প্রশ্ন-১। প্রস্বেদন প্রধানত কোনটির মাধ্যমে হয়?
উত্তরঃ পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বেশিরভাগ প্রস্বেদন সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন-২। অ্যালীল ও অ্যালীলোমর্ফ কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবের কোনো একটি বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র বা লোকাসে অবস্থিত একজোড়া জিনের একটিকে অপরটির অ্যালীল বলে। জিনদ্বয়ের একত্রে থাকার অবস্থাকে অ্যালীলোমর্ফ বলে।
প্রশ্ন-৩। কাইল কি?
উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রায় পাচিত অর্ধ তরল খাদ্যকে কাইল বলে। এটি ক্ষারীয় মাধ্যমে হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৪। মেন্ডেলিয়ান ইনহেরিট্যান্স বা মেন্ডেলের বংশগতি কাকে বলে?
উত্তরঃ ১৮৬৫ সালে বংশগতিবিদ্যার জনক মেন্ডেল মটরশুঁটি গাছের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জীবের বৈশিষ্ট্যের বংশানুক্রমিক সঞ্চারণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। মেন্ডেল কর্তৃক প্রদত্ত বংশগতির এ পদ্ধতিকেই মেন্ডেলিয়ান ইনহেরিট্যান্স বা মেন্ডেলের বংশগতি বলে।
প্রশ্ন-৫। টিকা বা ভ্যাকসিন কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোনো অণুজীব বা অণুজীবঘটিত পদার্থ শরীরে ঢুকিয়ে অনাক্রম্যতা জাগিয়ে তোলা হয় তখন তাকে টিকা বা ভ্যাকসিন বলে।
প্রশ্ন-৬। নিষ্ক্রিয় বা পরোক্ষ প্রতিরক্ষা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো অ্যান্টিজেনের সাড়ায় নিজ দেহে তৈরির পরিবর্তে বাইরের কোনো উৎস হতে তৈরিকৃত অ্যান্টিবডি দেহের মধ্যে প্রবেশ করলে যে প্রতিরক্ষা সৃষ্টি হয় তাকে নিষ্ক্রিয় বা পরোক্ষ প্রতিরক্ষা বলে। এভাবে সৃষ্ট প্রতিরক্ষা ক্ষণস্থায়ী হয়।
প্রশ্ন-৭। প্রত্যক্ষ বা সক্রিয় প্রতিরক্ষা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো অ্যান্টিজেন দেহে প্রবেশের পর দেহ অ্যান্টিবডি তৈরি করে অথবা ঘাতক কোষের মাধ্যমে অ্যান্টিজেনকে সরাসরি ধ্বংস করে যে প্রতিরক্ষা সৃষ্টি করে তাকে সক্রিয় বা প্রত্যক্ষ প্রতিরক্ষা বলে। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে এ ধরনের প্রতিরক্ষা ধীরে ধীরে অর্জিত হয়।
প্রশ্ন-৮। ইমিউনোলজি (Immunology) কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় মানবদেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ইমিউনোলজি (Immunology) বলে।
প্রশ্ন-৯। অর্গানোজেনেসিস কি?
উত্তরঃ গ্যাস্ট্রুলেশনে সৃষ্ট বিভিন্ন ভ্রূণ স্তর থেকে বিভিন্ন অঙ্গ বা তন্ত্র সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অর্গানোজেনেসিস বলে।
প্রশ্ন-১০। অ্যাক্সিমিক্সিস কি?
উত্তরঃ শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর প্রো-নিউক্লিয়াসের মিলনকে অ্যাক্সিমিক্সিস বলে।
প্রশ্ন-১১। গ্যাস্ট্রুলেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ গ্যাস্ট্রুলেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ায় ব্লাস্টুলা দশা থেকে গ্যাস্ট্রুলা গঠিত হয় তাকে গ্যাস্ট্রুলেশন বলে।
প্রশ্ন-১২। ক্লিভেজ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে জাইগোট মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বিভাজিত হয়ে অসংখ্য ভ্রূণকোষ তৈরি করে তাকে ক্লিভেজ বলে।
প্রশ্ন-১৩। ব্লাস্টোমিয়ার কী?
উত্তরঃ ক্লিভেজে সৃষ্ট ভ্রূণের প্রতিটি কোষকে ব্লাস্টোমিয়ার বলে।
প্রশ্ন-১৪। মরুলা কী?
উত্তরঃ ক্লিভেজ পদ্ধতিতে জাইগোট ক্রমাগত গোলকে পরিণত হয়। একে মরুলা বলা হয়।
প্রশ্ন-১৫। ব্লাস্টোডার্ম এবং ব্লাস্টোসিল কী?
উত্তরঃ ক্রমে একটি তরলপূর্ণ গহ্বর সৃষ্টি হয়। ভ্রূণের এ দশাকে ব্লাস্টোডার্ম বলে এবং ভিতরের তরলপূর্ণ গহ্বরকে ব্লাস্টোসিল বলে।
প্রশ্ন-১৬। লেবিয়া মেজোরা ও লেবিয়া মাইনোরা কী?
উত্তরঃ দুটি মাংসল ভাঁজ কপাটের মতো যোনিপথকে ঢেকে রাখে। এদের লেবিয়া মেজোরা ও লেবিয়া মাইনোরা বলে।
প্রশ্ন-১৭। ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর কী?
উত্তরঃ লেবিয়া মেজোরার উপরের দিকে একটি ছোট মাংসপিণ্ড থাকে, যাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর বলে। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
প্রশ্ন-১৮। রক্তরসের কাজ কী?
উত্তরঃ পরিপাকের পর খাদ্যসার রক্তরসে দ্রবীভূত হয়ে দেহের বিভিন্ন কলা ও অঙ্গে বাহিত হয়। টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়। টিস্যুর অধিকাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড রক্তরসে বাইকার্বনেটরূপে দ্রবীভূত থাকে। অতি অল্প পরিমাণ অক্সিজেন এতে বাহিত হয়। লোহিত কণিকায় সংবদ্ধ হওয়ার আগে অক্সিজেন প্রথমে রক্তরসেই দ্রবীভূত হয়। হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বহন করে। রক্তের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
প্রশ্ন-১৯। বদহজম কেন হয়? এর লক্ষণ কী কী?
উত্তরঃ গ্রহণকৃত খাদ্য দ্রব্য পরিপাক জনিত জটিলতার কারণে হজমে গোলমাল হলে বদহজম সমস্যা দেখা দেয়। পেটের উপরের দিকে ব্যথা, পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা করা, বমি বমি ভাব, বুক ব্যথা, টক ঢেঁকুর উঠা ইত্যাদি বদহজমের লক্ষণ।
প্রশ্ন-২০। রুগী কাকে বলে?
উত্তরঃ যোনির প্রাচীরে কতকগুলো ভাঁজ দেখা যায় তাকে রুগী বলে।