পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধ পরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?

পরিবাহী : যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তড়িৎপ্রবাহ চলাচল করতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন– তামা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
অপরিবাহী : যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চলাচল করতে পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ বলে। যেমন– প্লাস্টিক, রাবার, কাঠ, কাচ ইত্যাদি।
অর্ধ পরিবাহী : যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি সে সকল পদার্থকে অর্ধপরিবাহী বলে। যেমন– জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।পরিবাহী, অপরিবাহী ও সেমিকন্ডাক্টর পদার্থের প্রয়ােজনীয়তা

বিদ্যুৎ চলাচল ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক শক্তিকে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবাহী পদার্থের তার বা ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। তার ও ক্যাবল ছাড়াও বৈদ্যুতিক মােটর, জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
বিদ্যুৎ চলাচল ও বণ্টন ব্যবস্থায় দুটি বিপরীতধর্মী ক্যাবল বা তার যেমন, বিদ্যুৎ পরিবাহক ও আর্থের মধ্যে তড়িৎ ক্ষরণ বন্ধ করার জন্য অর্ধপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যেমন, ক্যাবলের উপর ইনসুলেশন, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন পাের্সেলিন ইত্যাদি। এছাড়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতিতে উচ্চমানের ইনসুলেশন প্রয়ােজন হয়, তা না হলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি দুর্ঘটনায় বিনষ্ট হতে পারে।
যেমন, সুইচগুলােতে ইনসুলেশন না দিলে এটিকে স্পর্শ মাত্র জীবন বিপন্ন হবে এবং ইনসুলেশন ব্যতীত কোনাে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি সম্ভব নয়।
ইলেকট্রনিক সিস্টেমে সেমিকন্ডাক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ হিসাবে জার্মেনিয়াম এবং সিলিকন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সকল গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে তৈরি হয়। যেমন- ট্রান্সজিস্টর, ডায়ােড, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ইত্যাদি।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধ পরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

Similar Posts