দ্বাদশ অধ্যায় : মহাকাশ ও উপগ্রহ, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান
প্রশ্ন-১। বৃহস্পতি গ্রহের কয়টি উপগ্রহ?
উত্তরঃ ৬৭টি।
প্রশ্ন-২। ২৭টি উপগ্রহ আছে কোন গ্রহের?
উত্তরঃ ইউরেনাস।
প্রশ্ন-৩। শনির উপগ্রহ কয়টি?
উত্তরঃ ৬২টি।
প্রশ্ন-৪। মহাকাশে পাঠানো সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ স্পুটনিক-১।
প্রশ্ন-৫। কোন গ্রহে উপগ্রহের সংখ্যা সর্বাধিক?
উত্তরঃ বৃহস্পতি।
প্রশ্ন-৬। সৌরজগতের গ্রহ কয়টি?
উত্তরঃ ৮টি।
প্রশ্ন-৭। নেপচুন কয়টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ আছে?
উত্তরঃ ১৪টি।
প্রশ্ন-৮। অতি বৃহৎ নক্ষত্রের রং কিরূপ?
উত্তরঃ লাল।
প্রশ্ন-৯। প্রথম মার্কিন কৃত্রিম উপগ্রহের নাম কী?
উত্তরঃ এক্সপ্লোরার-১।
প্রশ্ন-১০। শনি গ্রহের উপগ্রহ কয়টি?
উত্তরঃ ৬২টি।
প্রশ্ন-১১। পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ শুক্র।
প্রশ্ন-১২। মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দেন কোন বিজ্ঞানী?
উত্তরঃ স্টিফেন হকিং।
প্রশ্ন-১৩। পৃথিবীর থেকে কত কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলের শেষ এবং মহাকাশের শুরু?
উত্তরঃ ১৬০।
প্রশ্ন-১৪। প্রথম মানুষ বহনকারী মহাকাশ যানের নাম কী?
উত্তরঃ ভস্টক-১।
প্রশ্ন-১৫। বৃহস্পতি গ্রহের কয়টি উপগ্রহ আছে?
উত্তরঃ ৬৭।
প্রশ্ন-১৬। সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ বৃহস্পতি।
প্রশ্ন-১৭। মঙ্গল গ্রহের কয়টি উপগ্রহ?
উত্তরঃ মঙ্গল গ্রহের দুইটি উপগ্রহ আছে।
প্রশ্ন-১৮। গ্যালাক্সি কাকে বলে?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের যেসব অংশে নভোমণ্ডলীয় বস্তুসমূহ বেশি জড়ো বা ঘনীভূত সেসব অংশকে গ্যালাক্সি বলে।
প্রশ্ন-১৯। ছায়াপথ কী?
উত্তরঃ পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত তার নাম ছায়াপথ।
প্রশ্ন-২০। মিল্কিওয়ে কী?
উত্তরঃ আমাদের বাসভূমি পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত সেটি হলো মিল্কিওয়ে।
প্রশ্ন-২১। মহাবিশ্ব কী?
উত্তরঃ সূর্য, চাঁদ, গ্রহ, তারা, মহাকাশ, ছায়াপথ, গ্যালাক্সি ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই মহাবিশ্ব।
প্রশ্ন-২২। মহাশূন্য কাকে বলে?
উত্তরঃ গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, গ্যালাক্সি ইত্যাদির মাঝখানে যে খালি জায়গা তাকে মহাশূন্য বলে।
প্রশ্ন-২৩। উপগ্রহ কী?
উত্তরঃ যারা গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে তাদেরকে বলা হয় উপগ্রহ।
আবহাওয়া উপগ্রহ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে উপগ্রহ বায়ু প্রবাহ, সাইক্লোন সৃষ্টি হওয়া ও কোথায় ঘনীভূত হচ্ছে কোন দিকে আঘাত হানতে পারে তার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে পূর্বাভাস দিতে পারে তাকে আবহাওয়া উপগ্রহ বলে।
গোয়েন্দা উপগ্রহ কী?
