কুলম্বের সূত্র – Coulomb’s Law Bangla
কুলম্বের সূত্র কি বা কাকে বলে? (What is Coulomb’s Law in Bengali/Bangla)
কুলম্বের সূত্র হলো পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি সূত্র, যা দুটি আধানের (চার্জের) মধ্যবর্তী আকর্ষণ বা বিকর্ষণের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে।
1785 সালে চার্লস অগাস্টিন কুলম্ব (Charles Augustin Coulomb 1736 – 1806) পরীক্ষার মাধ্যমে দুটি চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল বলের মান নির্ণয় করেন এবং তার পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে দুটি চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল বল একটি সূত্রের আকারে প্রকাশ করেন। সূত্রটি হচ্ছে– “নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান চার্জ দুইটির পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যে দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এই বল এদের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।”
কুলম্বের সূত্রটি কুলম্বের বিপরীত বর্গীয় সূত্র নামেও পরিচিত। কুলম্বের সূত্রটি শুধুমাত্র বিন্দু চার্জের জন্য প্রযোজ্য। বিবেচনাধীন চার্জিত বস্তুদ্বয়ের মধ্যে কোনো আপেক্ষিক বেগ না থাকলে কুলম্বের সূত্র পুরোপুরি প্রযোজ্য হয়। কিন্তু আপেক্ষিক গতি থাকলে তড়িৎ ক্ষেত্রের পাশাপাশি চৌম্বক ক্ষেত্রেরও সৃষ্টি হয়। তখন চার্জিত বস্তুদ্বয়ের মধ্যকার বল কিছুটা ভিন্নমানের হয় যা আপেক্ষিক গতিবেগের ওপর নির্ভর করে।
কুলম্বের সূত্রের সীমাবদ্ধতা (Limitations of coulomb’s law)
কুলম্বের সূত্রের সীমাবদ্ধতা হলো–
- কুলম্বের সূত্র শুধুমাত্র স্থির চার্জের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গতিশীল চার্জের ক্ষেত্রে এই সূত্র প্রয়োগ করা যায় না।
- আবদ্ধ চার্জের ক্ষেত্রে কুলম্বের সূত্র প্রযোজ্য নয়।