রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? রাসায়নিক সমীকরণের উদাহরণ

একটি যৌগ অথবা একাধিক মৌল বা যৌগের মধ্যে পারস্পারিক রাসায়নিক পরিবর্তন যে সকল চিহ্ন, প্রতীক ও সংকেতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয় তাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।

উদাহরণ : কার্বনকে বাতাসে দহন করলে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়াটিকে নিম্নরূপভাবে প্রকাশ করা যায়।

C + O2 → CO2

আবার, ক্যালসিয়াম ও অক্সিজেন বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন করে,

Ca + O → CaO

 

রাসায়নিক সমীকরণ লেখার নিয়মসমূহ কি কি?

রাসায়নিক সমীকরণ লেখার নিয়মসমূহ হলো–
১. রাসায়নিক বিক্রিয়া যে সকল পদার্থ নিয়ে শুরু করা হয় তাদেরকে বিক্রিয়ক (Reactant) এবং যে সকল পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদেরকে উৎপাদ (Product) বলে। রাসায়নিক সমীকরণে বিক্রিয়কসমূহকে বামপাশে এবং উৎপাদসমূহকে ডানপাশে লিখে মাঝখানে সমান (=) অথবা অ্যারো (→) চিহ্ন দেয়া হয়।
২. বিক্রিয়ায় একাধিক বিক্রিয়ক এবং একাধিক উৎপাদ থাকলে তাদেরকে যোগ (+) চিহ্ন লেখা হয়।
৩. সমীকরণের বামপাশের বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সংখ্যা এবং ডানপাশের একই মৌলের পরমাণুর সংখ্যা সমান করা হয়। বিক্রিয়ক এবং উৎপাদ ভিন্ন যৌগ হলেও তা অভিন্ন মৌলের পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়া ভরের সংরক্ষণ নীতি অনুসরণ করে।
৪. বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের ভৌত অবস্থা যৌগের ডানপাশে প্রথম বন্ধনীর মধ্যে লেখা হয়। যৌগের ভৌত অবস্থা কঠিন (Solid) হলে (S), তরল (Liquid) হলে (l) এবং গ্যাসীয় (Gaseous) হলে (g) লেখা হয়। বিক্রিয়ক এবং উৎপাদ হিসেবে কোনো জলীয় দ্রবণ (Aqueous solution) থাকলে (aq) লেখা হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *