পড়াশোনা

অধ্যায়-৮ : শব্দের কথা, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

1 min read

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের যেকোনো অংশ থেকে জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন আসতে পারে। তাই এ অধ্যায়ের সর্বাধিক কমনের উপযোগী কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান করা হলো।

প্রশ্ন-১. শব্দ কি?

উত্তর : শব্দ এক প্রকার শক্তি, যা শ্রবণের অনুভূতি জাগায়।

প্রশ্ন-২. কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ বেশি?

উত্তর : কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ বেশি।

প্রশ্ন-৩. শব্দ সৃষ্টির কারণ কী?

উত্তর : শব্দ সৃষ্টির কারণ বস্তুর কম্পন।

প্রশ্ন-৪. পানিতে শব্দের বেগ কত?

উত্তর : পরিষ্কার পানিতে শব্দের বেগ ১৪৪০ মিটার/সেকেন্ড। সমুদ্রের পানিতে শব্দের বেগ ১৫০০মিটার/সেকেন্ড।

প্রশ্ন-৫. শ্রুতিপূর্ব শব্দ কী?

 

উত্তর : বস্তুতে কম্পন সংখ্যা সেকেন্ডে ২০-এর চেয়ে কম হলে যে শব্দতরঙ্গের সৃষ্টি হয়, সে শব্দতরঙ্গকে শ্রূতিপূর্ব শব্দ বলে।

প্রশ্ন-৬. শ্রাব্য শব্দ কাকে বলে?

উত্তর : যে শব্দ শুনতে পাওয়া যায় তাকে শ্রাব্য শব্দ বলে। শ্রাব্য শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ থেকে ২০,০০০ হার্জ। শ্রাব্য শব্দ মানুষ শুনতে পায়।

প্রশ্ন-৭. অশ্রাব্য শব্দ কাকে বলে?

উত্তর : যে শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না তাকে অশ্রাব্য শব্দ বলে। অশ্রাব্য শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ হার্জের কম এবং ২০,০০০ হার্জের বেশি হয়। এ শব্দ কুকুর, বাদুড়, মাকড়সা ইত্যাদি প্রাণী শুনতে পায়।

প্রশ্ন-৮. সুশ্রাব্য শব্দ কি? সুশ্রাব্য শব্দ কীভাবে উৎপন্ন হয়?

উত্তর : যে শব্দ শুনতে ভালো লাগে, সুখকর, মধুর ও আনন্দদায়ক তাদের সুশ্রাব্য শব্দ বলে। বস্তুর নিয়মিত বা সুষম কম্পনের ফলে সুশ্রাব্য শব্দ উৎপন্ন হয়। যেমন– গানের সুর, বাঁশির সুর ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৯. নয়েজ কাকে বলে? নয়েজ কিভাবে উৎপন্ন হয়?

উত্তর : যে শব্দ শুনতে কষ্ট লাগে, যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর তাদের নয়েজ বা গোলমাল বলে। বস্তুর অনিয়মিত বা অসম কম্পনের ফলে নয়েজ উৎপন্ন হয়। পেরেক ঠোকার শব্দ, নির্মাণ কাজের শব্দ ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১০. শ্রুতি উত্তর শব্দ কাকে বলে?

উত্তর : যে শব্দের কম্পাঙ্ক ২০,০০০ হার্জের বেশি, সেই শব্দকে শ্রুতি উত্তর শব্দ বলে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই না। আমরা শুনতে পাই না বলেই, এরকম শব্দকে শ্রুতি উত্তর শব্দ বলে।

প্রশ্ন-১১. শব্দের বেগ কাকে বলে?

উত্তর : শব্দ কোনো নির্দিষ্ট দিকে প্রতি সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে শব্দের বেগ বলে।

প্রশ্ন-১২. শব্দ সঞ্চালন কি?

উত্তর : শব্দ সঞ্চালন হলো শব্দের উৎপত্তিস্থল থেকে অন্য স্থানে চলাচল করা।

প্রশ্ন-১৩. শব্দ দূষণ কী?

