যোজ্যতা কাকে বলে?
কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বেজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা (Valency) বলে।
ধাতব মৌলের ক্ষেত্রে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যা এবং অধাতব মৌলের ক্ষেত্রে সর্বশেষ কক্ষপথের বেজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা মৌলের যোজ্যতা নির্দেশ করে। কোন অধাতব মৌল তার অষ্টক পূরণের জন্য যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে সে সংখ্যাকেও ঐ মৌলের যোজ্যতা বলে। মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথের উপস্তরসমূহের মধ্যে ইলেকট্রন পুনর্বিন্যাসের কারণে বেজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। এই মৌলসমূহ পরিবর্তনশীল যোজ্যতা বা একাধিক যোজ্যতা প্রদর্শন করে। উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট ধাতব মৌল পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে। যোজ্যতা মূলত কোনো মৌলের, অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার সামর্থ্য বা ক্ষমতা। পর্যায় সারণির নিষ্ক্রিয় শ্রেণির মৌলসমূহ সাধারণত অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হয় না, তাই এদের যোজ্যতা শূন্য ধরা হয়।
এ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
কোনো মৌলের অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার সামর্থ্যকে কী বলে?
উত্তর : যোজ্যতা।
Na এর যোজনী কীসের উপর নির্ভর করে?
উত্তর : সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রনের সংখ্যার উপর।
Cl এর যোজনী কীসের উপর নির্ভর করে?
উত্তর : সর্বশেষ কক্ষপথের বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যার উপর।
Be এর যোজনী কত?
উত্তর : 2।
B এর যোজনী কত?
উত্তর : 3।
Al এর যোজনী কত?
উত্তর : 3
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডে নাইট্রোজেনের সুপ্ত যোজনী কত?
উত্তর : 1
ফেরাস ক্লোরাইডে আয়রনের যোজনী কত?
উত্তর : 2
PCl3 এ P এর সুপ্ত যোজনী কত?
উত্তর : 2