হৃদপিন্ডের রোগ নির্ণয়ের জন্য বর্তমানে অনেক পরীক্ষাপদ্ধতি বের হয়েছে। এর মাঝে অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো ইসিজি। ইসিজি (ECG) এর পূর্ণরূপ হলো ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (Electro Cardiogram)। এর মাধ্যমে খুব সহজেই হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কাজকর্মগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইসিজি করার উপায়
ECG করতে হলে বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো গ্রহণ করার জন্য শরীরে ইলেকট্রড লাগাতে হয়। দু হাতে দুইটি এবং দু পায়ে দুইটি এবং ছয়টি হৃদপিণ্ডের অবস্থানসংলগ্ন বুকের উপর লাগাতে হয় প্রতিটি ইলেকট্রোড থেকে বৈদ্যুতিক সংকেতকে সংগ্রহ করা হয়। এই সংকেতগুলো যখন ছাপানো হয় তখন তাকে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম বলে।
যেকোন সুস্থ মানুষের প্রতিটি ইলেকট্রোড থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ সংকেতের একটি স্বাভাবিক নকশা থাকে। কিন্তু কোন মানুষের হৃদপিণ্ডে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয় তখন তার ইলেকট্রোড থেকে পাওয়া সংকেতগুলো স্বাভাবিক নকশা থেকে আলাদা হবে।
ECG কেন করা হয়?
সাধারণত বুকের ধড়ফড়ানি, অনিয়মিত বা দ্রুত হৃদস্পন্দন, বুকের ব্যথা, হৃদপিন্ডের অবস্থান, স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করছে কিনা ইত্যাদি কারণে ইসিজি করা হয়। তাছাড়া নিয়মিত চেকআপ করার জন্য বা বড় কোন অপারেশন করার আগে ECG করা হয়।
হৃদপিন্ডের যেসব কারণে ECG করা হয় তা হলো –
- হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দন বা স্পন্দনের হার কম বেশি হলে
- হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে
- হৃদপিণ্ডের আজার বড় হয়ে থাকলে ইত্যাদি।
![](https://noproblembd.com/wp-content/uploads/2021/03/1615196962-picsay-2-1024x596.jpg)
ECG মাধ্যমে সহজেই হৃদরোগ নির্ণয় করা যায়। হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য কোন রোগীকে পরীক্ষা করার প্রয়োজন হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই এই পরীক্ষাটি করতে বলেন। এটি করার জন্য কোন কাটাছেঁড়া করার দরকার হয় না। মাত্র ৫ মিনিটেই পরীক্ষাটি করা যায়।
আসলে ECG মেশিনটি অত্যন্ত সহজ সরল মেশিন তবে এটি ব্যবহার করে শরীরের ভেতরের হৃদপিণ্ডের অবস্থার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় বলে একজন রোগীর চিকিৎসার জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।