উত্তরঃ গোয়েন্দা কাজ করার জন্য সামরিক বাহিনীতে যে উপগ্রহ ব্যবহার করা হয় তা হলো গোয়েন্দা উপগ্রহ।
বিগব্যাঙ তত্ত্ব বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব হলো মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিকাশ সংক্রান্ত বহু পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এই তত্ত্বের মতে মহাবিশ্বে একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত ও ঘনরূপে বা ঘন অবস্থায় ছিল যা অতি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছিল। দ্রুত প্রসারণের ফলে মহাবিশ্ব ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং বর্তমান প্রসারণশীল অবস্থায় পৌঁছায়। এই মহাবিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিল প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর পূর্বে এবং এটিই মাহবিশ্বের বয়স।
সৌরজগৎ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের ছায়াপথে অবস্থিত সূর্য ও এর পরিবারকে একত্রে সৌরজগৎ বলা হয়। সৌরজগতে সূর্য ও একে ঘিরে আবর্তনশীল আটটি গ্রহ রয়েছে।
প্রাকৃতিক উপগ্রহ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, নক্ষত্রের জন্মের সময় একেকটি গ্রহকে ঘিরে কয়েকটি মহাজাগতিক মেঘ আবর্তিত হয়। এরা নক্ষত্রের আকর্ষণে ঘনীভূত হয়ে অবশেষে জমাট বেঁধে গ্রহদের জন্ম হয়। এভাবে গ্রহদের চারপাশে জমা মহাজাগতিক মেঘ থেকে যে উপগ্রহ সৃষ্টি হয় তাই প্রাকৃতিক উপগ্রহ, যেমন- চাঁদ পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ।
গ্যালাক্সি কী? আমরা কোন গ্যালাক্সিতে বাস করি?
উত্তর : গ্যালাক্সি হলো গ্রহ ও নক্ষত্রের এক বৃহৎ দল। আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে।
মহাকাশ ও মহাশূন্যের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : মহাকাশ বলতে পদার্থের অনুপস্থিতি বোঝায়। আর মহাশূন্য হল সে ফাঁকা জায়গা বা অঞ্চল যেখান দিয়ে পৃথিবী, চাঁদ, সূর্য ও তারা চলাচল করে।
মহাবিশ্বের বিশালতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যা কিছু আছে তার সবকিছু নিয়েই মহাবিশ্ব। ক্ষুদ্র পোকামাকড় ও ধূলিকণা থেকে শুরু করে আমাদের এই পৃথিবী দূর-দূরান্তের গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, গ্যালাক্সি এবং দেখা না দেখা সবকিছু নিয়েই মহাবিশ্ব। মহাবিশ্বের বিস্তৃতি এখনও মানুষের অজানা। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন মহাবিশ্বের শুরু ও শেষ নেই। কেউ কেউ এখনো বিশ্বাস করেন মহাবিশ্বের আকার ও আকৃতি আছে। অনেক কিছুই অজানা থাকলেও বিজ্ঞানীরা এটা জানতে পেরেছেন মহাবিশ্বের অনেক কিছুই মহাকাশ নামক সীমাহীন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
রাতের আকাশে তারাগুলো মিটমিট করে জ্বলে কেন?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের তারাগুলো প্রত্যেকে এক একটি জ্বলন্ত গ্যাসপিন্ড বলে এদের সবারই আলো ও উত্তাপ রয়েছে। এই তারাগুলোর আলোর তীব্রতা ভিন্ন এবং বিভিন্ন বর্ণের হওয়ায় রাতের আকাশে তাদেরকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়।
চাঁদের নিজস্ব আলো না থাকলেও উজ্জ্বল দেখায় কেন?
উত্তরঃ চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই। সূর্যের আলো দ্বারা চাঁদ আলোকিত হয়। আর এ সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কাছে পৌছায় বলে আমরা চাঁদকে উজ্জ্বল দেখি।
বায়ুমণ্ডলকে মহাকাশের অংশ বলা হয় না কেন?
উত্তরঃ মহাকাশ বলতে পদার্থের অনুপস্থিতি বোঝায়। মহাকাশ কোনো পদার্থ দিয়ে তৈরি নয়, এটা সেই ফাকা জায়গা বা অঞ্চল যেখান দিয়ে চাঁদ, সূর্য ও তারারা চলাচল করে। এগুলোর মতো বায়ুমণ্ডলও মহাকাশে ঘুরছে। তাই বায়ুমন্ডলকে মহাকাশের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না বরং পৃথিবীর অংশ বলা হয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “দ্বাদশ অধ্যায় : মহাকাশ ও উপগ্রহ, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।