Modal Ad Example
পড়াশোনা

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read

প্রশ্ন-১. শ্রেণিবিন্যাস কী?

উত্তর : সহজে সু-শৃঙ্খলভাবে বিশাল জীবজগৎকে জানার জন্য এর ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেনিবিন্যাস বলে।

প্রশ্ন-২. শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে?

উত্তর : ক্যারোলাস লিনিয়াস হলো শ্রেণিবিন্যাসের জনক।

প্রশ্ন-৩. দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে?

উত্তর : গণ এবং প্রজাতির নাম নিয়ে কোনো  প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।

প্রশ্ন-৪. দ্বিপদ নামকরণের প্রবক্তা কে?

উত্তর : দ্বিপদ নামকরণের প্রবক্তা প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস।

প্রশ্ন-৫. শ্রেণিবিন্যাসের সর্বনিম্ন একক কী?

উত্তর : শ্রেনিবিন্যাসের সর্বনিম্ন একক হলো প্রজাতি।

প্রশ্ন-৬. Spongilla কোন পর্বের প্রাণী?

উত্তর : Spongilla পরিফেরা পর্বের প্রাণী।

প্রশ্ন-৭. ফিতাকৃমি কোন পর্বের প্রাণী?

উত্তর : ফিতাকৃমি প্লাটিহেলমিনথেস পর্বের প্রাণী।

প্রশ্ন-৮. ফিতাকৃমির রেচন অঙ্গ কী?

উত্তর : ফিতাকৃমির রেচন অঙ্গ হচ্ছে শিখা অঙ্গ।

প্রশ্ন-৯. সিলোম কাকে বলে?

উত্তর : বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিকণালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁশ স্থানকে সিলোম বলে।

প্রশ্ন-১০. সিলেন্টেরন কাকে বলে?

উত্তর : নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহগহ্বরই হলো সিলেন্টেরন।

প্রশ্ন-১১. জোঁক কোন পর্বের প্রাণী?

উত্তর : অ্যানেলিডা।

প্রশ্ন-১২. হাতুড়ি মাছের দেহে কোন ধরনের আঁইশ থাকে?

উত্তর : প্লাকয়েড।

কুমিরকে কেন সরীসৃপ বলা হয়?

উত্তর : কুমির সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণী। কারণ—

 

  • এরা বুকে ভর দিয়ে চলে৷
  • এদের ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত।
  • এছাড়া এদের চার পায়েই নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে।

 

সাধারণত এই সকল বৈশিষ্ট্য সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায় বলে কুমিরকে সরীসৃপ বলা হয়।

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তরঃ আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যঃ

 

  • সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ থাকে, দেহ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত।
  • দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ আবরণী দ্বারা আবৃত।
  • মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
  • এদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বরর হিমোসিল নামে পরিচিত।

 

দ্বিপদ নামকরণ/বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুই অংশ বা পদবিশিষ্ট হয়। এই নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে। বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়। যেমন—মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম homo sapiens।

স্কাইফাকে স্পঞ্জ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : স্কাইফা পরিফেরা পর্বের প্রাণী। এই পর্বের প্রাণীদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এদের দেহের ছিদ্রপথে পানির সঙ্গে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে, যা স্পঞ্জের  মতো কাজ করে। তাই এরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত।

হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?

উত্তর : হাইড্রার দেহ দুটি ভ্রূণীয়  কোষস্তর  দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরের দিকের স্তরটি এক্টোডার্ম এবং ভেতরের স্তরটি এন্ডোডার্ম। এ জন্য হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয়।

প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগতে রাখা হয় কেন?

উত্তর : প্রোটোজোয়া পর্বের প্রাণীরা এককোষী। এদের মধ্যে বিভিন্নতা এত বেশি যে এদের সদস্যদের একটিমাত্র পর্বে বিন্যস্ত করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগতে রাখা হয়েছে।

পতঙ্গ প্রাণীদের কিভাবে চেনা যাবে?

