জারণ সংখ্যা কাকে বলে? জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি কি?
যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে অথবা যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে তাকে ঐ মৌলের জারণ সংখ্যা (Oxidation Number) বলে। অর্থাৎ আয়নে সৃষ্ট চার্জের সংখ্যাই ঐ মৌলের জারণ সংখ্যা। যেমন : Na+, Al³⁺, Cl−, O2– এর জারণ সংখ্যা যথাক্রমে +1, +3, -1, -2.
জারণ সংখ্যা ধনাত্মক, ঋণাত্মক এমনকি ভগ্নাংশ হতে পারে।
জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি
জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো :
১. ধাতুসমূহের জারণ সংখ্যা ধনাত্মক এবং অধাতুসমূহের জারণ সংখ্যা ঋণাত্মক হয়। যেমন : NaCl এ Na এর জারণ সংখ্যা + 1 এবং Cl এর জারণ সংখ্যা – 1।
২. নিরপেক্ষ পরমাণু বা মুক্ত মৌলের জারণ সংখ্যা শূন্য হয়। যেমন : Fe, H2 যৌগে Fe এর জারণ সংখ্যা 0। আবার H এর জারণ সংখ্যাও 0।
জারণ সংখ্যার ব্যবহার
জারণ সংখ্যার প্রধান ব্যবহারসমূহ নিচে দেওয়া হলো:
- আয়নিক যৌগের সংযুক্তি ও সংকেত নির্ণয়ে জারণ সংখ্যা ব্যবহৃত হয়।
- অজৈব যৌগের নামকরণে জারণ সংখ্যার ব্যবহার ব্যাপক। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মৌলের জারণ সংখ্যা রোমান সংখ্যা দ্বারা মৌলের বা আয়নের নামের পর ব্র্যাকেটসহ লেখা হয়।
- জারণ সংখ্যার সাহায্যে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় জারক ও বিজারকের মোলার অনুপাত নির্ণয় করা যায়।
- জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সমীকরণের সমতাকরণের ক্ষেত্রেও জারণ সংখ্যার ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “জারণ সংখ্যা কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।