স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশি– সংজ্ঞা, পার্থক্য ও উদাহরণ

স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশি– সংজ্ঞা, পার্থক্য ও উদাহরণ

ভৌত জগতে পরিমাপযোগ্য সকল কিছুকে রাশি বলে। কোন রাশি যখন পরিমাপ করা হয় তখন তার একটি মান থাকে। আবার কিছু রাশি পরিমাপ করতে মান এর সাথে দিকেরও প্রয়োজন হয়। এই আর্টিকেলে, আমরা স্কেলার ও ভেক্টর রাশি সংজ্ঞা, পার্থক্য এবং উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করব। স্কেলার রাশি কি? যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দ্বারা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ…

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ– সংজ্ঞা, পার্থক্য

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ– সংজ্ঞা, পার্থক্য

মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কণায় একে অন্যকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ শক্তি দুইভাবে হতে পারে, একটি মহাকর্ষ অন্যটি অভিকর্ষ। মহাবিশ্বের যে কোন দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ, তাকে মহাকর্ষ বলে, এই বলকে মহাকর্ষীয় বল বলে। অন্যদিকে, পৃথিবী তার কাছাকাছি বা তার ভূপৃষ্ঠ থাকা সকল বস্তুকে আকর্ষণ করে, এটিকে অভিকর্ষ বলে। নিম্মোক্ত আর্টিকেলে, মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ…

দ্রুতি ও বেগের পার্থক্য

দ্রুতি ও বেগের পার্থক্য

পদার্থ বিজ্ঞানে দ্রুতি এবং বেগ উভয়ই একটি বস্তুর গতির হার পরিমাপ করে। দ্রুতি ও বেগের মধ্যে মূল পার্থক্য হল- কোন বস্তু কত দ্রুত চলছে বা কত দূরত্ব অতিক্রম করছে, তার পরিমাপকে দ্রুতি বলে। বিপরীতে, কোন বস্তু কত দ্রুত চলছে এবং কোন দিকে চলছে, বেগ তা নির্দেশ করে। নিম্মে দ্রুতি ও বেগের সংজ্ঞা, পার্থক্য ও উদাহরণ বর্ণনা করা হল।…

তাপ ও তাপমাত্রার পার্থক্য

তাপ ও তাপমাত্রার পার্থক্য

তাপ ও তাপমাত্রা দুটি ভিন্ন পরিমাণ। তাপ ও তাপমাত্রার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হল তাপ হল শক্তির রূপ যা গরম অবস্থা থেকে ঠান্ডা অবস্থায় স্থানান্তরিত হয়। বিপরীতে, তাপমাত্রা হল একটি বস্তুর উষ্ণতা এবং শীতলতার পরিমাপ। নিম্মে তাপ ও তাপমাত্রার সংজ্ঞা, এবং উভয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য সমূহ বর্ণনা করা হল। তাপ কি? তাপ (Heat) হল শক্তির একটি রূপ যা…

প্যাসকেলের সূত্র-‌‌ সংজ্ঞা, উদাহরণ

প্যাসকেলের সূত্র-‌‌ সংজ্ঞা, উদাহরণ

ফরাসি গণিতবিদ ব্লেজ প্যাসকেল ১৬৫৩ সালে  প্যাসকেলের সূত্র প্রতিষ্ঠিত করেন যা ১৬৬৩ সালে প্রকাশিত হয়। ব্লেজ প্যাসকেল আবদ্ধতরল বা বায়ুবীয় পদার্থের চাপের সঞ্চালন সম্পর্কে যে সূত্র প্রদান করেছিলেন, তা প্যাসকেলের সূত্র (Pascal’s Law) নামে পরিচিত। প্যাসকেলের সূত্র ”কোন আবদ্ধপাত্রে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থের কোনো অংশের ওপর বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করলে, সেই চাপ কিছু মাত্র না…

ওহমের সূত্র : ব্যাখ্যা ও সীমাবদ্ধতা

ওহমের সূত্র : ব্যাখ্যা ও সীমাবদ্ধতা

ইলেকট্রিসিটির মৌলিক উপাদান হল ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রেজিস্ট্যান্স। পদার্থবিজ্ঞানে ওহমের সূত্র এই তিনটির মধ্যে একটি সরল সম্পর্ক দেখায়। এই আইনটি বিদ্যুতের সবচেয়ে মৌলিক আইনগুলোর মধ্যে একটি। এটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের উপাদানের শক্তি, দক্ষতা, বিদ্যুত, ভোল্টেজ এবং রোধ নির্ণয় করতে সহায়তা করে। ওহমের সূত্র মূলত বৈদ্যুতিক সার্কিটে ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রোধের মধ্যে সম্পর্ক গণনা করতে ব্যবহৃত হয়।…

কুলম্বের সূত্র কি?

কুলম্বের সূত্র কি?

কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law) হল পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্র যা দুটি স্থির, বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণার মধ্যে শক্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে। অর্থাৎ কুলম্বের সূত্র হল আধানযুক্ত দুটি বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তির একটি গাণিতিক বর্ণনা। ১৮ শতকে ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস-অগাস্টিন ডি কুলম্ব সূত্রটি প্রণয়ন করেন। তিনি তড়িৎ চুম্বকত্বের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেন। কুলম্বের সূত্রানুসারে, দুটি চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বা…

মুক্ত কম্পন কাকে বলে?

মুক্ত কম্পন কাকে বলে? যেকোনো আকার, গঠন বা আকৃতির বস্তুকে আন্দোলিত করলে বস্তুটি একটি নিজস্ব কম্পাঙ্ক রক্ষা করে স্পন্দিত হয়। এ স্পন্দনকে মুক্ত কম্পন বলে। যেমন – একটি সরল দোলকের কম্পন বা সুরশলাকার কম্পন মুক্ত কম্পন।

নিস্পন্দ বিন্দু কাকে বলে?

নিস্পন্দ বিন্দু কাকে বলে? স্থির তরঙ্গের যেসব বিন্দুতে কণার লব্ধি তরঙ্গের বিস্তার শূন্য হয় অর্থাৎ কণাগুলোর কোনো স্পন্দন হয় না (কণাগুলো সর্বদা স্থির থাকে) তাদের নিস্পন্দ বিন্দু বলে।

স্থির তরঙ্গ সৃষ্টির শর্ত

স্থির তরঙ্গ সৃষ্টির শর্ত ১) স্থির তরঙ্গ সীমিত অংশে পরপর বিপরীতমুখী দুটি একই বিস্তার, একই বেগ ও একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অগ্রগামী তরঙ্গের উপরিপাতনে সৃষ্টি হয়। ২) প্রতিফলিত তরঙ্গ ও মূল তরঙ্গের প্রকৃতি অভিন্ন থাকলেও এদের মধ্যে দশা পার্থক্য 2π = 180° হতে হবে। ৩) স্থির তরঙ্গ সীমিত স্থানে পর্যায়ক্রমে উৎপন্ন ও বিলুপ্ত হয়। অনুভূমিক টানা তারে উল্লম্বভাবে…