্রের গঠন, গতিবিধি জীবনকাল, ব্ল্যাক হোল ইত্যাদি এর আলোচ্য বিষয়।

প্রশ্ন-৫। কোনো বস্তুর ত্বরণ 5ms-2 পশ্চিম বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর ত্বরণ 5ms-2 পশ্চিম বলতে বোঝায়–
বস্তুটির বেগ পশ্চিম দিকে প্রতি সেকেন্ডে 5 মিটার/সেকেন্ড (5ms-1) হারে বৃদ্ধি পায়।
অর্থাৎ, বস্তুটির ত্বরণ হল 5ms-2 এবং এই বেগ বৃদ্ধির দিক হচ্ছে আদি অবস্থান থেকে সোজা পশ্চিম দিকে।

প্রশ্ন-৬। রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের পথে যে বাধা সৃষ্টি হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ বা প্রতিবন্ধকতা বলে। অন্যভাবে বলা যায়, পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ায় পরিবাহীর যে ধর্ম বা গুণের জন্য কারেন্ট প্রবাহের বিরুদ্ধে বাধার সৃষ্টি করে তাকে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ বা প্রতিবন্ধকতা বলে। একে R দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এর ব্যবহারিক একক ওহম।

প্রশ্ন-৭। বেগের পরিবর্তন না হলে ত্বরণ থাকে না কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি, বেগ বৃদ্ধি হওয়াকে ত্বরণ বলে। যেহেতু সুষম বেগে চলমান বস্তুর বেগের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না তাই বলা যায় যে, বেগের পরিবর্তন না হলে ত্বরণ থাকে না।

প্রশ্ন-৮। কোন বস্তুর সরণ 40 m পূর্ব দিকে বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ কোন বস্তুর সরণ 40 m পূর্ব দিকে বলতে বুঝায় যে, বস্তুটি তার আদি অবস্থান থেকে পূর্ব দিকে 40 m গেছে।

প্রশ্ন-৯। স্পিডোমিটার (Speedometer) কি?
উত্তরঃ স্পিডোমিটার হচ্ছে এক প্রকারের পরিমাপক যন্ত্র, যা দ্বারা গাড়ির দ্রুতি মাপা হয়। এগুলো এখন সর্বজনীনভাবে মোটর গাড়িগুলিতে লাগানো থাকে।

প্রশ্ন-১০। ব্রাকিথেরাপি (Brachytherapy) কাকে বলে?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় রোগীর শরীরে তেজস্ক্রিয় তরল পদার্থ পানীয় হিসেবে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করিয়ে দিয়ে চিকিৎসা করা হয় তাকে ব্রাকিথেরাপি বলে। যেমন– থাইরয়েড ক্যান্সারে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন (I131) ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-১১। ‘ঈশ্বর কণা’ কোনটি?
উত্তরঃ হিগস-বোসন।

প্রশ্ন-১২। চলবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ গতিবিদ্যার যে শাখায় গতিশীল বস্তুর গতির প্রভাবের পাশাপাশি গতির কারণ আলোচনা করা হয়, তাকে চলবিদ্যা (kinetics) বলে। যেমনঃ নিউটনের গতিসূত্রসমূহ (Laws of Motion) মূলত চলবিদ্যার আলোচনাধীন বিষয়।

প্রশ্ন-১৩। ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস লাগলে আরাম অনুভূত হয় কেন?
উত্তরঃ ঘর্মাক্ত দেহ খুবই অস্বস্তিকর। শরীরের ঘাম শরীর থেকে বাষ্পীভবনের সুপ্ত তাপ গ্রহণ করে বাম্প হয়ে উড়ে যায়। পাখার বাতাস সেই গরম বাম্পকে দূরীভূত করে। ফলে শরীর ঠাণ্ডা হয় এবং আরাম অনুভূত হয়।

