পড়াশোনা

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৭)

1 min read

প্রশ্ন-১। রৈখিক গতি কাকে বলে? রৈখিক গতির উদাহরণ।
উত্তরঃ কোনো বস্তু যদি একটি সরল রেখা বরাবর গতিশীল হয় অর্থাৎ কোনো বস্তুর গতি যদি একটি সরল রেখার উপর সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তার গতিকে রৈখিক গতি বলে। একটি সোজা সড়কে কোনো গাড়ির গতি, মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর গতি রৈখিক গতির উদাহরণ।

প্রশ্ন-২। পূর্ণ দোলন বা পূর্ণ কম্পন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনাে কম্পনশীল বস্তুকণার, তার গতিপথের উপরিস্থিত কোনাে বিন্দুতে কোনাে দিকে গতিশীল থেকে আবার সেই বিন্দুতে সেই দিকে গতিশীল অবস্থায় ফিরে আসার ঘটনাটিকে পূর্ণ দোলন বা পূর্ণ কম্পন বলে।

প্রশ্ন-৩। সরণ কাকে বলে? সরণের মাত্রা এবং একক কি?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট দিকে পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে অবস্থানের পরিবর্তনকে সরণ বলে। একে s দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সরণ একটি ভেক্টর রাশি। অর্থাৎ এর দিক ও মান উভয়ই আছে। সরণের মাত্রা L এবং S.I. পদ্ধতিতে সরণের একক মিটার (m)।

প্রশ্ন-৪। ভেক্টর রাশি কাকে বলে? ভেক্টর রাশির উদাহরণ।
উত্তরঃ যেসব ভৌত রাশিকে অর্থপূর্ণভাবে বা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করার জন্য মান ও দিক উভয়েরই প্রয়োজন হয় সেসব রাশিকে ভেক্টর রাশি বলে। যেমন- সরণ, ত্বরণ, বল ইত্যাদি ভেক্টর রাশির উদাহরণ। কোনো রাশির সংকেতের উপর তীর চিহ্ন দিয়ে নির্দেশ করা হয় ভেক্টর রাশি।

প্রশ্ন-৫। তড়িৎ দ্বিমেরু ভ্রামক কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ দ্বিমেরুর যে কোন একটি চার্জের মান এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের গুণফলকেই দ্বি-মেরু ভ্রামক বলে।

প্রশ্ন-৬। বৈদ্যুতিক বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ অসীম দূরত্ব হতে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ধনাত্মক চার্জ আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তাকে ঐ বিন্দুর বৈদ্যুতিক বিভব বা তড়িৎ বিভব বলে।

প্রশ্ন-৭। ধাতব পরিবাহী কাকে বলে? ধাতব পরিবাহীর উদাহরণ
উত্তরঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহের সময় কোন রূপ রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না, তাদের ধাতব পরিবাহী বলে। সকল ধাতু ও গ্রাফাইট এ ধরনের পরিবাহী। তড়িৎ পরিবাহীর মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ ঘটে।

প্রশ্ন-৮। স্থির বিদ্যুৎ কাকে বলে?
উত্তরঃ চুলের সঙ্গে চিরুনির ঘর্ষণের ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, যা ছোট ছোট কাগজের টুকরোকে আকর্ষণ করে। একে স্থির বিদ্যুৎ বলে। সাধারণত এ বিদ্যুৎ আমাদের কোন কাজে লাগে না।

প্রশ্ন-৯। তড়িতের সিস্টেম লস কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য যে সকল পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রোধ থাকে। ফলে এই রোধকে অতিক্রমের জন্য তড়িৎ শক্তির একটি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ শক্তির লস বা ক্ষয় হয়। এই লসই হলো তড়িতের সিস্টেম লস।

প্রশ্ন-১০। এনট্রপি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনাে সিস্টেমের শক্তি রূপান্তরের অক্ষমতাকে এন্ট্রপি বলে।

প্রশ্ন-১১। কৌণিক বিবর্ধন কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিবিম্ব ও লক্ষ্যবস্তু চোখে যে কোণ উৎপন্ন করে তাদের অনুপাতকে কৌণিক বিবর্ধন বলে।

প্রশ্ন-১২। অপবর্তন কাকে বলে?
উত্তরঃ তীক্ষ্ম ধার ঘেঁষে যাবার সময় বা সরু ছিদ্র দিয়ে যাবার সময় আলাে কিছুটা বেঁকে যাওয়ার ধর্মকে অপবর্তন বলে।

প্রশ্ন-১৩। ব্যবকলন কী?
উত্তরঃ স্বাধীন চলরাশির ক্ষুদ্র পরিবর্তনের সাপেক্ষে অধীন চলরাশির পরিবর্তনের হার নির্ণয়ের পদ্ধতিকে ব্যবকলন বলে।

প্রশ্ন-১৪। বাষ্পায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কোনো তাপমাত্রায় কেবল তরল পদার্থের উপরিতল থেকে ধীরে ধীরে বাষ্প পরিণত হওয়ার পদ্ধতিকে বাষ্পায়ন বলে।

প্রশ্ন-১৫। চল বিদ্যুৎ কী?
উত্তরঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, সেটিই হচ্ছে চল বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুতই আমাদের পাখা ঘুরায়, বাতি জ্বালায়, কলকারখানা চালায় ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৬। বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ শনাক্ত করার উপায় কী?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ শনাক্ত করার উপায় হলো পরমাণুর ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা দেখে। যদি বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ হয় তবে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা চারের কম হবে।

প্রশ্ন-১৭। অতি পরিবাহী বা সুপার কন্ডাক্টর বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ অতি পরিবাহিতা একটি তাত্ত্বিক ধারণা। কারণ কোন পরিবাহীর রোধ শূন্য হলে তাত্ত্বিকভাবে তার পরিবাহীতা অসীম হবে। কিন্তু বাস্তবে কোন পরিবাহীর রোধ কখনো শূন্য হতে পারে না। তবে পরীক্ষাগারে বিশেষ অবস্থা সৃষ্টি করে অতি পরিবাহী ধর্ম লক্ষ্য করা যায়।

প্রশ্ন-১৮। কারেন্ট কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কোনো পরিবাহী প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হয় তাকে কারেন্ট বলে। কারেন্ট দুই প্রকার। যথা- ১. এসি কারেন্ট ও ২. ডিসি কারেন্ট।

প্রশ্ন-১৯। পারস্পরিক আবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন একটি কুন্ডলীতে তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তন করলে নিকটবর্তী অন্য একটি কুন্ডলীতে যে তাড়িৎ চৌম্বক আবেশ সৃষ্টি হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ বলে।

প্রশ্ন-২০। পারস্পরিক আবেশ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ পারস্পরিক আবেশ নিম্নলিখিত চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন–
১. কুণ্ডলী দুটির মধ্যকার দূরত্ব,
২. এদের দিগাবস্থান,
৩. এদের সাইজ ও
৪. মূখ্য কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x