প্রশ্ন-১। ক্যালভিন কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তরঃ ক্যালভিন ১৯৪৫ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
প্রশ্ন-২। চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় কোন বিভাজনে?
উত্তরঃ চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় মিয়োসিস বিভাজনে।
প্রশ্ন-৩। বৈজ্ঞানিক নাম কোন ভাষায় লেখা হয়?
উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়।
প্রশ্ন-৪। দ্বিপদ নামকরণের আরেক নাম কি?
উত্তরঃ দ্বিপদ নামকরণের আরেক নাম বৈজ্ঞানিক নামকরণ।
প্রশ্ন-৫। দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন কে?
উত্তরঃ দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন ক্যারোলাস লিনিয়াস।
প্রশ্ন-৬। অঙ্কুরোদগম কাকে বলে?
উত্তরঃ বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে।
প্রশ্ন-৭। ক্যাপিলারিস কাকে বলে?
উত্তরঃ পেশিতন্তুতে চুলের মতো অতি সূক্ষ রক্তনালী দেখা যায়, একে ক্যাপিলারিস বলে।
প্রশ্ন-৮। ভার্নালিন কি?
উত্তরঃ ভার্নালিন হলো উদ্ভিদের এক ধরণের পসটুলেটেড হরমোন। যাদেরকে আলাদা করা বা শনাক্ত করা যায়নি।
প্রশ্ন-৯। রোমবেন্সফ্যালন কী?
উত্তরঃ সেরিবেলাম,পনস ও মেড়ুলা অবলংগাটা নিয়ে গঠিত পশ্চাৎমস্তিষ্কই হলো রোমবেন্সফ্যালন।
প্রশ্ন-১০। মেটেনসেফালন কী?
উত্তরঃ অগ্র ও পশ্চাৎ মস্তিষ্ককে সংযুক্তকারী মধ্যমস্তিষ্কই হলো মেটেনসেফালন।
প্রশ্ন-১১। নিউটার ফ্লাওয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক দুটোই কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকে তাকে নিউটার ফ্লাওয়ার বলে।
প্রশ্ন-১২। স্টিগমা কাকে বলে?
উত্তরঃ স্ত্রীস্তবকের গর্ভমুণ্ডকে স্টিগমা বলে।
প্রশ্ন-১৩। প্রোটোডার্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ভাজক টিস্যুর কোষসমূহ উদ্ভিদদেহের ত্বক সৃষ্টি করে তাকে প্রোটোর্ডাম বলে।
প্রশ্ন-১৪। রিব ভাজক টিস্যু কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ভাজক টিস্যুর কোষগুলো একটি তলে বিভাজিত হয়, ফলে কোষগুলো রৈখিক সজ্জাক্রমে একসারিতে অবস্থান করে এবং দেখতে বুকের পাঁজরের ন্যায় দেখায়, তাকে রিব ভাজক টিস্যু বলে।
প্রশ্ন-১৫। মাস ভাজক টিস্যু কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ভাজক টিস্যুর কোষ সব তলে বিভাজিত হয় তাকে মাস ভাজক টিস্যু বলে।
প্রশ্ন-১৬। শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যু কাকে বলে?
উত্তরঃ মূল, কান্ড বা এদের শাখাপ্রশাখার শীর্ষে অবস্থিত ভাজক টিস্যুকে শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যু বলে।
প্রশ্ন-১৭। পেশী কলা কাকে বলে?
উত্তরঃ ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভূত যে কলা সংকোচন-প্রসারণক্ষম এবং অসংখ্য তন্তুর সমন্বয়ে গঠিত তাকে পেশী কলা বলে।
প্রশ্ন-১৮। জিনের এক্সপ্রেশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জিন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে কর্মক্ষম জিন প্রোডাক্ট সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াই হলো জিনের এক্সপ্রেশন। এক্ষেত্রে সাধারণত কর্মক্ষম জিন প্রোডাক্ট হলো প্রোটিন। প্রোটিন জীবদেহের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করলেও কিছু প্রোটিন এনজাইম গঠন করে। এনজাইমের ক্রিয়ার ফলে জীবদেহে বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। জীবদেহের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য প্রকৃতপক্ষে জিনেরই এক্সপ্রেশন।
প্রশ্ন-১৯। ক্লোরোপ্লাস্টকে কোষের সবুজ অনুঘটকের আধার বলা হয় কেন?
উত্তরঃ সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডকে বলা হয় ক্লোরোপ্লাস্ট। ক্লোরোপ্লাস্টে রয়েছে সবুজ বর্ণকণিকা। এতে ক্লোরোফিল-a, ক্লোরোফিল-b, ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল থাকে। ক্লোরোপ্লাস্ট সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। যেহেতু এ অঙ্গাণুটিতে সবুজ বর্ণকণিকা অধিক মাত্রায় থাকে সে কারণে ক্লোরোপ্লাস্টকে কোষের সবুজ অনুঘটকের আধার বলা হয়।
প্রশ্ন-২০। ঘাসফড়িং-এর পুঞ্জাক্ষিতে কয় ধরনের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় ও কী কী?
উত্তরঃ ঘাসফড়িং-এর পুঞ্জাক্ষিতে ২ ধরনের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়। যথা : অ্যাপোজিশন প্রতিবিম্ব এবং সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব। দিনের বেলায় উজ্জ্বল আলোতে ঘাসফড়িং পুঞ্জাক্ষিতে যে ধরনের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে তা হলো অ্যাপোজিশন প্রতিবিম্ব এবং রাতের স্তিমিত আলোতে যে ধরনের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে তা হলো সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩০)” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।