বিজ্ঞানী Edward Sharpy Schafer ১৯১৬ সালে সর্বপ্রথম ইনসুলিন আবিস্কার করেন। পরবর্তীততে কানাডিয়ান শারীরবিজ্ঞানী Banting ও Best উল্লেখ করেন যে, বাইরে থেকে ইনসুলিন প্রয়োগ করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। পরবর্তী তে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানি কর্তৃক গরু ও শুকরের অগ্নাশয় থেকে সংগৃহীত ইনসুলিন মানবদেহে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু এটি সম্পুর্ন বিশুদ্ধ ছিল না।তাছাড়া এটি ছিল ব্যয়বহুল। ব্রিটিশ প্রান-রসায়নবিদ Frederick Sanger ১৯৫৫ সালে ইনসুলিন এর আনবিক গঠন আবিস্কার করেন। জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে ইনসুলিনের সংকেত প্রদানকারী জিন ব্যাকটেরিয়ার দেহে প্রবেশ করিয়ে বানিজ্যিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদনের কৌশল আবিস্কার হয়।
ইনসুলিন কিঃ
ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন যা অগ্নাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গার হ্যান্সের বিটা কোষ থেকে ক্ষরিত হয় এবং দেহকোষে বিশেষ করে যকৃত ও পেশিতে গ্লুকোজ গ্রহন তরান্বিত করে। ফলে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন দুটি পলিপেপটাইড চেইন বা শৃঙ্খল (চেইন- A এবং চেইন- B) এর সমন্বয়ে গঠিত। একটি ডাইসালফাইড বন্ড উভয় চেইনকে যুক্ত করে। পলিপেপটাইড দুটি পৃথকভাবে উৎপাদন করার পর একত্রে সংযুক্ত করে সক্রিয় ইনসুলিন তৈরী করা হয়।
ইনসুলিন E.Coli নামক ব্যাকটেরিয়ার দেহে উৎপাদন করা হয়। প্রত্যেক E.Coli এর দেহে ১,০০,০০০( ১লক্ষ) ইনসুলিন অনু উৎপাদিত হয়। এভাবে ২৪গ্রাম সুস্থ E.Coli থেকে ১০মিলিগ্রাম ইনসুলিন পাওয়া যায়।
সুত্রঃপ্রাণিবিজ্ঞান, অধ্যাপক গাজী আজমল।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “ইনসুলিন কি” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।