পড়াশোনা

HSC আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read

প্রশ্ন-১। 9600 bps স্পিডটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ 9600 bps মানে হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে 9600 bps ডেটা স্থানান্তরিত হয়। এই ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীডকে অনেক সময় Bandwidth বলা হয়। এই ব্যান্ডউইউথ সাধারণত Bit per Second (bps)-এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ড যে পরিমাণ বিট ট্রান্সমিট করা হয় তাকে bps বা Bandwidth বলে।

প্রশ্ন-২। হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করলে কি সুবিধা পাওয়া যায়– ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে না পাঠিয়ে সকল কম্পিউটারে পাঠায়। ফলে ডেটা প্রেরণে সুইচের ক্ষেত্রে কম সময় লাগে।

প্রশ্ন-৩। ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটির বর্ণনা দাও।

উত্তর : ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল।

অপটিক্যাল ফাইবার হল ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আঁশ, যা আলো নিবন্ধনকরণ ও পরিবহনে সক্ষম। ভিন্ন প্রতিসরাংকের এই ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার গঠিত। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থাকে। যথা–

১. কোর : ভিতরের ডাই-ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে।

২. ক্ল্যাডিং : কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের, ডাই-ইলেকট্রিক আবরণ ক্ল্যাডিং নামে পরিচিত। কোরের প্রতিসরাংক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের চেয়ে বেশি থাকে।

৩. জ্যাকেট : আবরণ হিসাবে কাজ করে।

প্রশ্ন-৪। অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা চলাচল ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : অপটিক্যাল ফাইবারে দ্রুত ডেটা প্রবাহিত হয় কারণ, ফাইবার অপটিক ক্যাবল তার মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। এর মধ্যদিয়ে আলোক সংকেত রূপে ডেটা পরিবাহিত হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে। এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। ফলে ডেটা আলোর গতিতে স্থানান্তর হয়। আর এর মধ্য দিয়ে Gbps-রেঞ্জ বা তার চেয়ে বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করতে পারে।

প্রশ্ন-৫। “ক্লাউড কম্পিউটিং” -ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা।

এখানে ‘ক্লাউড’ বলতে দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে ‘ক্লাউড’ প্রদত্ত সেবাসমূহ ভোগ করা যায়।

প্রশ্ন-৬। মোবাইল ফোনের ডাটা ট্রান্সমিশন মোড- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল ডুপ্লেক্স। ফুল ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একই সময়ে উভয় প্রান্তে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। এক্ষেত্রে একই সময়ে যেকোনো প্রান্ত ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে। মোবাইল ফোনে একই সাথে উভয় প্রান্তে কথা বলা ও শোনা যায়।

 

 

প্রশ্ন-৭। হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোডের মধ্যে সুবিধাজনক কোনটি?

উত্তরঃ হাফ-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোডের জন্য কম যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। তাই খরচের দিক দিয়ে হাফ-ডুপ্লেক্স সুবিধাজনক।  ডেটা প্রেরণের দিক দিয়ে ফুল-ডুপ্লেক্স সুবিধাজনক। কারণ যদিও দুই মোডের মাধ্যমেই উভয় দিকে ডেটা পাঠানো সম্ভব, কিন্তু হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করা যায় না যা ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে করা সম্ভব।

প্রশ্ন-৮। ডেটা আদান-প্রদানের জন্য নেটওয়ার্ক অপরিহার্য- বুঝিয়ে লেখ।

উত্তরঃ ডেটাকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আদান-প্রদানকে বলা হয় ডেটা কমিউনিকেশন। আর এই ডেটা কমিউনিকেশন করা যায় গ্রাহক এবং প্রেরকের মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে। নেটওয়ার্কের ফলে গ্রাহক এবং প্রেরকের মাঝে সংযোগ স্থাপন হয়। এই সংযোগ স্থাপন হওয়া ছাড়া ডেটা কমিউনিকেশন অসম্ভব। তাই বলা যায় ডেটা আদান-প্রদানের জন্য নেটওয়ার্ক অপরিহার্য।

প্রশ্ন-৯। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনে ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক বা প্যাকেট ট্রান্সমিট করা হয়। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২টি ক্যারেক্টার থাকে। পক্ষান্তরে, অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয়। ফলে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেমে সময় বেশি প্রয়োজন হয়। তাই, অল্প পরিমাণ ডেটা ট্রান্সমিট করার ক্ষেত্রে অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতি বেশি উপযোগী।

প্রশ্ন-১০। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম এ ডেটার মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা কীভাবে বোঝা যায়?

উত্তরঃ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট করা হয়। প্রতিটি ব্লক ডেটার শুরুতে একটি হেডার ইনফরমেশন ও শেষে একটি টেইলর ইনফরমেশন সিগনাল পাঠানো হয়। এই সিগনালই ডেটার মধ্যে কোনো ভুল আছে কিনা তা যাচাই করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-১১। ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন?

উত্তরঃ ক্লাউড কম্পিটিং হলো একগুচ্ছ রিমোট সার্ভারের কম্পিউটার রিসোর্স। নিম্নলিখিত সুবিধার কারণে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয়–

১. সার্বক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য।

২. যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে তথ্য আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়।

৩. হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, লাইসেন্স ফি এর জন্য অধিক অর্থ ব্যয় করতে হয় না।

৪. কম সংখ্যক জনবল নিয়ে অধিক কাজ করার সুবিধা।

৫. পরিচালনা ব্যয় কম এবং কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না।

৬. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট হয় এবং সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

2.5/5 - (2 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x