উত্তর : পরিবেশে যখন অতিরিক্ত ও অবাঞ্ছিত শব্দের আধিক্য থাকে, তখন তাকে শব্দ দূষণ বলা হয়।

প্রশ্ন-১৪. অ্যালুমিনিয়ামে শব্দের বেগ কত?

উত্তর : অ্যালুমিনিয়ামে শব্দের বেগ ৬৪২০ মিটার/সেকেন্ড।

প্রশ্ন-১৫. শব্দের উৎস কী?

উত্তর : কম্পনশীল যে বস্তু শব্দ সৃষ্টি করে তাই হলো শব্দের উৎস।

প্রশ্ন-১৬. সাইলেনসার কি?

উত্তর : সাইলেনসার হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যা উৎপন্ন শব্দকে বাইরে যেতে দেয় না।

 

 

প্রশ্ন-১৭. শ্রুতি-পূর্ব ও শ্রুতি-উত্তর শব্দ কাকে বলে?

উত্তর : যে শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ হার্জের কম। সেই শব্দকে শ্রুতি-পূর্ব শব্দ বলে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই না।

আর যে শব্দের কম্পাঙ্ক ২০,০০০ হার্জের বেশি, সেই শব্দকে শ্রুতি উত্তর শব্দ বলে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই না।

প্রশ্ন-১৮. শব্দোত্তর শব্দ কাকে বলে? শব্দোত্তর শব্দের ব্যবহার লিখ।

উত্তর : ২০,০০০ কম্পাঙ্কের উপরের শব্দকে শব্দোত্তর বা শ্রবণোত্তর বলে।

শব্দোত্তর শব্দের ব্যবহার :

১. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ে।

২. কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করতে।

৩. রোগ নির্ণয়ে।

৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে।

৫. বিভিন্ন প্রাণী চলার জন্য যেমন– বাদুর, মৌমাছি, কুকুর ও হাতি শব্দোত্তর শব্দ ব্যবহার করে থাকে।

কঠিন মাধ্যমে শব্দ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?

উত্তর : বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ সৃষ্টি হয়। বস্তুর কম্পন দিলে মাধ্যমের অণুগুলোও কাঁপতে থাকে। কঠিন মাধ্যমের একটি অণু কম্পিত হলে ঐ অণু তার পার্শ্ববর্তী অণুতে কম্পন সৃষ্টি করে। এভাবে কম্পন এক অণু থেকে অন্য অণুতে স্থানান্তরিত হয়ে শব্দ সঞ্চালিত হয়।

বিভিন্ন প্রকার কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ লেখ।

উত্তর : ১। কাচে শব্দের বেগ ৫০০০ থেকে ৬০০০ মিটার/সেকেন্ড।

২। স্টিলে শব্দের বেগ ৫০০০ মিটার/সেকেন্ড । ৩। ইটে শব্দের বেগ ৫০০০ মিটার/সেকেন্ড।

৪। অ্যালুমিনিয়ামে শব্দের বেগ ৬৪২০ মিটার/সেকেন্ড।

৫। গ্রানাইটে শব্দের বেগ ৬০০০ মিটার/সেকেন্ড।

৬। কাঠে শব্দের বেগ প্রায় ৪০০০ মিটার/সেকেন্ড।

সুরেলা শব্দ কাকে বলে?

উত্তর : যে শব্দ শুনতে ভালো লাগে, সুখকর, মধুর ও আনন্দদায়ক তাদের সুশ্রাব্য বা সুরেলা শব্দ বলে।

মানুষ সকল কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায় না কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বস্তুর কম্পনের ফলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন হয়। কিন্তু মানুষ সকল কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায় না। মানুষের ক্ষেত্রে এই শ্রাব্যতার পাল্লা 20Hz থেকে 20,000Hz এর মধ্যে। ফলে শব্দের কম্পাঙ্ক 20Hz থেকে কম 20,000Hz এর বেশি হলে মানুষ সৃষ্ট শব্দটি শুনতে পায় না।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment