রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩৬)

প্রশ্ন-১। জারণ অর্ধ সমীকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ জারণ বিজারণ বিক্রিয়ায় জারণ বিক্রিয়া দেখানোর জন্য যে সমীকরণের প্রয়োজন হয় সেই সমীকরণকে জারণ অর্ধ সমীকরণ বলে।

প্রশ্ন-২। ফ্রি রেডিক্যাল কাকে বলে?
উত্তরঃ সমযোজী সিগমা (a ) বন্ধনের সুষম ভাঙনের ফলে উৎপন্ন বিজোড় ইলেকট্রন যুক্ত পরমাণু বা মূলককে ফ্রি রেডিক্যাল বা মুক্ত মূলক বলে।

প্রশ্ন-৩। মেসোমারিক ইফেক্ট কি?
উত্তরঃ কার্বন পরমাণু ও অধিক তড়িৎঋণাত্মক মৌলের পরমাণুর মধ্যবর্তী পাই বন্ধনের ইলেকট্রনের ঘনত্ব অধিক তড়িৎঋণাত্মক পরমাণুর দিকে বেশি পরিমাণে আকৃষ্ট হয়ে পাই বন্ধনের ইলেকট্রনের এ স্থানান্তরই হলো মেসোমারিক ইফেক্ট।

প্রশ্ন-৪। e.m.f  কী?
উত্তরঃ তড়িৎ রাসায়নিক কোষে সৃষ্ট বিভব যা তড়িৎচার্জকে প্রবাহিত বা চালিত করে তারই নাম কোষের তড়িচ্চালক বা e.m.f বলে।

প্রশ্ন-৫। ক্লোরোজাইলিনল কি?
উত্তরঃ ক্লোরোজাইলিনল হলো 4 ক্লোরো 3, 5 ডাইমিথাইল ফেনল।

প্রশ্ন-৬। সারফেস ওয়াটারের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড কি কি?
উত্তরঃ সারফেস ওয়াটারের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড হলো খরতা, pH, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO), প্রাণরাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (BOD), রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (COD), পানিতে দ্রবীভূত ট্রেস উপাদান (TDS) ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৭। হফম্যান ক্ষুদ্রাংশকরণ বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ অ্যালকাইল বা অ্যারাইল অ্যামাইডকে ব্রোমিন ও গাঢ় কস্টিক সোডা দ্রবণসমূহ উত্তপ্ত করলে প্রাইমারি অ্যারোমেটিক অ্যামিন উৎপন্ন হয়। এ পদ্ধতিতে উৎপন্ন অ্যামিনে মূল মাতৃযৌগ অ্যামাইড অপেক্ষা একটি কার্বন কম থাকে বলে একে আবিষ্কারকের নামানুসারে হফম্যান ক্ষুদ্রাংশকরণ বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-৮। ভিনেগার এ কোন এসিড থাকে?
উত্তরঃ ভিনেগারে ইথানয়িক এসিড বা এসিটিক এসিড থাকে।

প্রশ্ন-৯। মোল ভগ্নাংশ কি?
উত্তরঃ মোল ভগ্নাংশ হলো কোনো মিশ্রণে একটি উপাদানের মোল সংখ্যাকে উক্ত মিশ্রণের সব উপাদানের মোল সংখ্যার যোগফল দ্বারা ভাগ করে প্রাপ্ত ভাগফল।

প্রশ্ন-১০। কোষে লবণ সেতুর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কোষে লবণ সেতুর ভূমিকা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

  • লবণ সেতু অর্ধকোষদ্বয়ের উভয় দ্রবণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কোষের বর্তনী পূর্ণ করে।
  • লবণ সেতুর মধ্যস্থ তড়িৎবিশ্লেষ্য KNO3 উভয় অর্ধকোষের দ্রবণের সাথে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া করে না; বরং উভয় তরলের মধ্যে প্রয়োজনমতো ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন বিনিময়ের ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমরূপে কাজ করে।
  • লবণ সেতু উভয় অর্ধকোষের দ্রবণের তড়িৎ-নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে কাজ করে।

