ক নম্বর প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার সাগরদাঁরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-২. বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন-৩. অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে?
উত্তর : অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন-৪. মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যে বিশেষভাবে কীসের মিলন ঘটেছে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যে বিশেষভাবে রোমান্টিকতা ও ধ্রুপদী সাহিত্যের আশ্চর্য মিলন ঘটেছে।
প্রশ্ন-৫. বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নবরূপায়ণ কোনটি?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নবরূপায়ণ হলো ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’।
প্রশ্ন-৬. মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ছন্দকে কী বলা হয়?
উত্তর : মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ছন্দকে বলা হয় ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’।
প্রশ্ন-৭. ‘মেঘনাদবধ-কাব্য’ কোন সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে রচিত হয়েছে?
উত্তর : ‘মেঘনাদবধ-কাব্য’ মহাকবি বাল্মীকির রামায়ণ অবলম্বনে রচিত।
প্রশ্ন-৮. ‘রামায়ণ’-এর রচয়িতার নাম কী?
উত্তর : ‘রামায়ণ’-এর রচয়িতার নাম বাল্মীকি।
প্রশ্ন-৯. মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি কোনটি?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
প্রশ্ন-১০. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ ‘মেঘনাদবধ কাব্যের’ কোন সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর : ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ ‘মেঘনাদবধ কাব্যের’ ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে।
প্রশ্ন-১১. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন-১২. বাসববিজয়ী বলা হয় কাকে?
উত্তর : বাসববিজয়ী বলা হয় মেঘনাদকে।
প্রশ্ন-১৩. মেঘনাদের বাবার নাম কী?
উত্তর : মেঘনাদের বাবার নাম রাবণ।
প্রশ্ন-১৪. বিভীষণের মায়ের নাম কী?
উত্তর : বিভীষণের মায়ের নাম ‘নিকষা’।
প্রশ্ন-১৫. কুম্ভকর্ণ কে?
উত্তর : কুম্ভকর্ণ হলেন রাবণের মধ্যম সহোদর।
প্রশ্ন-১৬. রাবণ ও বিভীষণের সম্পর্ক কী?
উত্তর : রাবণ ও বিভীষণ পরস্পর সহোদর।
প্রশ্ন-১৭. ইন্দ্রজিৎ বলা হয় কাকে?
উত্তর : ইন্দ্রজিৎ বলা হয় মেঘনাদকে।
প্রশ্ন-১৮. ‘জীমূতেন্দ্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘জীমূতেন্দ্র’ শব্দের অর্থ মেঘের ডাক।
প্রশ্ন-১৯. ‘অরিন্দম’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘অরিন্দম’ বলতে মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন-২০. লক্ষ্মণ কার গর্ভজাত সন্তান?
উত্তর : লক্ষ্মণ সুমিত্রার গর্ভজাত সন্তান।
প্রশ্ন-২১. লক্ষ্মণ কোন যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন?
উত্তর : লক্ষ্মণ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করেন।
প্রশ্ন-২২. মহারথী প্রথা কী?
উত্তর : মহারথী প্রথা হলো শ্রেষ্ঠ বীরদের আচরণ প্রথা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. ‘মৃগেন্দ্রকেশরী, কবে, হে বীরকেশরী, সম্ভাষে শৃগালে মিত্রভাবে?’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘মৃগেন্দ্রকেশরী, কবে, হে বীরকেশরী, সম্ভাষে শৃগালে মিত্রভাবে’— কথাটি দ্বারা মর্যাদাসম্পন্ন কেউ যে নীচুস্তরের কারো প্রভুত্ব স্বীকার করে না সেটিই বোঝানো হয়েছে।
লক্ষ্মণকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেঘনাদ অস্ত্রাগারের পথ ছাড়তে বললে বিভীষণ জানান যে, তিনি এ কাজ করতে পারবেন না। কেননা তিনি রামের আজ্ঞাবহ বলে তার পক্ষে রামের বিরুদ্ধে কাজ করা সম্ভব নয়। তাঁর এই উত্তর শুনে মেঘনাদ বিভীষণকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন যে, লঙ্কার শ্রেষ্ঠ বংশে তার জন্ম। অথচ রামের দাস বলে নিজেকে কলঙ্কিত করলেন তিনি। এমতাবস্থায় মেঘনাদ বিভীষণকে এটাও মনে করিয়ে দেন যে, সিংহের কখনো শেয়ালের সাথে বন্ধুত্ব হয় না।