কম্পিউটেশনাল বায়োলজি কি? (What is Computational biology in Bengali/Bangla?)
সাধারণভাবে কম্পিউটেশনাল বায়োলজি বলতে জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও গণিতের ব্যবহারকে বুঝায়। জেনেটিক্স, বায়োফিজিক্স, সেল বায়োলজি, বায়োকেমেস্ট্রি ও বিবর্তন ইত্যাদিতে কম্পিউটেশনাল বায়োলজি ব্যবহার করা হয়। জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, এলগরিদম, সফটওয়্যার, ইত্যাদি তৈরি করাও কম্পিউটেশনাল বায়োলজির অন্তর্ভুক্ত।
কম্পিউটেশনাল বায়োলজির শাখাসমূহ
কম্পিউটেশনাল বায়োলজির বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল :
১. কম্পিউটেশনাল মডেলিং : বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের জন্য কম্পিউটার মডেল তৈরি করা এই শাখার বিষয়বস্তু। বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের জটিলতা মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির বিকাশ ও ব্যবহার এই শাখার মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন ধরনের এলগরিদম ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে এটি সম্পন্ন করা হয়।
২. কম্পিউটেশনাল জেনেটিক্স : এই শাখায় জীবের জিনোম নিয়ে আলোচনা করা হয়। হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট কম্পিউটেশনাল জেনেটিক্স এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মানুষের জিনোম সিকোয়েন্স একটি তথ্য সেটের মধ্যে দেখানো এই প্রজেক্টের কাজ। এর ফলে মানুষের চিকিৎসা পদ্ধতি সহজ হবে।
৩. কম্পিউটেশনাল নিউরোসাইন্স : মানুষের মস্তিস্কের ও স্নায়ুতন্ত্রের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ বৈশিষ্ট্য এই শাখার আলোচ্য বিষয়। মানুষের মস্তিস্ক সম্পর্কে গবেষণা করে বাস্তব ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করা, বিভিন্ন এলগরিদম তৈরি করা এই শাখার অন্তর্ভুক্ত।
৪. কম্পিউটেশনাল এডভ্যুলুশনারি বায়োলজি : ডি.এন.এ (DNA) সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহার করে মানুষ ও অন্যান্য জীবের বিবর্তন সম্পর্কে গবেষণা করা এই শাখার বিষয়বস্তু। এই শাখায় বিবর্তনের বিভিন্ন মডেল তৈরি করা হয় যা দ্বারা একটি বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ভবিষ্যতে কিভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তা অনুমান করা যায়।
৫. ক্যান্সার কম্পিউটেশনাল বায়োলজি : ক্যান্সার কোষের মিউটেশন নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন এলগরিদম ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করা এই শাখার বিষয়বস্তু। রোবোটিক্স ও অন্যান্য সেন্সিং ডিভাইস ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। DNA, RNA ও অন্যান্য অঙ্গাণু থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।