 

প্রশ্ন-১১। কীভাবে ধাতুর ক্ষয় নিবারণ করা যায়?
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ধাতুর ক্ষয় নিবারণ করা যায়। যেমন-
১। কোনো ধাতুকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ধাতুটি কোনোভাবেই যেন অ্যানোড হিসেবে কাজ করতে না পারে।
২। বাইরের কোনো উৎস থেকে তড়িৎ প্রবাহিত করে উভয় তড়িদদ্বারের বিভবের মান সমান অথবা অ্যানোডের জারণ বিভবের মান কমিয়ে ধাতুকে ক্ষয়মুক্ত রাখা যায়।
৩। ধাতুর পরিবর্তে ধাতু সংকর ব্যবহার করে অ্যানোডের জারণ হ্রাস করা যায়।

প্রশ্ন-১২। রাসায়নিক সাম্যাবস্থা কি?
উত্তরঃ রাসায়নিক সাম্যাবস্থা হলো এমন একটি অবস্থা যখন কোনো উভমুখী বিক্রিয়ায় সম্মুখ বিক্রিয়া বা অগ্রবর্তী বিক্রিয়ার গতিবেগ পশ্চাৎবর্তী বা বিপরীত বিক্রিয়ার গতিবেগের সমান হয়।

প্রশ্ন-১৩। অ্যামাইড মূলক শনাক্ত করা যায় কিভাবে?
উত্তরঃ একটি পরীক্ষানলে জৈব নমুনা নিয়ে তাতে সমপরিমাণ 10% NaOH দ্রবণ নিয়ে উত্তপ্ত করা হলে ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত NH3 গ্যাস নির্গত হয় যা HCl

প্রশ্ন-১৪। আয়োডিমিতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে জারণ-বিজারণ ট্রাইট্রেশনে সরাসরি প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে

প্রশ্ন-১৫। হেসের সূত্রটি লিখ।
উত্তরঃ হেসের সূত্রটি হলো- যদি প্রারম্ভিক ও শেষ অবস্থা স্থির থাকে তবে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া এক বা একাধিক ধাপে সংঘটিত হোক না কেন প্রতিক্ষেত্রেই বিক্রিয়া এনথালপি সমান থাকবে।

প্রশ্ন-১৬। সক্রিয়ণ শক্তি কী?
উত্তরঃ একটি বিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য ন্যূনতম যে শক্তির প্রয়োজন তাই সক্রিয়ণ শক্তি।

প্রশ্ন-১৭। ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পরমাণুর ইলেকট্রন তার বিভিন্ন শক্তিস্তরে কিভাবে বিন্যস্ত থাকে তার প্রকাশকেই ইলেকট্রন বিন্যাস বলে।

প্রশ্ন-১৮। পলির বর্জন নীতিটি লিখ।
উত্তরঃ পলির বর্জন নীতিটি হলো- একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো একই হতে পারে না।

প্রশ্ন-১৯। পরিষ্কারক মিশ্রণ কাকে বলে?
উত্তরঃ ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাচসামগ্রি তৈলাক্ত পদার্থ ও অন্যান্য ময়লাযুক্ত হলে তা উত্তমরূপে পরিষ্কার করার জন্য যেসব পদার্থ (যেমন, ডেকন 90, ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ) ব্যবহার করা হয় তাদেরকে পরিষ্কারক মিশ্রণ বলে।

প্রশ্ন-২০। প্যারা হাইড্রোজেন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো হাইড্রোজেনের অণুতে অবস্থিত প্রোটনদ্বয়ের ঘূর্ণন যদি পরস্পরের বিপরীত দিকে হয়, তখন তাকে প্যারা-হাইড্রোজেন বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *