কম্পিউটার ইথিকস বা কম্পিউটার নীতিশাস্ত্র হলাে ব্যবহারিক দর্শনশাস্ত্রের একটি শাখা যা পেশা বা সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কম্পিউটিং প্রফেশনালদের বা ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগকে কিভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা করে। বােলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ওয়াল্টার ম্যানার সর্বপ্রথম কম্পিউটার ইথিকস টার্মটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
১৯৯২ সালে ‘কম্পিউটার ইথিকস ইন্সটিটিউট’ কম্পিউটার ইথিকস এর বিষয়ে দশটি নির্দেশনা তৈরি করেছিলেন। নির্দেশনাগুলাে র্যামন সি. বারকুইন তাঁর গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছিলেন। এই নির্দেশনা হলাে–
(১) অন্যের ক্ষতি করার জন্য তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার না করা।
(২) অন্য কোন ব্যক্তির তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির কাজের উপর হস্তক্ষেপ না করা।
(৩) অন্য ব্যক্তির ফাইলসমূহ হতে গােপনে তথ্য সংগ্রহ না করা।
(৪) চুরির উদ্দেশ্য তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার না করা।
(৫) মিথ্যা সাক্ষ্য প্রমাণ বহনের জন্য তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার না করা।
(৬) নিজের নয় এরূপ অন্যের যে কোন ধরনের সফ্টওয়্যার কপি না করা।
(৭) অনুমতি ছাড়া অন্যের তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির রিসাের্স ব্যবহার না করা।
(৮) অন্যের বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ফলাফলকে আত্মসাৎ না করা।
(৯) এমন কোন প্রােগ্রাম বা সফ্টওয়্যার তৈরি না করা যাতে সমাজের ক্ষতি হয়।
(১০) তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে ওই সব উপায়ে ব্যবহার করা উচিত নয় যা বিচার বিবেচনা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে কম্পিউটার নিরাপত্তা সম্পর্কিত পেশাজীবী সংগঠন CISSP (Certre for Computing and Social Responsibility) এই ধারাসমূহকে তাদের নিজস্ব নৈতিকতা আইনের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। প্রধানত কম্পিউটার ইথিকস বা তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির নৈতিকতার ক্ষেত্রে বিবেচ্যবিষয়সমূহ হলাে কম্পিউটার অপরাধ (যেমন- সাইবার ক্রাইম, কম্পিউটার ভাইরাস, সফটওয়্যার পাইরেসি), প্লেজিয়ারিজম ও কপিরাইট আইন।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “কম্পিউটার ইথিকস বা কম্পিউটার নীতিশাস্ত্র কি?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।