ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবজগৎ
সপুষ্পক উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদে ফুল উৎপন্ন হয় তাদেরকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, বরই ইত্যাদি। সপুষ্পক উদ্ভিদের দেহ সুস্পষ্টভাবে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত।
মেরুদণ্ডী কী?
উত্তরঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীর ঘাড় থেকে শুরু করে কোমরের শেষ পর্যন্ত পিঠের মাঝখান বরাবর যে শক্ত লম্বা হাড় থাকে তাই মেরুদণ্ড।
সরীসৃপ প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ সরীসৃপ প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১। এরা বুকে ভর দিয়ে চলে।
২। ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়।
কুনোব্যাঙ উভচর প্রাণী- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কুনোব্যাঙ তার জীবনের কিছু নির্দিষ্ট সময় ডাঙায় ও কিছু নির্দিষ্ট সময় পানিতে বাস করে। ব্যাঙাচি অবস্থায় এরা পানিতে বাস করে এবং ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। আবার পরিণত অবস্থায় ডাঙ্গায় বাস করে এবং ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। জলে ও স্থলে উভয়স্থানে থাকতে পারে বলে কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয়।
চিংড়ি কোন পর্বের প্রাণী? এদের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ চিংড়ি আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী। এদের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–
১. এদের দেহ খণ্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
২. মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
৩. এদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত।
আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে জীবজগৎকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ও কী কী?
উত্তরঃ আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে জীবজগৎকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোকে রাজ্য বলে। পাঁচটি রাজ্য হলো- মনেরা, প্রোটিস্টা, ফানজাই, প্লান্টি ও অ্যানিমেলিয়া।
উত্তরঃ স্তন্যপায়ী শ্রেণীভুক্ত এবং পতঙ্গ শ্রেণীভুক্ত প্রাণীদের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
স্তন্যপায়ী শ্রেণিভুক্ত প্রাণীরা সকলেই মেরুদণ্ডী। এরা বাচ্চা প্রসব করে এবং বাচ্চারা দুধ পান করে বড় হয়। অন্যদিকে পতঙ্গ শ্রেণিভুক্ত প্রাণীদের ক্ষেত্রে এ বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় না। এরা ডিম দেয় এবং ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চারা দুধ পান করে না। স্তন্যপায়ী প্রাণীরা উড়তে পারে না, কিন্তু পতঙ্গ প্রাণীরা উড়তে পারে। স্তন্যপায়ীদের দেহে কঙ্কাল থাকে, কিন্তু পতঙ্গ প্রাণীদের দেহে কোনো কঙ্কাল থাকে না। পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণীদের সন্ধিযুক্ত পা ও পুঞ্জাক্ষি থাকে। স্তন্যপায়ী প্রাণিদের পুঞ্জাক্ষি থাকে না, এদের চোখ সরল প্রকৃতির এবং পা সন্ধিযুক্ত নয়। সুতরাং, এদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত ভিন্নতা বিদ্যমান।