পড়াশোনা

একটি আদর্শ প্রোগ্রামের গুণাবলি কি কি?

0 min read

আদর্শ প্রােগ্রাম বলতে যে প্রােগ্রামে কম্পিউটার প্রােগ্রামের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি বর্তমান সে ধরনের প্রােগ্রামকে বুঝায়। সাধারণত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রােগ্রাম রচনা করা হয়। একটি আদর্শ প্রােগ্রাম সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি আদর্শ প্রােগ্রাম রচনার ক্ষেত্রে ৭টি ধাপে রচনা কার্য সমাপ্ত করতে হয়। ধাপগুলাে এ অধ্যায়ের প্রথমে আলােচনা করা হয়েছে। এ ৭টি ধাপে প্রােগ্রাম রচনা করলে রচনাকার্যে ত্রুটি সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া একটি আদর্শ প্রােগ্রামের সাধারণত ৫টি পর্ব থাকে।

১. পরিচয় পর্ব
২. বর্ণনা
৩. ইনপুট
৪. প্রসেস
৫. আউটপুট

পরিচয় পর্বঃ এ পর্বে প্রােগ্রামের বিষয়বস্ত, প্রােগ্রামারের নাম, প্রােগ্রামের সময়কাল, প্রােগ্রামে ব্যবহৃত বিভিন্ন চলকের বর্ণনা ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

বর্ণনাঃ এ পর্বে প্রােগ্রামের সমস্যার বর্ণনা, সমাধানের কৌশল, সিদ্ধান্ত, যুক্তি ইত্যাদির উল্লেখ থাকে।

ইনপুটঃ একটি আদর্শ প্রােগ্রামের ভেতরে তথ্য ইনপুটের সুবিধা থাকবে অথবা প্রোগ্রাম চলাকালে বাইরে থেকে তথ্য যােগানের সুবিধা থাকবে।

প্রসেসঃ তথ্য প্রক্রিয়াকরণই প্রােগ্রামের মূল উদ্দেশ্য। অতএব একটি আদর্শ প্রােগ্রামে অবশ্যই তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সুবিধা থাকবে।

আউটপুটঃ যেকোন প্রােগ্রামের জন্য ফলাফল অবশ্যই বাঞ্ছনীয়। একটি আদর্শ প্রােগ্রামে ফলাফল প্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকবে।

এছাড়া নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি প্রােগ্রামকে আদর্শ বলা যায়।
১। প্রােগ্রামটি নির্ভুল।
২। যুক্তিপূর্ণ বিন্যাস।
৩। যতটা সম্ভব সরল ও সংক্ষিপ্ত।
৪। সহজে প্রােগ্রামটির পরিবর্তন পরিমার্জন ও ভুল সংশােধন করা যায়।

উপর্যুক্ত গুণাবলি থাকলে একটি প্রােগ্রামকে আদর্শ প্রােগ্রাম বলা যায়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x