প্রশ্ন-১৪। গরমের দিনে কুকুর জিহ্বা বের করে দৌড়ায় কেন?
উত্তরঃ গরমের দিনে কুকুরের শরীর উত্তপ্ত থাকে এবং কুকুর অস্বস্তিবােধ করে। কিন্তু কুকুরের জিহ্বার উপর এক প্রকার লালা থাকে। সেই লালা কুকুরের শরীর থেকে বাষ্পীভবনের সুপ্ততাপ শােষণ করে এবং কুকুরের শরীর ঠাণ্ডা হয়। কুকুর স্বস্তি অনুভব করে। সেজন্য কুকুর জিহ্বা বের করে দৌড়ায়।

প্রশ্ন-১৫। কীভাবে তুষার উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ শিশিরাঙ্ক 0° সেলসিয়াস তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকলে বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কের নিচে নামলে বায়ুতে বিদ্যমান জলীয় বাষ্প জমে পানিতে রূপান্তর না হয়ে কঠিন বরফ হয়ে শুভ্র তুষার বা তুহিন উৎপন্ন করে।

প্রশ্ন-১৬। সূত্রের সাথে তত্ত্বের তফাৎ কী?
উত্তরঃ বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রস্তাবিত, পরীক্ষাগারে পরীক্ষিত এবং গাণিতিকভাবে প্রমাণিত একটি ঘটনাকে যখন সুনিশ্চিত বৈজ্ঞানিক আকারে প্রকাশ হয়, তখন তাকে সূত্র বলে। আর যথোপযুক্ত যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, ফলাফল বিশ্লেষণের আলোকে যখন একটি ঘটনাকে বিজ্ঞানীদের সামনে উপস্থাপনের উপযোগী করে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে তত্ত্ব বলে। তাই বলা যায় সূত্র আর তত্ত্ব পদার্থবিজ্ঞানের সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারণা।

প্রশ্ন-১৭। মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি কেন?
উত্তরঃ মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কম হওয়ায় বস্তুর ওজন বেশি হয়।

পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয়, মেরু অঞ্চলে কিছুটা চাপা। তাই বিষুব অঞ্চলের চেয়ে মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কম হয়। এর ফলে g = GM/R2 সূত্রানুসারে মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশি হয়। এ কারণেই মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি হয়।

প্রশ্ন-১৮। পরম স্থিতি ও পরম গতি অস্তিত্বহীন কেন?
উত্তরঃ নিশ্চল কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন না ঘটলে তার স্থিতিকে পরম স্থিতি এবং সেই প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটলে তার গতি পরম গতি। মহাবিশ্বের সব বস্তুই একটির সাপেক্ষে অন্যটি গতিশীল। তাই বাস্তবে সম্পূর্ণ নিশ্চল প্রসঙ্গ কাঠামো পাওয়া যায় না। সুতরাং বলা যায়, পরম স্থিতি ও পরম গতি অস্তিত্বহীন।

প্রশ্ন-১৯। ডাইভারজেন্স ও কার্লের পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ডাইভারজেন্স একটি স্কেলার রাশি, কার্ল ভেক্টর রাশি। কোন ভেক্টর ক্ষেত্রের ডাইভারজেন্স অবশ্যই স্কেলার ক্ষেত্র, অপরপক্ষে কোন ভেক্টরক্ষেত্রের কার্ল অবশ্যই ভেক্টরক্ষেত্র। ডাইভারজেন্স ঘনত্বের পরিবর্তনের পরিমাপ নির্দেশিক অপরপক্ষে কোন ভেক্টরক্ষেত্র ঘূর্ণনশীল কিনা তা জানার জন্যই ভেক্টর ক্ষেত্রের কার্ল নিতে হয়।

প্রশ্ন-২০। ভর জড়তার পরিমাপক ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ দুটি ভিন্ন ভরের দুটি বস্তু নিয়ে বস্তুদয়কে স্থির অবস্থা থেকে গতিশীল করতে চাইলে ভারী বস্তুর ক্ষেত্রে বেশি প্রচেষ্টার দরকার হবে। একইভাবে বস্তুদ্বয় যদি গতিশীল থাকে তবে তাদেরকে থামানোর ক্ষেত্রে ভারী বস্তুর ক্ষেত্রে বেশি প্রচেষ্টা করতে হবে। এজন্যই বলা হয় ভর হলো জড়তার পরিমাপক।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x