অধ্যায়-২ : জীবজগৎ, ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান
প্রশ্ন-১. ইউগ্লেনা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : প্রোটিস্টা।
প্রশ্ন-২. অপুষ্পক উদ্ভিদের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে উন্নত?
উত্তর : ফার্ন।
প্রশ্ন-৩. সপুষ্পক উদ্ভিদ কয় ধরনের?
উত্তর : ২।
প্রশ্ন-৪. সর্বাধুনিক শ্রেণীকরণ পদ্ধতিটি কত সালে আবিষ্কৃত হয়েছে?
উত্তর : ১৯৭৮।
প্রশ্ন-৫. আরোকেরিয়া কোন ধরনের উদ্ভিদ?
উত্তর : নগ্নবীজী।
প্রশ্ন-৬. জীবজগতের আধুনিক শ্রেণিবিন্যাস কে করেন?
উত্তর : মারগিউলিস ও হুইটেকার।
প্রশ্ন-৭. আধুনিক শ্রেণিকরণ পদ্ধতিতে জীবজগতকে মোট কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : আধুনিক শ্রেণিকরণ পদ্ধতিতে জীবজগতকে মোট ৫টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৮. জীব কাকে বলে?
উত্তর : যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে।
প্রশ্ন-৯. জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : জীবের জীবন আছে। জীবন থাকার কারণেই জীব বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। জীবন না থাকলে জীবের দেহে শ্বসন, প্রজনন, রেচন, বৃদ্ধি প্রভৃতি ঘটত না। তাই বলা যায়, জীবন জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন-১০. জীবের শ্রেণীকরণ কাকে বলে?
উত্তর : কম সময়ে সহজে জীবজগৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য বর্তমান ও অতীতের সব জীবকে যে পদ্ধতিতে সাজানো হয় তাকে জীবের শ্রেণিকরণ বলে।
প্রশ্ন-১১. পৃথিবীতে কোন শ্রেণিভুক্ত প্রাণীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
উত্তর : পৃথিবীতে পতঙ্গ শ্রেণিভুক্ত প্রাণীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন-১২. ফানজাই কি?
উত্তর : সুপার কিংডম-২ ইউক্যারিওটাতে অবস্থিত রাজ্য-৩ এর জীবদের ফানজাই (Fungi) বলে। এদের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবি বা পরজীবি। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম নিয়ে গঠিত। যেমন: মাশরুম, Penicillium.
প্রশ্ন-১৩. ফানজাই কিংডমের ২টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : ফানজাই কিংডমের ২টি বৈশিষ্ট্য হলো—
i. এদের দেহে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে,
ii. দেহে ক্লোরোফিল নেই বলে এরা পরভোজী।
প্রশ্ন-১৪. সিলেন্টেরন কী?
উত্তর : জেলী মাছ, প্রবাল কীট প্রভৃতি দলভুক্ত অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহের ভিতর একটি ফাঁপা গহ্বর হলো সিলেন্টেরন।
প্রশ্ন-১৫. মেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রাণীর মেরুদণ্ড আছে তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে।
প্রশ্ন-১৬. অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রাণীর মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে।
প্রশ্ন-১৭. নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
i. এসব উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় না থাকায় ডিম্বকগুলো নগ্ন থাকে।
ii. এসব ডিম্বক পরিণত হয়ে বীজ উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন-১৮. স্তন্যপায়ী প্রাণী কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর : যেসকল প্রাণী বাচ্চা অবস্থায় মায়ের দুধ পান করে বড় হয় এবং পরিণত অবস্থায় স্ত্রী প্রাণী বাচ্চা প্রসব করে তাদের স্তন্যপায়ী প্রাণী বলে। এদের দেহে লোম থাকে। যেমন মানুষ, কুকুর, বিড়াল, গরু ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৯. স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ২টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ২টি বৈশিষ্ট্য হলো—
i. এই প্রাণীরা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়।
ii. এদের মস্তিষ্ক ও দেহের গঠন বেশ উন্নত।
প্রশ্ন-২০. সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব উদ্ভিদে ফুল হয় তাদেরকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে।
প্রশ্ন-২১. উভচর প্রাণীর বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর : উভচর শ্রেণিভুক্ত প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—
i. এরা জীবনের কিছু সময় ডাঙায় ও কিছু সময় পানিতে বাস করে।
ii. এদের ত্বকে লোম, আঁইশ বা পালক কিছুই থাকে না।
iii. উভচর প্রাণীর দুই জোড়া পা থাকে, পায়ের আঙুলে কোনো নখ থাকে না।
iv. এরা শীতল রক্ত বিশিষ্ট।
v. এরা শীতনিদ্রা যাপন করে।
প্রশ্ন-২২. মনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীবেরা এককোষী। এদের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এরা খুবই ক্ষুদ্র। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এদের দেখা যায় না। এদের অধিকাংশই শোষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।
প্রশ্ন-২৩. উদ্ভিদের পাতা সবুজ দেখায় কেন?
উত্তর : উদ্ভিদদেহে প্লাস্টিড নামক বর্ণময় বা বর্ণহীন একটি অঙ্গাণু থাকে। এ প্লাস্টিডের বিভিন্ন বর্ণের কারণে উদ্ভিদের অঙ্গ বর্ণময় হয়। এর মধ্যে সবুজ রঙের প্লাস্টিড বা ক্লোরোফিল পাতায় বেশি পরিমাণে উপস্থিত থাকে বলে উদ্ভিদের পাতা সবুজ বর্ণের দেখায়।
প্রশ্ন-২৪. জীব খাদ্য গ্রহণ করে কেন- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : খাদ্য গ্রহণ জীবের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। বেঁচে থাকার জন্য জীবকে অবশ্যই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। খাদ্য ছাড়া কোনো জীবই বাঁচতে পারে না। শুধু তাই নয়, খাদ্য গ্রহণের পর তা হজম হয়ে জীবদেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে এবং জীবদেহে শক্তি তৈরি হয়। এ শক্তি জীবের বিভিন্ন জৈবিক কাজ সম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যা জীবকে সুস্থভাবে বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ফার্ন ও একটি ফুলসহ নয়নতারা গাছ দেখিয়ে বললেন, দুইটি গাছের মধ্যে একটির ফুল আছে এবং ফল হয় তবে এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের ফুল হয় কিন্তু ফল হয় না।
ক. সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ কী?
খ. সাইকাসকে নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলার কারণ কী?
গ. শ্রেণিকক্ষে প্রদর্শিত সপুষ্পক উদ্ভিদটি যে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত তার সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য লেখো ।
ঘ. জীবজগতের জীবগুলোর “৫ম রাজ্যটি ৪র্থ রাজ্যের উপর নির্ভরশীল”— উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যেসকল উদ্ভিদ দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না সেসকল উদ্ভিদই হলো সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ।
খ. নগ্নবীজী উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে না ফলে ডিম্বকগুলো নগ্ন থাকে। নিষেকের পর এ ডিম্বকগুলো বীজে পরিণত হয় এবং তা নগ্ন অবস্থায় থাকে। সাইকাস উদ্ভিদে নগ্নবীজী উদ্ভিদের এ বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় বলেই একে নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলা হয়।
গ. শ্রেণিকক্ষে প্রদর্শিত সপুষ্পক উদ্ভিদটি হলো নয়নতারা। এটি প্লান্টি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত । নিচে প্লান্টি রাজ্যের সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো—
i. এ রাজ্যের উদ্ভিদ দেহে সবুজ বর্ণ কণিকা বা ক্লোরোফিল থাকে।
ii. ক্লোরোফিল থাকায় এ রাজ্যের উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে। তাই এরা স্বভোজী।
iii. এদের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা গঠিত।
iv. এদের কোষ সুগঠিত নিউক্লিয়াসযুক্ত ।
v. এরা এক বা বহুকোষী হতে পারে।
ঘ. জীবজগতের শ্রেণিকরণে ৪র্থ রাজ্যটি হলো প্লান্টি এবং ৫ম রাজ্যটি অ্যানিমেলিয়া। এদেরকে যথাক্রমে বলা হয় উদ্ভিদজগৎ এবং প্রাণিজগৎ। প্রাণিজগৎ উদ্ভিদ জগতের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। কারণ প্রাণীরা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না, তাই খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়।
প্রাণী তথা মানুষ তাদের বাসস্থান, বস্ত্র সবকিছুর জন্যই উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া প্রাণিজগতের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন অত্যাবশ্যক যা উদ্ভিদ থেকেই প্রাণিরা পেয়ে থাকে। এ আলোচনা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে, শ্রেণিকরণের ৫ম রাজ্যটি অর্থাৎ অ্যানিমেলিয়া, ৪র্থ রাজ্য প্লান্টির উপর নির্ভরশীল— উক্তিটি যথার্থ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১। পরভোজী জীবের বৈশিষ্ট্য হলো, এরা–
i. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে খাদ্য তৈরি করে
ii. জীবিত জীব থেকে খাদ্য শোষণ করে
iii. মৃত জীবের দেহাবশেষ গ্রহণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii খ) i ও iii গ) ii ও iii ঘ) i, ii ও iii
উত্তরঃ– গ) ii ও iii