উত্তর : পতঙ্গ প্রাণীরা আর্থ্রোপোডা পর্বের। এরা সব পরিবেশে বাস করতে পারে। এদের অনেকে ডানার সাহায্যে উড়তে পারে। এদের মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের দ্বারাই পতঙ্গদের সহজে চেনা যায়।

ঝিনুক মলাস্কা পর্বের অন্তর্ভুক্ত কেন?

উত্তর : ঝিনুকের দেহ নরম। এর নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে। ঝিনুক পেশিবহুল পা দিয়ে চলাচল করে। ঝিনুকের দৈহিক বৈশিষ্ট্য মলাস্কা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ  বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। তাই ঝিনুক মলাস্কা পর্বের অন্তর্ভুক্ত।

সমুদ্র শসাকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : যেসব প্রাণীকে তাদের দেহে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুটি অংশে ভাগ করা যায় তাদের অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলে। সমুদ্র শসার দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত। ফলে একে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকার সমান দুটি অংশে ভাগ করা যায়। এ জন্যই সমুদ্র শসা অরীয় প্রতিসম প্রাণী।

মানবদেহে নটোকর্ডের অবস্থান ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : মানুষ কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের ম্যামালিয়া শ্রেণির প্রাণী। মানুষের দেহে নটোকর্ড আছে। নটোকর্ড হলো একটি নরম, নমনীয়, দণ্ডাকার, অখণ্ডায়িত অঙ্গ। মানবদেহে নটোকর্ড শুধু ভ্রূণীয় অবস্থায় পৃষ্ঠীয় রেখা বরাবর অবস্থান করে। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এটি মেরুদণ্ডে পরিণত হয়।

ভার্টিব্রাটা কেন উন্নত প্রাণী?

উত্তর : ভার্টিব্রাটা উন্নত প্রাণী। এদের নটোকর্ড শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ডে পরিবর্তিত হয়।

কুনো ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন?

উত্তর : কুনো ব্যাঙের জীবনের প্রথম অবস্থায় পানিতে বসবাস করে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়; কিন্তু পরিণত বয়সে ভাঙায় বসবাস করে। এ জন্য কুনো ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয়।

পাখি উড়তে পারে কেন?

উত্তর : পাখির দেহ পালক দ্বারা আবৃত। অস্থি হালকা, ফাঁপা ও বায়ুপূর্ণ আর ফুসফুসের সঙ্গে বায়ুথলি থাকায় পাখি উড়তে পারে।

শ্রেণিবিন্যাসের গুরুত্ব লিখ।

উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও স্বল্প সময়ে জানা যায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য। এর মাধ্যমে প্রাণিকুল ও উদ্ভিদজগতের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, গঠন এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ধারণা লাভ করা যায়। তাই, শ্রেণিবিন্যাসের গুরুত্ব অপরিসীম।

ফিতাকৃমি, গোল কৃমি এবং কেঁচোর বৈশিষ্ট্য।

উত্তর : ফিতাকৃমি, গোল কৃমি এবং কেঁচোর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ–

ফিতাকৃমিঃ এটি অ্যাসিলোমেট প্রাণী। কারণ এদের দেহে কোন সিলোম থাকে না। সিলোমের পরিবর্তে ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাঁকা স্থানটি মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষে পূর্ণ থাকে।

গোল কৃমিঃ এটি সুডোসিলোমেট প্রাণী। কারণ এ প্রাণীর দেহের গহ্বর মেসোডার্ম স্তর উদ্ভূত পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে না বরং দেহগহ্বরের চারপাশ পেশি স্তর দ্বারা ঘেরা থাকে।

কেঁচোঃ কেঁচো ইউসিলোমেট প্রাণী। এ প্রাণীর দেহে প্রকৃত দেহগহবর অর্থাৎ ভ্রূণীয় মেসোডার্ম স্তর উদ্ভূত পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত দেহপ্রাচীর ও পৌষ্টিকনালীর মধ্যস্থিত ফাঁপা স্থান থাকে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x