প্রাইমারি দূষক ও সেকেন্ডারি দূষক কাকে বলে?

প্রাইমারি দূষকঃ

যেসব দূষক কোনো উৎস হতে নির্গত হয়ে সরাসরি অপরিবর্তিত অবস্থায় পরিবেশে আসে তাদের প্রাইমারি দূষক বলে। যেমন- SO2, NO (নাইট্রিক অক্সাইড), NO2, CO (কার্বন মনোক্সাইড), CO2 (কার্বন ডাই অক্সাইড), হাইড্রোকার্বনসমূহ, ছাই, ধুলিকণা ইত্যাদি।

প্রধান উৎসঃ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, বনাঞ্চলের দাবানল, জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস ইত্যাদি।

সেকেন্ডারি দূষকঃ

যেসব দূষক কোনো উৎস থেকে সরাসরি পরিবেশে আসে না। পরিবেশস্থিত দূষকগুলির পারস্পারিক বিক্রিয়ায় বা প্রাথমিক দূষকের সঙ্গে পরিবেশের কোনো একটি উপাদানের বিক্রিয়ায় যেসব ক্ষতিকারক পদার্থ সৃষ্টি হয় তাদের সেকেন্ডারি দূষক বলে। যেমন- পারঅক্সিঅ্যাসাইল নাইট্রেট (PAN), ডাই মিথাইল মার্কারি [(CH3)2Hg], SO3 (সালফার ট্রাইঅক্সাইড), NO(নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড), O3, H2SO4 ইত্যাদি।

প্রধান উৎসঃ নাইট্রোজেন অক্সাইড এর উৎস হিসাবে রয়েছে বায়ুমণ্ডলে বজ্রপাত, জীবভরের দহন, রাসায়নিক সার কারখানা, নাইট্রিক এসিড কারখানা, পারমাণবিক বিস্ফারণ প্রভৃতি।

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “রেড ডাটা বুক কি? ” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *