বিজ্ঞানী ওয়েরস্টেড আবিষ্কার করেন যে, বিদ্যুৎবাহী পরিবাহীর চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। এই চৌম্বক ক্ষেত্রের চৌম্বকীয় আবেশ বা চৌম্বক প্রাবল্য নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানী ল্যাপ্লাস একটি উপপাদ্য বা সূত্র প্রদান করেন। একে ল্যাপ্লাসের উপপাদ্য বা ল্যাপ্লাসের সূত্র বলে। পরবর্তীতে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী বায়োট এবং স্যাভার্ট সূত্রটির একটি পরীক্ষামূলক প্রমাণ দেন। তাই এ সূত্রটিকে বায়োট-স্যাভার্ট-এর সূত্র বলা হয়। যে কোনো আকারের পরিবাহী ও বিভিন্ন তড়িৎ বণ্টনের জন্য সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্র নির্ণয়ে এ সূত্র প্রয়োগ করা যায়। সূত্রটি নিম্নে বিবৃত করা হলো।
সূত্র : ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে এর চারপাশে যে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার কোনো বিন্দুতে চৌম্বকীয় আবেশের মান—
(i) বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রার সমানুপাতিক,
(ii) পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক,
(iii) পরিবাহীর মধ্যবিন্দু হতে ঐ বিন্দুর সংযোগ রেখা এবং পরিবাহীর অন্তর্ভুক্ত কোণের সাইনের সমানুপাতিক,
(iv) পরিবাহীর মধ্য বিন্দু হতে ঐ বিন্দুর দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।