ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া সাফল্য অর্জন সম্ভব নয় কেন? | ঝুঁকি কাকে বলে? | ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক

ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া সাফল্য অর্জন সম্ভব নয় কেন?

উদ্যোক্তাকে সবসময় অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির ধনাত্মক সম্পর্ক বিদ্যমান। একজন উদ্যোক্তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঝুঁকি পরিমাপ করেন। বেশি ঝুঁকি নিলে বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঝুঁকি না নিলে ব্যবসায়ে সাফল্য অর্জন তথা ব্যবসায় পরিচালনাও সম্ভব নয়। তাই বলা হয়, ঝুকি ছাড়া সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।

ঝুঁকি গ্রহণ ছাড়া মুনাফা আশা করা যায় না। বেশি মুনাফার আশায় শিল্প উদ্যোক্তাগণ ঝুঁকির সাথে নতুন পণ্য, সেবা ও ধারণা উৎপাদন ও বন্টন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে থাকেন। ফলে তাদের সাফল্য বেশি হয়।

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়েই উদ্যোক্তাকে সব সময় কাজ করতে হয়। এই কাজের সাথে রয়েছে যথেষ্ট ঝুঁকি। আবার ঝুঁকি গ্রহণ ছাড়া সাফল্য অর্জনও সম্ভব নয়। তাই তাকে ঝুঁকি পরিমাপসহ ঝুঁকি গ্রহণের ইচ্ছা ও ক্ষমতা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

ঝুঁকি কাকে বলে?

ঝুঁকি বলতে আমরা সাধারণতঃ ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তাকে বুঝি। ঝুঁকিকে আমরা সাধারণত নেতিবাচক বলে মনে করে থাকি। মানুষের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিপদাপদ, অনিশ্চয়তা, বিপর্যয় রয়েছে। আর এ অনিশ্চয়তা নিরসনের জন্যই বীমা কার্যক্রমের জন্ম। তাই বলা যায় ঝুঁকির কারণেই বীমার উদ্ভব।

বীমার মূল উৎস হলো ঝুঁকি ও ঝুঁকির অনিশ্চয়তা।

মি. গ্রিন এর মতে, “ঝুঁকি হলো কোনো আর্থিক ক্ষতি সাধন সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা।”

এফ.নিট এর মতে, “ঝুঁকি হচ্ছে পরিমাপ ও নির্ধারণযোগ্য অনিশ্চয়তা।”

এম, এন. মিশ্র একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংজ্ঞা প্রদান করেছেন, তার মতে, “কোন আর্থিক ক্ষতি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তাই হচ্ছে ঝুঁকি।”

তাই বলা যায় ঝুঁকি হচ্ছে একটি অপ্রত্যাশিত অনিশ্চয়তা যা মানুষের আর্থিক ক্ষতি বয়ে আনে।

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির ধনাত্মক সম্পর্ক বিদ্যমান।

কোনো ব্যবসায়ের ঝুঁকি কম, আবার কোনোটির বেশি। যে ব্যবসায়ের ঝুঁকি কম সেখানে লাভের সম্ভাবনাও কম। আর যে ব্যবসায়ে ঝুঁকি বেশি সেখানে লাভের সম্ভাবনাও বেশি। তাই ঝুঁকির সাথে ব্যবসায় উদ্যোগের ধনাত্মক সম্পর্ক বিদ্যমান।