জনপ্রিয় ৪টি প্যাকেজ সফটওয়্যার ।। 4 Best Package Software

১. ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারঃ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড লেখালেখির জন্য তৈরি একটি জনপ্রিয় প্যাকেজ সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম। এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে কম্পিউটারে চিঠিপত্র লেখা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, প্রতিবেদন এবং বড় আকারের বইয়ের কাজ করা যায়।

 

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্যঃ

  • তৈরিকৃত ডকুমেন্টের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও গঠন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • ডকুমেন্ট গঠন ও স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
  • প্রোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে লেখার বানান ভুল সংশোধন করা যায়।
  • তৈরিকৃত ডকুমেন্টকে প্রিন্টারের সাহায্যে প্রিন্ট নেয়া যায়।
  • ইচ্ছেমতো বিভিন্ন ধরনের ফন্ট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়।
  • সর্টিং, মেইলমার্জের মতো সুবিধা পাওয়া যায়।
  • পৃষ্ঠা সজ্জিত করা যায়।
  • ভুলকৃত বানানসমূহ এর অভ্যন্তরীণ স্পেল চেকারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করে তা এর নিজস্ব ডিকশনারী হতে সংশোধন করা যায়।
  • ডকুমেন্টে ইচ্ছেমতো টেবিল, কলাম, রো, বর্ডার, লাইন, বিশেষ চিহ্ন বা সিম্বল, বুলার, অ্যালাইনমেন্ট, ছোটখাট ডায়াগ্রাম, ইকুয়েশন ইত্যাদি তৈরি ও ব্যবহার করা যায়।
  • ডকুমেন্টে হেডার-ফুটার দেয়া যায় এবং ওয়েবপেজ আকারে সেভ বা ওয়েবপেজ প্রিভিউ দেখা যায়।

 

২. স্প্রেডশিট এ্যানালিসিস সফটওয়্যারঃ মাইক্রোসফট একসেল

হিসাব-নিকাশের কাজ করার জন্য তৈরি একটি জনপ্রিয় প্যাকেজ সফটওয়্যার। একে স্প্রেডশিট প্রোগ্রামও বলে। এ প্রোগ্রামের সাহায্যে একসঙ্গে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা, গড়, সুদ ইত্যাদি হিসাবের কাজ খুব দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করা যায়।

 

মাইক্রোসফট একসেল সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্যঃ

  • কোন একটি সংখ্যা পরিবর্তন করলে ঐ সংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হিসেব আপনা-আপনিই পরিবর্তিত হয়ে নতুনভাবে বিন্যস্ত হয়ে যায়।
  • দ্রুত ও নির্ভুলভাবে হিসাব-নিকাশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
  • রো এবং কলাম ব্যবহার করে নানা ধরনের হিসেবের কাজ করা যায়।
  • উপাত্ত ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এ প্রোগ্রাম দিয়ে লেখচিত্রও তৈরি করা যায়।
  • এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং উদ্বর্তপত্র তেরি করা যায়।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা যায়।
  • যে কোন বাজেট তৈরি করা যায়।
  • বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যানের কাজ করা যায়।
  • আয়কর এবং অন্যান্য হিসেবের কাজ করা যায়।
  • প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, ঋণ ব্যবস্থাপনা, প্রদেয় ও প্রাপ্য হিসেব সংরক্ষন করা যায়।

 

 

৩. ডেটাবেজ সফটওয়্যারঃ মাইক্রোসফট একসিস

জনপ্রিয় এ প্যাকেজ প্রোগ্রামের সাহায্যে ডেটা সংরক্ষণ করে প্রয়োজন অনুসারে ঐগুলো সাজানো বা কাজে লাগানো যায়।

মাইক্রোসফট একসিস সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্যঃ

  • এ প্রোগ্রামের সাহায্যে সংরক্ষণ করা তথ্য শ্রেণীবদ্ধ পদ্ধতিতে সাজানো থাকে।
  • বড় কোম্পানি, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অফিস আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারিদের নাম, পদবী, বেতন, ঠিকানাসহ বিস্তারিত বিবরণ, উৎপাদন, বিক্রয়, আমদানি, রফতানি ইত্যাদির যাবতীয় তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করা যায়।
  • আদমশুমারি, ভোটার তালিকা, ভূমি জরিপ, পরিসংখ্যান ব্যুরো ইত্যাদি দফতরগুলোর বিপুল পরিমাণ তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজ এ প্রোগ্রামের সাহায্যে নির্ভুলভাবে সম্পাদন ও সংরক্ষণ করা যায়।
  • তথ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের জন্য বিভিন্ন আঙ্গিকে ডেটাবেসের তথ্যকে সাজিয়ে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়।
  • বিভিন্ন ধরনের গবেষণার কাজে এসব প্রোগ্রাম ব্যবহার করা যায়।
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য ও প্রদেয় হিসেব, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, বার্ষিক রিপোর্ট, উৎপাদন ও বিক্রয় ইত্যাদি যাবতীয় কাজের প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের কাজে এ প্রোগ্রামটি ব্যবহৃত হয়।

 

৪. প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারঃ মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক তৈরি পাওয়ার পয়েন্ট একটি চমৎকার প্রেজেন্টেশন তৈরির সফটওয়্যার। এ সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করে সুন্দর সুন্দর স্লাইড তৈরি করা ছাড়াও আরও অনেক কাজ অতি সহজে করা যায়। অফিসের অনেক ফিচার যা এমএস ওয়ার্ড, একসেলে রয়েছে তা পাওয়ার পয়েন্টে কাজে লাগিয়ে সহজে ইচ্ছেমত স্লাইড, রিপোর্ট প্রজেক্ট স্ট্যাটাস, বিজনেস প্লান ইত্যাদি তৈরি করা যায়।

 

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্যঃ

  • কোন বিষয়কে দর্শকদের কাছে বড় পর্দায় প্রদর্শন করার জন্য স্লাইড তৈরি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে হলভর্তি দর্শকদের সামনে স্লাইড শো করা যায়।
  • কোন রিপোর্ট বা প্রজেক্ট স্টাটাস বা বিজনেস প্লান বা এ জাতীয় অন্যান্য বিষয়কে পাওয়ার পয়েন্টের উইজার্ড ব্যবহার করে অতি সহজে তৈরি করা যায়।
  • তৈরিকৃত স্লাইডে পাওয়ার পয়েন্টের প্রেজেন্টেড ডিজাইনের ইফেক্ট দেয়া যায় এবং অ্যানিমেটেড করে বিভিন্ন শব্দের ইফেক্ট দিয়ে মনোমুগ্ধকরভাবে উপথোপন করা যায়।
  • তৈরিকৃত রিপোর্টকে অন স্ক্রীনে শো করা ছাড়াও প্রিন্টারের সাহায্যে ডকুমেন্ট হিসেবে প্রিন্ট করা যায়।
  • স্লাইড শো করার সময় কোন বিষয়কে মার্ক করার জন্য পাওয়ার পয়েন্টের ইলেকট্রিক কলম ব্যবহার করা যায় এবং স্পিকার নোট তৈরি করা যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *