Modal Ad Example
পড়াশোনা

নবম অধ্যায় : এসিড-ক্ষারক সমতা, নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন

1 min read

এসিড-ক্ষারক সমতা (Balance of Acid-Base)

ত্বকের pH মানের আদর্শ সীমা কত?

উত্তরঃ ত্বকের pH এর আদর্শ সীমা 5.5–6.5।

তেঁতুলে এবং লেবুতে কোন এসিড থাকে?

উত্তরঃ তেঁতুলে টারটারিক এসিড এবং লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকে।

pH কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের pH বলে।

NO2 গ্যাসের বর্ণ কী?

উত্তরঃ NO2 গ্যাসের বর্ণ বাদামী।

পানিতে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা কত?

উত্তরঃ পানিতে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ০.০১ মি.গ্রা./লিটার।

মৃদু এসিড কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়োজিত হয় তাকে মৃদু এসিড বলে।

এসিড বৃষ্টি কী? (What is Acid Rain?)

উত্তরঃ অধাতুর অক্সাইডগুলো বৃষ্টির পানিতে দ্রবীভূত হয়ে সামান্য পরিমাণ এসিড উৎপন্ন করে। এই এসিড বৃষ্টির পানিতে মিশ্রিত হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে এসিড বৃষ্টি বলে।

pH মিটার কাকে বলে?

উত্তরঃ অজানা দ্রবণের pH নির্ণয়ের জন্য দ্রবণে ইলেকট্রোড ডুবিয়ে অজানা দ্রবণের pH এর মান যে মিটারের ডিসপ্লে হতে জানা যায় তাকে pH মিটার বলে।

বিশুদ্ধ পানির pH 7 কেন হয়?

উত্তরঃ পানি একটি নিরপেক্ষ পদার্থ। আর নিরপেক্ষ পদার্থের মান pH 7। আবার পানি জলীয় দ্রবণে সমান সংখ্যক H+ ও OH- আয়ন দেয়। তাই পানির pH 7।

বাফার দ্রবণ কাকে বলে?

উত্তরঃ যে দ্রবণে সামান্য পরিমাণ এসডি বা ক্ষারকের দ্রবণ যোগ করার পরও দ্রবণে PH এর মান অপরিবর্তিত থাকে তাকে বাফার দ্রবণ বলে। যেমন- CH3COOH ও CH3COONa দ্রবণের মিশ্রণ।

খর পানি ও মৃদু পানি কী?

উত্তরঃ যে পানিতে সহজেই সাবানের ফেনা হয় না তাকে খরপানি বলে। আর যে পানিতে সহজেই সাবানের ফেনা হয় তাকে মৃদুপানি বলে।

“সকল ক্ষারই ক্ষারক, সকল ক্ষারক ক্ষার নয়”– ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ সাধারণত ধাতুর অক্সাইডসমূহ যেমন আয়রন অক্সাইড, কপার অক্সাইড যা পানিতে দ্রবীভূত হয় না কিন্তু এসিডকে প্রশমিত করতে পারে তা ক্ষারক।

এসিড + ক্ষারক = লবণ + পানি

অপরদিকে ক্ষার এক বিশেষ ধরনের ক্ষারক যেমন— NaOH, Ca(OH)2 ইত্যাদি। এরা পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয় এবং এসিড দ্রবণকে প্রশমিত করে।

তাই বলা যায় সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।

মাণব স্বাস্থ্যের উপর এসিড বৃষ্টির প্রভাব কী?

উত্তরঃ এসিড বৃষ্টির প্রভাবে মানব স্বাস্থ্যে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হয়। যেমন:

১. চর্মজনিত রোগ যেমন : অ্যালার্জি। এসিড বৃষ্টির ফলে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে চামড়ায় খোস-পাঁচড়ায় সৃষ্টি হয়।

২. চোখের ত্রুটি সৃষ্টি হতে পারে।

৩. হাড়ে পর্যন্ত ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত এসিডিয় মাটিতে ফলন ভালো হয় না কেন?

 

উত্তরঃ মাটিতে pH কমে গেলে অর্থাৎ মাটি খুব বেশি এসিডিয় হলে এতে অনেক উদ্ভিদ যেমন সীম জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় না। কারণ এসিডের মাটিতে মুখ্য পুষ্টি উপাদান (নাইট্রোজেন, ফসফেট ও পটাসিয়াম) পরিশোষণ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ফলন ভালো হয় না।

সালফিউরিক এসিড কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ সালফিউরিক এসিডের ব্যবহারসমূহ নিচে দেয়া হলো:
বৃহৎ শিল্পে

  • অ্যামোনিয়াম সালফেট ও সুপার ফসফেট প্রভৃতি সার উৎপাদনে
  • পেট্রোলিয়াম বিশোধনে
  • ঔষধ ও রেয়ন শিল্পে
  • তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে Cu ও Zn উৎপাদনে H2SO4 বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।

ক্ষুদ্র শিল্পে

  • বিদ্যুৎ কোষ প্রস্তুতিতে
  • বিভিন্ন প্রকার রং ও রঞ্জন শিল্পে
  • বিস্ফোরক প্রস্তুতিতে H2SO4 ব্যবহৃত হয়।

পরীক্ষাগারে

  • বিকারক হিসেবেও গাঢ় H2SO4 ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x