LAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে– Local Area Network। একই ভবনের বা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে সকল নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাকেই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN বলা হয়। যেমন– ঢাকা কলেজের নেটওয়ার্কটি LAN।
LAN এর বৈশিষ্ট্যঃ
১. বর্তমানে LAN এর মাধ্যমে সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১ জিবি পর্যন্ত গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। তবে সাধারণ গতি 10–100 Mbps পর্যন্ত হয়। |
২. সীমিত দুরত্বের মধ্যে LAN এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। |
৩. LAN নেটওয়ার্ক তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করার পদ্ধতি সহজ ও খরচ তুলনামূলক ভাবে কম। |
৪. ছোট এলাকার মধ্যে এই নেটওয়ার্ক সহজেই তৈরি করা যায় এবং সহজেই ব্যবহার করা যায়। |
৫. LAN নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ তার বা তারবিহীন সংযোগ প্রদান করা যায়। ফলে যেকোন জায়গায় বসে কাজ করা যায়। |
৬. বিভিন্ন অফিসের কাজে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য ল্যান (LAN) সবচেয়ে ভালো। |
৭. রিপিটার, হাব, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যায়। |
৮. LAN একটি প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সুতরাং, বাইরের কোন সংস্থা কখনই এটি নিয়ন্ত্রণ করে না। |
৯. LAN এ টোকেন রিং এবং ইথারনেটের মতো বিভিন্ন ধরণের মিডিয়া অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে। |
১০. LAN নেটওয়ার্ক কেবলমাত্র এক জায়গায় ডেটা পরিচালনা করা হয়, যা ডেটা আরও সুরক্ষিত করে। |
১১. LAN এর মাধ্যমে সকল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের ডেটা সার্ভার কম্পিউটারের একক হার্ড ডিস্কে সংরক্ষণ করা যায়। |
১২. সর্বোপরি, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN) সকল ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি একক ইন্টারনেট সংযোগ শেয়ার করে নেওয়ার সুবিধা দেয়। |
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “LAN কি? LAN এর বৈশিষ্ট্য কি কি?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।